পোর্টফলিও তৈরির নিনজা টেকনিক।

আপনার স্বপ্নের চাকুরিটি যেমনই হোক সেটি পেতে হলে আপনাকে কিন্তু কিছু কাজ করতেই হবে। যেমন কাজ চান তেমন করে তৈরি করতে হবে আপনার নিজেকে। দক্ষতা যোগ্যতা লাগবেই সঙ্গে লাগবে বিচক্ষণতা। সুযোগ পেলে কাজে লাগতে হবে যথাযথভাবে, হতে হবে পর্যাপ্ত কৌশলী। স্বপ্নের চাকরিটি যেন আপনারই হয় সেজন্য করুন এই কাজগুলো।

আরো পড়ুন:জীবন বৃত্তান্ত(CV)তৈরির নিয়ম/কিভাবে জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করব?

১. একটি অনলাইন পোর্টফলিও তৈরি করুন।

এখন সুযোগ অনেক এগিয়ে গেছে, আপনি আপনার সিভি জমা দিলেন আর সেখানে থাকা অবস্থায় শেষ, কথা মোটেই এমন নয়। আপনাকে অনলাইনেও চাকরি খুঁজতে হবে। ফেসবুক আইডি থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আপনার সম্পর্কে অনেক ধারণাই করে নেবেন তারা আপনি আরেকটু স্মার্ট হন। আপনার একটা অনলাইন পোর্ট ফলিও তৈরি করে ফেলুন। বিনা খরচে আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন যেখানে সেখানে।

২. গুছিয়ে ফেলুন ফেসবুক প্রোফাইল।

আগের কারণটি প্রযোজ্য এক্ষেত্রেও। আপনি যখন ছাত্র তখন ফেসবুক প্রোফাইলে তথ্য হিসেবে অনেক এলোমেলো কথাই হয়তো লিখে রেখেছেন। সেগুলো গুছিয়ে নিন। আপনি যদি কোথাও চাকরি করে থাকেন বা পার্ট টাইম কোন কিছুতে যুক্ত থাকেন তাহলে সেগুলো উল্লেখ করুন। আবার সে কাজগুলো আপনার বর্তমান প্রত্যাশিত চাকরির সঙ্গে কোন সমস্যা তৈরি করে কিনা সেগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় থাকুন। যখন প্রয়োজন সেই তথ্য মুছে দিন। আপনার পাবলিক প্রোফাইলে হওয়া চাই একদম পরিচ্ছন্ন। আপনার রাজনৈতিক ধর্মীয় মতামত হওয়া চাই নিরপেক্ষ, প্রশ্নবিদ্ধ যে কোন কিছু থেকে দূরে থাকুন।

৩. কোম্পানির কোন সাহায্য করতে পারলে করুন।

আপনি যখন ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বা কারো সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাচ্ছেন তখন আপনার সামনে কোন সমস্যা পড়লে আগ বাড়িয়ে সমাধান দিন। এতে আপনার স্মার্টনেস, সমস্যা সমাধান ক্ষমতা, বিচক্ষণতা একটা চাকরীর পরীক্ষা হয়ে যায়। তবে অবশ্যই আপনি যদি সে বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষ হন তবে সেটা করুন। না হলে হিটের বিপরীত হতে পারে।

৪. নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করুন উজ্জ্বলভাবে।

ইন্টারভিউ নিজেকে প্রকাশ করতে লজ্জা পাবেন না। এখনই দশের মধ্যে একজন হয়ে যাবেন পোশাকে কথাবার্তায় আপনি যেন সবার চোখে পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রচলিত ভদ্র পোশাক বা মার্জিত আচরণের ছকে আবদ্ধ হবেন না পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে প্রকাশ করুন। যেখানে হাসা টাই স্বাভাবিক সেখানে চুপ থাকা মানে হলো আপনার কৌতূহলটা বোঝেননি তাই স্বাভাবিক হন।

আরো পড়ুন: Career ক্যারিয়ার নির্বাচন করার আটটি উপায় ।

৫. যথা উপযুক্ত তথ্য দিন। 

আপনি যদি ক্রিয়েটিভ কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে চাচ্ছেন, তখন সেখানে আপনার অপ্রাসঙ্গিক কোনো ক্ষেত্রে চাকরি অভিজ্ঞতা জানানোর কোন মানে নেই। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আপনার শিক্ষা যোগ্যতা তুলে ধরুন। পত্রিকায় কাজ করতে গেছেন? নিজের একটা ভালো লেখা সঙ্গে নিয়ে যান। শিল্পী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে চান? নিজের শিল্পকর্মে ছোট কোনো নিদর্শন বা নমুনা সঙ্গে রাখুন। তাই এসব দেখানো যাবে না এমন কথা মন থেকে বের করে দিন। যোগ্যতা সরাসরি দেখাতে পারাই বুদ্ধিমানের কাজ।

মন্তব্য

আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় খাপ খাওয়াতে হলে বা বিভিন্ন জায়গায় আপনাকে চান্স নিতে হলে আপনাকে একটি সুন্দর পোর্টফলিও  বানাতেই হবে। একটি পোর্টফোলিও আপনার যোগ্যতার প্রমাণ নিদর্শন স্বরূপ এই পোর্টফোলিও আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। যদি আপনার পোর্টফলিওটা অন্যদের থেকে ইউনিক হয় আপনি আপনার পোর্টফোলিওতে এমন ভাবে আপনার নিজেকে উপস্থাপন করবেন যেন তাদের  চাহিদা মোতাবেক তাদের কাছে আপনি নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। একটি সুন্দর পোর্টফলিও আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

 এমনকি আপনার স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রেও আপনাকে যথেষ্ট প্রতিদান দেবে। একটি সুন্দর মানসম্মত পোর্টফলিও আপনার স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ হতে পারে। সুতরাং পোর্টফোলিয়ার ব্যাপারে অবশ্যই আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একটি মানসম্পন্ন পোর্টফলিও তৈরি করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url