বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম জেনে নিন

বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পোস্টটি আপনি ‍যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। কেননা এই পোস্টে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম
বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম অনেকে জানে না তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে। আপনি পোস্টটি একবার পড়ে নিলে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম

বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম

বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম আমাদের সকলেরই জানা দরকার। সন্তান-সন্ততি এগুলো আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। সন্তান পরুষ ‍কিংবা নারী যাই হোক না কেন তার কানে আযান দিতে হবে। সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকের কানে আযান দেওয়া সুন্নত। এই আযানের উদ্দেশ্য হলো শিশুকে নামাজের জন্য আহবান নয়। এর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নেওয়া, রেসালাতের উপর যেন জীবন প্রতিষ্ঠা করা। আযান নারী পুরুষ উভয় দিতে পারবে। পুরুষের অবর্তমানে নারীরা আযান দিতে পারবে।তবে আমাদের দেশে অনেকে মনে করে আযান দেওয়া ইমাম, মুয়াজ্জিনদের কাজ। 

আরো পড়ুনঃ সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন বিস্তারিত জেনে নিন

শিশু জন্মগ্রহণ  করলে ইমাম মুয়াজ্জিনদের দিয়ে আযান দিতে হবে, যা পুরোটাই ভুল। আপনি সন্তানের অভিভাবক আপনি নিজেই আযান দিবেন। অনেকের সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে বাসায় কিংবা মসজিদে গিয়ে আযান দেয় যা শুদ্ধ নয়। বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম হলো বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে তার কানে আযানের শব্দগুলো বলা। আযানের শব্দ গুলোে উচ্চস্বরে বললে তা শিশুর উপর উল্টো প্রভাব পড়তে পারে। শিশু যেন সহ্য করতে পারে সেই ভাবে আযানের শব্দগুলো তার কানের কাছে আস্তে আস্তে বলা। কেউ যদি আযানের শব্দ না জানেন তাহলে দেখে দেখে তা বলতে পারেন। আশা করি আলোচনা থেকে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন।

ছেলে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম

অনেকে ছেলে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম জানতে চাই। প্রথমত, বাচ্চা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক নবজাতকের কানে আযান দেওয়ার নিয়ম একই। এই আযানের উদ্দেশ্যে হলো আল্লাহর তাওহীদের বাণী ও নবী (সাঃ) রিসালাতের বাণী নবজাতকের কানে পৌছে দেওয়া। নিয়ম হলো নবজাতকের ডান কানে আযান দেওয়া। পুরুষ না থাকলে নারীরাও আযান দিতে পারবে। তবে শর্ত হলো ঐ নারীকে হায়েয মুক্ত হতে হবে। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তা ডান কানে আস্তে আস্তে আযনের শব্দগুলো উচ্চারণ করতে হবে। অনেকে মসজিদে কিংবা বাসায় গিয়ে আযান দেয় যা শুদ্ধ নয়। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তার ডান কানে আযান দিতে হবে এটাই শুদ্ধ।

মেয়ে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম

নবজাতক পুরুষ কিংবা নারী হোক আযান দেওয়ার নিয়ম একই। অনেকে জ্ঞানের অভাবে এটা মনে করে যে পুরুষ বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম একরকম আর মহিলা বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম আরেক রকম যা পুরোপুরি ভূল। ছেলে বাচ্চার বেলায় আযান দেওয়ার নিয়ম যেরকম মেয়ে বাচ্চার বেলায় আযান দেওয়ার নিয়ম সেরকম। 

বাচ্চাকে কোলে নিয়ে তার ডান কানে ধীরে ধীরে আযানের শব্দগুলো উচ্চারণ করুন। অতিরিক্ত জোরে জোরে আযানের শব্দগুলো উচ্চারণ করবেন না কারণ বাচ্চা ছোট হওয়ার কারণে সেটা তার জন্য সহনশীল নাও হতে পারে। বাচ্চাকে কোলে নিয়ে আস্তে আস্তে যতটুকু তার জন্য সহনশীল হয় ঠিক ততটুকু শব্দ প্রয়োগ করে আযান দিবো। আশা করি আলোচনা থেকে মেয়ে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

নবজাতকের কানে নারীরা আযান দিতে পারবেন

জ্বী, নবজাতকের কানে নারীরা আযান দিতে পারবেন। তবে শর্ত হলো যে নারী আযান দিবেন সেই নারীকে হায়েয মুক্ত হতে হবে। শিশু জন্ম গ্রহন করলে তার ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া সুন্নত। কারণ এতে শিশুর জন্য অনেক কল্যাণ নিহিত আছে। শিশুর আযান দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর তাওহীদের বাণী, রেসালাতের ঘোষণা নবজাতকের কানে পৌছে দেওয়া হয়। এতে জ্বীন শয়তানের আক্রমন থেকে নবজাতক নিরাপদে থাকে।

আরো পড়ুনঃ কোরবানির পশুর সাথে আকিকা করার বিধান জেনে নিন

সাধারণত পরিবারের পুরুষেরা নবজাতকের কানে আযান ও ইকামত দিয়ে থাকে। যদি কোন কারণে নবজাতকের কানে নারীদের আযান ও ইকামত দিতে হয় তাহলে তিনি আযান ও ইকামত দিতে পারবেন। শর্ত হলো ঐ নারীকে হায়েয মুক্ত হতে হবে। যদি কোন নারী আযান ও ইকামতের শব্দগুলো না জানে তাহলে আযান ও ইকামতের শব্দগুলো দেখে দেখে বললে বললে হয়ে যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই। নবজাতকের কানে নারীরা আযান দিতে পারবেন কিনা আশা করি সেই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।

মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় কেন

ইসলামপূর্ব জাহলী যুগে কন্যা শিশুদের হত্যা করা হতো। যারা কন্যা শিশু জন্ম দিত তাদের হতভাগা বা বদনসিব বলে চিহ্নত করা হতো। ইসলাম এসে সম্পূর্ণ এই বিষয়টি নিষিদ্ধ করেছে। নবজাতক নারী কিংবা পুরুষ যেই হোক না কেন তার কানে আযান দেওয়া সুন্নাত। এই আযানের উদ্দেশ্য হলো নবজাতকের কাছে আল্লাহর তাওহীদের বানী ও নবী (সাঃ) রিসালাতের বাণী পৌছে দেওয়া। অনেক সময় দেখা যায় পুরুষ সন্তান হলে আযান দেয় আর নারী সন্তান হলে আযান দেয় না ইসলাম এই বৈষম্য অনুমোদন করে না।

আরো পড়ুনঃ ক দিয়ে ছেলেদের ইসলামিক নাম গুলো জেনে নিন

পুরুষ সন্তান হলে যেমন আযান দেওয়া লাগবে নারী সন্তান হলেও আযান দেওয়া লাগবে। অনেকে আযান তো দেয় না উল্টো অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে যা ঘৃণিত কাজ। এগুলো পরিহার করা দরকার। মেয়ে সন্তানের সার্বিক কল্যানের উদ্দেশ্যে আযান দিতে হবে। আশা করি আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় কেন সে বিষয়ে বিস্তারিত।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আশা করি  এই পোস্ট থেকে আপনারা একটা জায়গায় অবগত হয়েছেন যে নবজাতক কন্যা ও ছেলে সন্তান হলে আযান দিতে হবে। কোন প্রকার বৈষম্য করা যাবে না। নবজাতক কন্যা ও ছেলে সন্তানের বেলায় আযান দেয়ার নিয়ম একই।

এই পোস্ট থেকে আশা করি বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম, ছেলে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম, মেয়ে বাচ্চা হলে আযান দেওয়ার নিয়ম, নবজাতকের কানে নারীরা আযান দিতে পারবেন, মেয়ে সন্তান হলে আযান দিতে হয় কেন, উপসংহার ইত্যাদি বিষয় জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরণের সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট করা হয়। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন। ২৪৭২৯

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url