নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়
পোস্ট সূচিপত্রঃ নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়
- নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়
- নবজাতক সন্তানের ত্বকের যত্ন নিবেন কী ভাবে
- গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
- গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
- উপসংহার
নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়
আপনি কি নবজাতকের যত্ন নিয়ে চিন্তিত? আপনার জন্য খুশির খবর এই যে আমি এই আর্টিকেলে নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায় এ বিষয়ে আপনাদেরকে তথ্য জানাবো। আমাদের সমাজে একজন নারীর মা হওয়া খুব আনন্দের বিষয়। পরিবারে একজন নতুন অতিথি আসা খুব আনন্দের একটা খবর এর থেকে আমাদের আনন্দের মুহূর্ত আর পৃথিবীতে হয় না।
একটি সংসারে কোন দম্পত্তির কোল আলো করে যখন কোন নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করে তখন সেই সময় যে আনন্দ বাবা-মা উপলব্ধি করে এর থেকে শান্তি আর কোন কিছুতে খুঁজে পাবেন না। নবজাতকের অনেক কিছু কেনাকাটা, ত্বকের যত্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, নবজাতকের সুস্থতা এই সবকিছুই খেয়াল করতে হয় বাবা-মাকে। নবজাতকের কোমল ত্বকের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং a to z
এই সবের পাশাপাশি নবজাতকের ত্বকের যত্নে নেওয়া দরকার। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিই নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়। আশা করি আপনারা নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায় জানার জন্য আমার সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকবেন। নবজাতক শিশুর ত্বকের যত্ন, জন্মগ্রহণ করার পরে আমরা সাধারণত করে থাকি। নবজাতককে গোসল করানো একটা প্রথা, এ বিষয়টা নিয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চার যাতে ঠান্ডা না লাগে।
- নবজাতকের ত্বকের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
- নবজাতক শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
- বেবি পাউডার ব্যবহার করা।
- শিশুর বিছানা পত্র পরিষ্কার রাখা।
- ভালো মানের ডায়াপার ব্যবহার করা।
- নবজাতকের শরীর ভালোভাবে মেসেজ করা।
- নবজাতক শিশুটি কাপড় পরিষ্কার পরানো।
- নবজাতকের গায়ে রোদ লাগানো।
- কোমল ডিটারজেন্ট দিয়ে নবজাতকের কাপড় পরিষ্কার করা।
- মাথার চুল পরিষ্কার রাখা।
- গোসলের পরে কান পরিষ্কার করে দেওয়া।
- হাতে পায়ের নখ কেটে দেওয়া।
- শীতের সময় নবজাতকের বেশি যত্ন নেওয়া এ সময় শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
- সঠিক নিয়মে মেসেজ করা।
- বাচ্চাদের ত্বক অনেক নরম কোমল তাই ত্বকের যত্নে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
- শীতের সময় আপনি বেবি লোশন, বেবি অয়েল, বেবি শ্যাম্পু এই সমস্ত উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন।
- নবজাতক শিশুর হাতের ফাঁকে, হাঁটুর ভাজে, কানের পাশে ময়লা পরিষ্কার করা।
- নবজাতক পায়খানা করলে নরম ভেজা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
-
খেয়াল রাখতে হবে নবজাতক শিশুর যাতে গরম না লাগে আবার ঠান্ডাও না লাগে।
- প্রয়োজনে নবজাতকের রুমে গরম রাখার ব্যবস্থা করা ঠান্ডা না লাগানো।
নবজাতক সন্তানের ত্বকের যত্ন নিবেন কী ভাবে
নবজাতক সন্তানের ত্বকের যত্ন নিবেন কী ভাবে? আজ আমি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। নবজাতক সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন নবজাতকের ত্বক খুবই নরম ও কোমল হয়ে থাকে। একটি শিশু বড় হওয়া থেকে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। এ সময় বাবা মাকে এসব বিষয়ে শিশুর ত্বকের যত্ন সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নবজাতক শিশুকে গোসল করাতে হবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন, নবজাতক শিশুর শরীরে সঠিক নিয়মে মেসেজ করতে হবে, ভালো মানের ডায়াপার ব্যবহার করতে হবে।
বেবি লোশন বেবি পাউডার ব্যবহার করতে হবে। নবজাতক শিশুর মুখের যত্নে উষ্ণ হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছে দেওয়া তারপর বাচ্চার ত্বকে বেবি লোশন বা বেবি ক্রিম জাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে হবে। সরিষার তেল দিয়ে দুই বেলা হালকা ভাবে মেসেজ করা এতে নবজাতক বাচ্চার শরীরে নরম থাকবে।
আরো পড়ুনঃ শতক প্রতি মাছ ছাড়ার নিয়ম
নবজাতকের কান পরিষ্কার করে দিতে হবে, একজিমা শিশুদের ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা এটি শিশুদের হয়ে থাকে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নবজাতক শিশুর ত্বকে বেবি ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। নবজাতক শিশুর ত্বকে যত্নে উপরোক্ত আলোচনায় আমি যে নিয়মগুলি বললাম আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। আপনি তাহলে বুজতে পেরেছেন নবজাতক সন্তানের ত্বকের যত্ন নিবেন কী ভাবে।
গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন
গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই আর্টিকেলে আমি গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। গরমের সময় যেমন বড়রা গরমে নাজেহাল হয়ে যায়, তেমনি বাচ্চাদেরও গরমে প্রচন্ড তাপে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। বাচ্চাদের ত্বকে ঘামাচি এলার্জি জাতীয় র্যাশ ইত্যাদি অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে ঘামের কারনে শরীর থেকে পানি বের হয়ে পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং পানির সঙ্গে শরীর থেকে লবণ বেরিয়ে যায়।
গরমে বাচ্চাদের শরীরে ঘামাচি এলার্জি এসব বের হয়ে অস্বস্তিকর করে তোলে। এই ঘাম ও ঘামাচি থেকে একটু স্বস্তি দিতে বাবা মাকে গরমের সময় বাচ্চার বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হয়। অতিরিক্ত গরমে বাচ্চাদের ঘামে জামা ভিজে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বাচ্চার জামা খুলে গা মুছে দিয়ে পাউডার দিয়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত গরমের সময় আপনি বাচ্চাকে প্রতিদিন গোসল করাবেন। গরমে ঘামাচি থেকে বাঁচতে বাচ্চার গায়ের ঘাম পাতলা ও নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিবেন। প্রতিদিন ভালোভাবে সাবান শ্যাম্পু দিয়ে বাচ্চাকে গোসল করতে হবে।
অতিরিক্ত গরমে মাথার চুল কেটে দিতে পারেন, এতে করে মাথাতে কোন চুলকানি ও খুশি হবে না। খুব ছোট শিশু হলে ডায়াপার না পরানোই ভালো। গরমের সময় বাচ্চাদের বেশি পরিমাণে পানি পান করানো উচিত। এই সময় এমন খাবার দিতে হবে যেন বাচ্চাদের শরীর ঠান্ডা থাকে। লেবুর শরবত, স্যালাইনের পানি, ডাবের পানি এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। বাচ্চা যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গরমে বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন এবং নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।
গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো
গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এই তথ্য জানার জন্য যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। নবজাতক শিশুর জন্ম নেওয়ার পর থেকে বাবা-মার চিন্তা শুরু হয়ে যায় গরমে বাচ্চাকে কোন ক্রিম ব্যবহার করাবেন। এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কিছু আলোচনা করব। গরমের সময় প্রতিদিন বাচ্চাদের গোসল করাবেন, ঘাম মুছে দিবেন, বেবি লোশন, বেবি পাউডার, বেবি সাবান, বেবি অয়েল, বেবি ক্রিম এগুলো ব্যবহারের আগে খেয়াল রাখতে হবে এই জিনিস গুলো যেন বাচ্চাদের ত্বকের ক্ষতি না করে।
আরো পড়ুনঃ কেন ব্রণ হয় - ব্রণের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন
এগুলো জিনিস ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই সমস্ত প্রোডাক্ট যদি বাচ্চার স্কিনে শুট না করে তাহলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায় এবং গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন। বাচ্চার স্কিনে কোন ক্রিমের প্রয়োজন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। নিম্নে গরমে বাচ্চার স্কিনের উপযোগী কয়েকটি ক্রিম ও লোশনের নাম উল্লেখ করলাম।
- মামায়ার্থের ময়শ্চারাইজিং লোশন।
- জনসন বেবি পাউডার।
- সেমাবেড প্রোটেকটিভ ফেসিয়াল ক্রিম।
- জনসন বেবি লোশন।
- শিয়া বাটার লোশন।
- জনসন বেবি ওয়েল।
- হিমালয় হারবার বেবি লোশন।
- জনসন বেবি ক্রিম।
- ময়শ্চারাজইজিং লোশন।
- ইভেনো ময়শ্চারাইজিং লোশন।
উপসংহার
উক্ত আর্টিকেলটিতে আমি নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায় ও নবজাতকের যত্নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। প্রতিটি মা ও বাবা তার সন্তানকে অতি যত্নে লালন পালন করতে চাই, সে জন্যই বাচ্চা জন্ম গ্রহনের পরে তার পরিচর্যার জন্য মা-বাবারা ব্যস্ত হয়ে উঠে।
আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন এবং আপনি যা খুজছিলেন তা পেয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url