বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনেকেই গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন। আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম আপনার জেনে রাখতে হবে। বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম মোতাবেক যদি আপনি পেমেন্ট একাউন্ট খোলেন তবে ক্রেতারা আপনাকে বিকাশে পেমেন্ট করতে পারবে। 
আপনার যদি কোন বড় বিজনেস থাকে তবে নগদ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিকাশ মার্চেন্ট তথা পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে পারেন। এতে করে আপনার সেবার মান ও পরিধি অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনারা বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অত্যন্ত সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন। তাই বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন। 

পোস্ট সূচিপত্র - বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন 

বিকাশ মার্চেন্ট বা পেমেন্ট একাউন্ট কী?

বিকাশ অ্যাকাউন্ট যে শুধু পার্সোনাল বা এজেন্ট এর জন্য বিষয়টি এমন নয়। একজন ব্যবসায়ী ব্যবসার পরিধি বাড়াতে বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করতে পারে। বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট হলো আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত একটি পেমেন্ট একাউন্ট যেখানে ক্রেতারা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনাকে পেমেন্ট করতে পারবে। এতে করে কাগজের টাকার উপর নির্ভরতা কমে যাবে। বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এই পোস্টের পরবর্তী অংশ থেকে জানতে পারবেন। 

বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? 

আপনি যদি বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে চান তবে আপনার কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস অবশ্যই থাকতে হবে। প্রয়োজনীয়  কাগজপত্র না থাকলে আপনি বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন না। তবে চলুন বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তা জেনে ফেলি। 
  • আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স কপি
  • টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি 
  • সচল ব্যাংক একাউন্ট 
  • কোনো বিকাশ একাউন্ট খোলা নেই এমন একটি মোবাইল নাম্বার 
  • আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড 
  • পেমেন্ট একাউন্ট খোলার একটু অনুমতি পত্র (আবশ্যিক নয়)

বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম 

বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য এখানে চাপ দিন। এখানে চাপ দেওয়ার পর সেখানে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে পেমেন্ট একাউন্টটি খোলার আবেদন করতে হবে। কিভাবে আবেদন করবেন চলুন সেটি ধাপে ধাপে জেনে নিই।
  • এই ফরমের শুরুতেই আপনার দোকানের নাম, জেলা, এলাকা সঠিকভাবে নির্বাচন করুন। তারপর যোগাযোগ করবেন যার সাথে এই বক্সে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী পুরো নাম লিখে দিবেন। 
  • তারপর ফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা নির্ভুলভাবে প্রদান করে অতিরিক্ত যদি কোন তথ্য দিতে চান সেটিও সঠিকভাবে দিয়ে দিন। 
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে কিনা এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে 'হ্যাঁ' সিলেক্ট করে দিবেন। আর জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে 'না' সিলেক্ট করে দিবেন। 
  • অতঃপর আপনার যদি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকে তবে সেখানে 'হ্যাঁ' সিলেক্ট করে দিবেন। আর না থাকলে অবশ্যই 'না' সিলেক্ট করবেন। 
  • আপনার যদি ট্রেড লাইসেন্স থেকে থাকে তবে ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বারটি নির্ধারিত বক্সে দিয়ে দিবেন। তারপর ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখও সেখানে নির্দিষ্ট বক্সে উল্লেখ করে দিবেন। 
  • আপনার যদি ব্যাংক একাউন্ট থেকে থাকে তবে সেখানে 'হ্যাঁ' সিলেক্ট করে দেবেন। এরপর ক্যাপচা কোডটি যথাযথভাবে পূরণ করে সর্বশেষ জমা দিন বাটনে ক্লিক করবেন। আপনার বিকাশ পেমেন্ট একাউন্টের জন্য আবেদনটি তখন জমা হয়ে যাবে। আশা করি বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন। 

বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা 

আপনারা ইতিমধ্যে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম পোস্টের পূর্ববর্তী অংশ থেকে শিখে ফেলেছেন। এবার আপনাদের সামনে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্টের বিভিন্ন সুবিধা তুলে ধরব। 
  • আপনি একটি আইডি থেকে একের অধিক পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। যেখানে আইডি কার্ড দিয়ে একটি মাত্র পার্সোনাল আইডি খোলা যায়, সেখানে আইডি কার্ড দিয়ে একাধিক পেমেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা সত্যিই বেশ লাভজনক।
  • আপনি আপনার বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে ক্রেতাদের বিভিন্ন রকম অফার দিতে পারবেন। এতে করে আপনার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।
  • যেহেতু ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ, তাই আপনি এখানে আনলিমিটেড টাকা লেনদেন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট লিমিট নেই। 
  • আপনার বিকাশ মার্জেন্ট একাউন্টে থাকা টাকা আপনি চাইলে ব্যাংক একাউন্ট থেকেও তুলতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। 
  • আপনি যদি অনলাইনে আপনার ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে চান তবে বিকাশ পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অনলাইন হতে ক্রেতাদের নিকট থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। বিকাশ পেমেন্ট একাউন্টের এই সকল সুবিধা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম পোস্টের আগের অংশ থেকে পুনরায় দেখে নিতে পারেন। 

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং বিকাশ পেমেন্ট একাউন্টের সকল সুবিধা তুলে ধরেছি। আপনারা এখন চাইলে খুব সহজে বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসরণ করে পেমেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর আপনার অন্যান্য ব্যবসায়ী বন্ধুদের যদি বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানাতে চান তবে পোস্টটি তাদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। @23891

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url