মহাবিশ্ব এবং মানুষের তৈরি গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে জানুন

 মহাবিশ্ব এবং মানুষের তৈরি গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে জানুন

এই সৃষ্টি জগতে যা কিছু আছে তার সবকিছু নিয়ে মহাবিশ্ব। ক্ষুদ্র পোকামাকড় ও ধূলিকণা থেকে শুরু করে আমাদের এই পৃথিবীর দূর দূরান্তের গ্রহ নক্ষত্র ধূমকেতু গ্যালাক্সি এবং দেখা না দেখা সব কিছু নিয়েই মহাবিশ্ব। মহাবিশ্ব যে কত বড় তা কেউ জানে না। কেউ জানে না মহা বিশ্বের আকার ও আকৃতি কেমন। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন মহাবিশ্বের শুরু ও শেষ নেই। কেউ কেউ এখনো বিশ্বাস করেন মহাবিশ্বের আকার ও আকৃতি আছে। মানুষ প্রতিনিয়তই মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করছে। তবু এর অনেক কিছু এখনো অজানা রয়ে গেছে। আসুন আমরা নিম্নে জেনে নেই মহাকাশ কি মহাকাশ কিভাবে উৎপত্তি হলো এবং প্রাকৃতিক গ্রহ উপগ্রহ  এর ইতিহাস ।

পোস্ট সূচিপত্র: মহাবিশ্ব এবং মানুষের তৈরি গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে জানুন

  • মহাবিশ্ব কি
  • মহাবিশ্বের উৎপত্তি হলো কিভাবে
  • প্রাকৃতিক গ্রহ উপগ্রহ কি
  • কৃত্রিম উপগ্রহের ইতিহাস
  • কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথে চলা বা ভ্রমণ
  • কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার ও গুরুত্ব
  • যোগাযোগ উপগ্রহ
  • আবহাওয়া উপগ্রহ
  • পৃথিবীর পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ
  • সামরিক বা গোয়েন্দা উপগ্রহ
  • নৌপরিবহন উপগ্রহ

মহাবিশ্ব কি?

এই সৃষ্টি জগতে বা এই সৃষ্টি জগতের যা কিছু আছে তা নিয়েই মহাবিশ্ব। ক্ষুদ্র পোকামাকড় ও ধূলিকণা থেকে শুরু করে আমাদের পৃথিবীর দূরত্বের গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, গ্যালাক্সি এবং যত তারকারাজি মহাকাশ মন্ডল এর যা আছে তাই নিয়ে মহাবিশ্ব। এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক কিছু অজানা রয়েছে। অনেক কিছু অজানা থাকলেও বিজ্ঞানীরা এটা জানতে পেরেছেন যে, মহাবিশ্বের অনেক কিছুই মহাকাশ নামক সীমাহীন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

 এসব বস্তু বা পদার্থের উপস্থিতি অন্য মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। যেসব অংশে পদার্থ বা বস্তু বেশি জড়ো বা ঘনীভূত হয়েছে তাদের বলা হয় গ্যালাক্সি। এবং নক্ষত্র জগত গ্যালাক্সি গ্রহ নক্ষত্রের এক বৃহৎ দল। আমাদের বাসভূমি পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত তার নাম হচ্ছে ছায়াপথ। এরকম কোটি কোটি গ্যালাক্সি রয়েছে। এই galaxy গুলো মহাকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়াই। ঠিক যেন বায়ুমন্ডলে উড়ে বেড়ানো মৌমাছির ঝাকের মত। মহাকাশে সীমাহীনতার তুলনায় গ্যালাক্সি নক্ষত্রগুলোকে খুব কাছাকাছি মনে করা হয়।

 আসলে তা নয়। এরা পরস্পর থেকে অনেক দূরে সৌরজগত মিল্কিওয়ে নামক গ্যালাক্সির অন্তর্গত। পৃথিবী থেকে নক্ষত্র ব্লক ও মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। নক্ষত্রগুলো প্রত্যেককে এক একটি জলন্ত গ্যাস পিণ্ড বলে এদের সবারে আলো উত্তাপ রয়েছে। মহাবিশ্বের নক্ষত্রগুলোকে তাদের আলো তীব্রতা অনুসারে লাল নীল হলুদ এই তিন বর্ণে ভাগ করা হয়েছে। অতি বড় নক্ষত্রের রং লাল মাজহারী নক্ষত্রের রং হলুদ এবং ছোট নক্ষত্রের রং নীল হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: যে সকল লক্ষণে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর

মহাবিশ্বের উৎপত্তি হলো কিভাবে?

মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিকাশ সংক্রান্ত যে তত্ত্ব আছে, তার মধ্যে বহুল প্রচলিত হলো বিগ ব্যাং তত্ত্ব। বাংলায় একে বলা হয় মহাবিবিস্ফোরক তত্ত্ব। এ তত্ত্বের মতে মহাবিশ্ব একসময় অত্যন্ত উত্তপ্ত ঘনরূপে বা ঘন অবস্থায় ছিল। যার অতি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছিল। দ্রুত প্রসারণ এর ফলে মহাবিশ্ব ঠান্ডা হয়ে যায় এবং বর্তমান প্রসারনশীল অবস্থায় পৌঁছায়। অতি সম্প্রতি জানা গেছে প্রায় ১৩ পয়েন্ট ৭৫ বিলিয়ন বছর পূর্বে বিগ ব্যাং তত্ত্ব একটি বহু পরিখিত বৈজ্ঞানিক তথ্য যা বেশিরভাগ বিজ্ঞানী গ্রহণ করেছেন

প্রাকৃতিক গ্রহ ও উপগ্রহ

আমরা আগেই বলেছি যে গ্যালাক্সিতে আমরা বসবাস করি আর তার নাম হচ্ছে ছায়াপথ। এছায়া পথে রয়েছে সূর্য এবং এর পরিবার যাকে সৌরজগৎ বলা হয়। সৌরজগতের রয়েছে সূর্য একে ঘিরে আবর্তনশীল আটটি গ্রহ। যেসব বস্তুর সূর্যের চারদিকে ঘুরে তাদের বলা হয় গ্রহ। সূর্যকে ঘিরে আবর্তন আটটি গ্রহ হল বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন। কোন কোন গ্রহের রয়েছে একাধিক উপগ্রহ। যারা গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরে এদের বলা হয় উপগ্রহ। যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে চাঁদ তাই চাঁদ পৃথিবীর একটি উপগ্রহ।

 সুতরাং পৃথিবী সূর্যের একটি গ্রহ এবং চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা গ্রহে জন্মের সময় এক একটি নক্ষত্রকে ঘিরে কয়েকটি মহাজগতিক মেঘ আবর্তিত হতো। এরা নক্ষত্রের ঘর সনে ঘনীভূত হয়ে অবশেষে জমাট বেঁধে গ্রহে রূপান্তরিত হয়। উপগ্রহর কোন আলো উত্তাপ নেই। এদের উপর সূর্যের আলো পড়ে তাই প্রতিফলিত হয়। পৃথিবী ১টি, মঙ্গলের ২টি, বৃহস্পতির ৬৭ টি, শনির ৬২টি, ইউরেনাসের ২৭ টি এবং নেপচুনের ১৪টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ আছে।

কৃত্রিম উপগ্রহ এর ইতিহাস

মানুষের পাঠানো যেসব বস্তু বা মহাকাশযান পৃথিবী কে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরে তাদের বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ। উৎক্ষেপণ করা হয় পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের প্রভাবে চাঁদের মত এরা এদের কক্ষপথে ঘুরে। কৃত্রিম উপগ্রহ চাঁদের তুলনায় অনেক ছোট এবং তার তুলনা অনেক নিচু দিয়ে পৃথিবী চারদিকে ঘুরে। নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরার জন্য এর প্রয়োজনীয় দ্রুতি থাকতে হয়। মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস খুব একটা পুরনো নয় । একেবারে নতুন আপনারা যেন অবাক হবেন যে মহাকাশ যাত্রার প্রথম পদক্ষেপটি শুরু হয়েছিল  1957 সালে 4 অক্টোবর এই যাত্রা সূচনা করে।



 তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহের নাম এক্সপ্লোরার ওয়ান। এই উপগ্রহ ১৯৫৮ সালের ২ রা ফেব্রুয়ারি মহাকাশে পাঠানো হয়। ভস্টক ১ নামক সোভিয়েত কৃত্রিম উপগ্রহ। মানুষ নিয়ে প্রথম পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ভস্টক ৬ নামক কৃত্রিম উপগ্রহের চড়ে প্রথম সোভিয়েত নারী মহাকাশচারী valentina তেরেসকোভা মহাকাশে ঘুরে আসেন ১৯৬৩ সালে। রিমোর্ট sensing বা দূর অনুধাবনের জন্য পাঠানো প্রথম উপগ্রহ হলো ল্যান্ড সেট ওয়ান। একে পাঠানো হয় ১৯৭২ সালে।

কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথে চলা বা ভ্রমণ

পৃথিবীর চারদিকে ঘুরার জন্য কেন্দ্রমুখী বল বাটানের প্রয়োজন হয়। কৃত্রিম উপগ্রহের উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বা বল অভিকর্ষ বলয় এই কেন্দ্রমুখী বল যোগায়। হিসাব করে দেখা গেছে যে যদি কোন কৃত্রিম উপগ্রহকে পৃথিবীর প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উপরে তুলে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সমান্তরালভাবে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮ কিলোমিটার ব্যাক দেওয়া যায় তবে, কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকবে। কিন্তু এত উপরে তোলা কোন বস্তুকে এত বেশি বেক দেওয়া সহজসাধ্য ব্যাপার নয়।

কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার ও গুরুত্ব

কৃত্রিম উপগ্রহ নানা রকম কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার অনুসারে এদের বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। যেমন যোগাযোগ উপগ্রহ, আবহাওয়া উপগ্রহ, পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ, সামরিক বা গোয়েন্দা উপগ্রহ, নৌ-পরিবহন উপগ্রহ ও জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক উপগ্রহ।

যোগাযোগ উপগ্রহ

আমরা অনেকে ইংল্যান্ড আমেরিকা বা অন্য কোন দেশের আতীয় স্বজনদের সাথে টেলিফোনে কথা বলে থাকি। আমরা যখন টেলিফোনের অন্য দেশে কারো সাথে কথা বলি তখন আমাদের দেশের কোন ডিস এরিয়াল থেকে একটি বেতার সংকেত কৃত্রিম উপগ্রহের প্রেরিত হয়। উপগ্রহটির সংকেতটিকে অপর দেশের ডিস এরিয়ালে একটি সংকে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে যার সাথে কথা বলছি তার টেলিফোনে পৌঁছায়। আমরা বিভিন্ন দেশে বিশ্বকাপ বা অলিম্পিক গেম টেলিভিশনে দেখে থাকি। অন্য দেশ থেকে একইভাবে বেতার সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের টেলিভিশনে পৌঁছায়। এভাবে যোগাযোগ উপগ্রহ কাজ করে।

আবহাওয়া উপগ্রহ

আমরা টেলিভিশন ও রেডিওতে আবহাওয়ার খবর শুনি। এবং পত্রিকার আবহাওয়ার খবর পড়ি। এসব মাধ্যম আবার এই পূর্বাভাস কোথা থেকে পাই? আবহাওয়া উপগ্রহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দানকারী ব্যক্তিদের জানিয়ে দেয়। ওই দিনের পরবর্তী কয়েক দিনের আবহাওয়া কেমন হবে, কোথায় মেঘ সৃষ্টি হবে, কোন কোন দিকে মেঘ যাচ্ছে বা কোথায় কখন সৃষ্টি হতে পারে।

আরো পড়ুন: কেন ব্রণ হয় - ব্রণের সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন 

পৃথিবীর পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ

এই উপগ্রহ পৃথিবীর পৃষ্ঠে সুস্পষ্ট চিত্র দিতে পারে। সমুদ্রে কোন জাহাজ থেকে তেল চুয়ে কোথায় পরিবেশ দূষণ করছে, কোন শহরের বায়ু দূষিত হচ্ছে, তা এ উপগ্রহের সাহায্যে ছবি তুলে জানা যেতে পারে। কোন মাঠে ফসল ভালো হচ্ছে, কোন ফসলে রোগবালাই পোকামাকড় আক্রমণ করছে কিনা তা জানতে ছবি এ উপগ্রহ পাঠাতে পারে।

সামরিক ও গোয়েন্দা উপগ্রহ

গোয়েন্দার কাজ করার জন্য সামরিক বাহিনীতে যে উপগ্রহ ব্যবহার করা হয় তার নাম গোয়েন্দা উপগ্রহ। প্রতিপক্ষের যোদ্ধা কোথায় লুকিয়ে আছে, গোপনে কোথাও অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে কিনা, কোন গোপন আক্রমণ হচ্ছে কিনা ইত্যাদি খবর সংগ্রহের জন্য এই উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়।

নৌপরিবহন উপগ্রহ

আমরা গাড়ি বিমান বা জাহাজ ভ্রমণ করে থাকি। বিশাল সমুদ্রে জাহাজ কি করে? এর অবস্থান নির্ণয় করে কোন বিমান আকাশে কোথায় আছে তা কি করে জানে? এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাবার সময় কি করে বুঝতে পারে কোথায় আছে? গাড়ি সামুদ্রিক জাহাজ ও বিমান এদের অবস্থান সঠিক নির্ণয়ের জন্য নৌ-পরিবহন উপগ্রহ সহায়তা করে থাকে।

জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়ক উপগ্রহ

এই উপগ্রহে রাখা টেলিস্কোপ বা দুরবিক্ষোণ যন্ত্র মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের  বিজ্ঞানীদের দিয়ে থাকে।

মন্তব্য

উপরোক্ত বিষয়গুলো পরে আমরা জানতে পারলাম গ্রহ নক্ষত্র ছায়াপথ গ্যালাক্সি ইত্যাদির মাঝখানে যে খালি জায়গা থাকে তাকে মহাকাশ বা মহাশূন্য বলে। সূর্য চাঁদ গ্রহ তারা মহাকাশ ছায়াপথ গ্যালাক্সি ইত্যাদি দেখা না দেখা সবকিছু নিয়ে মহাবিশ্ব। মহাবিশ্বের যেসব অংশে পদার্থ বা বস্তু বেশি জড়িত হয়ে থাকে তাদের বলা হয় গ্যালাক্সি । 

নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে যারা ঘোরে তাদের বলা হয় গ্রহ। সূর্য একটি নক্ষত্র। সূর্যের রয়েছে আটটি গ্রহ।  নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে যারা ঘুরে তাদের বলা হয় গ্রহ। আর গ্রহকে কেন্দ্র করে যারা ঘুরে তাদের বলা হয় উপগ্রহ। আর মানুষের পাঠানো যেসব মহাকাশযান পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে তাদের বলা হয় কৃত্রিম উপগ্রহ।

শেষের কথা

সুপ্রিয় বন্ধুরা, এই পাঠ পড়ে আমরা জানতে পারলাম সৌরজগতের মহাবিশ্ব এবং সৌরজগতের সব কিছু সম্পর্কে। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আরো অনেক তথ্য পেতে মোটিভেশন আইডিটির সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url