প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন
পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন
- প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন
- যে কারণে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেল বেড়েছে
- যে ৫ টি খাবার খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে
- কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়
- উপসংহার
প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন
প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন? আমরা সুস্বাস্থ্যকর খাবার এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারি এছাড়া রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক পন্থা। আমাদের শরীরে রক্তে কোলেস্টেরল হচ্ছে এক ধরনের চর্বির উপাদন, মানবদেহে প্রতিদিন যা বিভিন্ন ভাবে কাজ করে। আমাদের শরীরে হরমোনের উপাদান যেমন কোষের দেয়ালে স্থাপকতা বজায় রাখে এবং পিত্ত রস তৈরি করে। চিকিৎসকরা কোলেস্টেরল দুই ভাগে ভাগ করেছেন।
একটা হল লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এল ডি এল যা খারাপ কোলেস্টরেল হিসেবে চিহ্নিত। আরেকটি হল হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এইচ ডি এল যা ভালো কোলেস্টরেল হিসেবে পরিচিত। এইচ ডি এল হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। তেল মসলা চর্বিযুক্ত এবং ফ্যাট যুক্ত খাবারের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় যা ধমনীতে বাধা সৃষ্ট করে হৃদয় রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ঔষধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন।
আরো পড়ুনঃ কেন ব্রণ হয় - ব্রণের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন
সে বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। খাদ্যভ্যাস ও জীবন যাপনের ধারা পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রকৃতিতে কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন, নিম্নে প্রাকৃতিক ভাবে কোলেস্টেরল কমানোর কিছু উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
হলুদঃ যদি প্রতিদিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাসি পেটে এক চামচ হলুদ
পানিতে গুলিয়ে খান তাহলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো হয়। হলুদ খেলে ধমনীতে
জমে থাকা প্লাগ বা কোলেস্টের কমায়। তরকারিতে বা এমনি কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে
অনেক উপকারে আসে আবার খারাপ কোলেস্টরেল এর মাত্রা কমে যায়। সকালে ঘুম থেকে
উঠে এক চা চামচ হলুদ পানির সঙ্গে গুলিয়ে খালি পেটে পান করা সবচেয়ে ভালো
উপায়।
রসুনঃ আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টরেল কমানোর জন্য কাঁচা রসুন খেতে
পারেন। রসুনে আছে উচ্চ তাপমাত্রার এলিসিন সালফার সমৃদ্ধ যৌগ যা
কোলেস্টেরল কমায়। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত
কাঁচা রসুন খান তাহলে উপকার পাবেন। কাঁচা রসুন রান্না করা রসুনের চেয়ে বেশি
উপকারী ও ভালো কাজ করে।
তিসির বীজঃ প্রাকৃতিক ভাবে কোলে কোলেস্টেরল কমানোর আরো একটি ভালো উপাদান হচ্ছে তিসির বীজ।
মাছের তেলঃ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য মাছের তেল একটি ভালো উপাদান। মাছের তেল আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাছ যেমন সালমান, টুনা, ইত্যাদি মাছে ওমেগা থ্রি থাকে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন এই মাছ খেলে কোলেস্টেরল অনেকটাই কমে যাবে।
ধনিয়াঃ আমাদের শরীরে ধনিয়া কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়। আমরা যদি এক টেবিল চামচ ধনিয়ার গুড়া পানিতে ফুটিয়ে খায়। তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে।
আমলকিঃ আমলকি প্রাকৃতিক উপায়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ শুকনো আমলকির গুড়া মিশিয়ে প্রতিদিন পান করেন তাহলে উপকৃত হবেন।
আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরে প্রতিদিন খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করেন তাহলে ভাল একটা রেজাল্ট পাবেন। তাহলে বুজতে পারছেন কত সহজে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার মনের ভেতরে থাকা প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। যে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন।
যে কারণে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেল বেড়েছে
যে কারণে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেল বেড়েছে। বেশি মাত্রায় তেল মশলা খাবার খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এটা আমরা সবাই জানি। তেল মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরের ক্ষতি হয় এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে। যে কারণে আপনার শরীরে কোলেস্টোরেল বেড়েছে এবং যে কোন সময় এর জন্য কোলেস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী।
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কোলেস্টোরেল বেড়েছে না ঠিক আছে। তাছাড়া যাদের উচ্চ কোলেস্টোরেল আছে তাদের মধ্যে নানা রকমের উপসর্গ দেখা দেয়, চলুন তাহলে জেনে নেই উপসর্গগুলো কি? কোলেস্টোরেল বেশি মাত্রায় থাকলে চোখের নিচে হলদেটে দাগ দেখা দেয়, চোখের কোনের পাশে ধূসুর দাগ দেখা দিলে এটি কোলেস্টোরেল বাড়ার লক্ষণ।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন
জন্ডিস হলে যেমন চোখের নিচে হলদেটের ভাব দেখা দেয়, কোলেস্টেরল বাড়লেও তেমন হলদেটে ভাব দেখা দেয়। বেশিদিন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার রক্তে কোলেস্টোরেল মাত্রা বেড়ে গেলে, অনেক সময় রক্তনালী আটকা পড়ে তখন রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এতে ঘাড় মাথার পেছনে ব্যথা করে।
যে ৫ টি খাবার খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে
বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষের ভিতরে দেখা যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা এর কারণও হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। যে ৫ টি খাবার খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমরা যদি খাবারগুলো খায় তাহলে আমাদের রক্তের কোলেস্টোরেল কমবে। প্রথমেই আসবো ওটস, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, ওটস কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে আপনারা যদি সকালের নাস্তায় ওটস ও কলা খান।
ওটস ও কলা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মাছ, আখরোট কিন্তু কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আমাদের খাবারে তালিকায় ফল মূল্য শাকসবজি রাখতে হবে, টক দই ও কমলা লেবু ও কোলেস্টেরল কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে, এই শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও আমিষ থাকে এজন্য দুপুরে খাবারের পরে আমরা ফলমূল খাবার চেষ্টা করব। যে ৫ টি খাবার খেলে কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে খাবার গুলোর নাম উল্লেখ করা হলো।
কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়
কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায় আমাদের সমাজে প্রত্যেকটি বাড়িতে কোলেস্টেরলের সমস্যা এর প্রধান কারণ হলো খাদ্যভাস। আমরা সাধারণত তেল মশলাযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি, আমাদের রান্নাঘরে থাকে এমন কয়েকটি সহজ খাদ্য দ্রব্য, যা নিয়ম করে খেলে কোলেস্টেরল কমে যাবে।কোলেস্টেরল কমানোর একেবারে সহজ উপায় হচ্ছে এক বাটি ওটস, ওটস এর সঙ্গে ফলমূল খাবেন যেমন- কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি ফল।
আরো পড়ুনঃ আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স দাম কত বাংলাদেশ
ওটস এর মতই অন্যান্য শস্য যেমন- গম, বার্লি, বিনস, বেগুন, ঢেঁড়স, মাছ, বাদাম, ফলমূল, শাক সবজি ইত্যাদি। কোলেস্টেরল কমাতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে আগে মাংসকে সরাতে হবে, আমাদেরকে হাঁটা হাঁটি করতে হবে পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায় বর্ননা করা হল।
উপসংহার
পরিশেষে এ কথা বলেই শেষ করব প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাবেন? উপরে আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, প্রাকৃতিক নিয়মে কিভাবে আমরা কোলেস্টেরল কমাতে পারি। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়, এসব খাবার খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং আমরা সুস্থ থাকবো এগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং আপনি উপকৃত হন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url