সফলতার জন্য আপনাকে এই কাজগুলো করতেই হবে।
ভূমিকা
বুকের পাটা বলতে কী বোঝায়? এর ব্যাখ্যা করতে গেলে সম্ভবত বিশ্বের সফল মানুষের যাবতীয় গুণের বর্ণনা পাওয়া যাবে। বুকের পাটা আছে বলতেই এক শক্ত মনের মানুষের কথা মাথায় আসে। আর ব্যাপক সফলতার অন্যতম শর্ত মানসিক দৃঢ়তা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সফল মানুষেরা পরিতৃপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। আবার কিছু মানুষেরা কঠোরভাবে তাদের লোভ দমন করতে পারেন। তারা যা করতে চান তা সম্পন্ন করতে অকুতোভয় থাকেন। এছাড়া এসব দৃঢ়তা তাদেরই থাকে যাদের মনসিকতা পাহাড়ের মত অটল। এখানে দেখুন কিভাবে দুর্দমনীয় মনের অধিকারী হওয়া যায় অর্থাৎ সফল মানুষেরা কেমন হন।
এমনভাবে কাজ করুন যেন আপনি নিয়ন্ত্রক
বলা হয়ে থাকে অ্যান্টি ওয়াচের তৃতীয় বিশপ বলেছিলেন ঈশ্বর যেন সবকিছুর দেখাশোনা করেন এজন্য প্রার্থনা করো। আর কাজ করো এমনভাবে যেন এ সব কিছুর দায়িত্ব তোমার ওপর বরতেছে। এই একই কাজ প্রযোজ্য ভাগ্য গড়ার ক্ষেত্রে। অনেকের কাছে সফলতা আসলে ভাগ্য সহায় করেছে। কিন্তু বিফল হলে ভাগ্য বিরূপ বলে ধরে নেন। সফল ব্যক্তিরাও ধারণা করেন যে সফলতার পেছনে তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। কিন্তু তারা ভাগ্যের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করেন না। কাজে সফলতা না বিফলতা আসবে তার ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ করে নেই তারা। একই সঙ্গে তারা ভবিষ্যতে কি হতে পারে তা চিন্তা করে থেমে থাকেন না। তারা কার্যসিদ্ধি করতে মন প্রাণ ঢেলে দেন।
দৃঢ়তা অপচয় করবেন না
মানসিক শক্তি অনেকটা পেশি শক্তির মত। তাই কারো কাছে এর শক্তির সীমাহীন সরবরাহ নেই। কাজেই যেখানে শক্তি প্রয়োগ করে কাজ হবে না সেখানে কেন শক্তি ক্ষয় করতে যাবেন? রাজনীতি বা পরিবার বা যে কোন বিষয়ই হোক না কেন, যেখানে কাজ হবে না সেখানে শক্তি অপচয় করবেন না।
অতীত প্রশিক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়
অতীত খুব মূল্যবান। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন। এরপর শিক্ষা অর্জন করে তা ভুলে যান। কাজে অতীতে যা হয়েছে তাকে আপনার প্রশিক্ষণ বলে মনে করবেন। অতীত আপনাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।
আরো পড়ুন:পোর্টফলিও তৈরির নিনজা টেকনিক।
অন্যের সফলতায় আনন্দ করুন
আমাদের আশেপাশে কারো সফলতা দেখলে আমাদের অধিকাংশই তাতে ঈর্ষা করেন। কিন্তু অন্যরা যা করছেন তার চেয়ে অনেক ভালো কিছু আপনিও করতে পারেন। অন্যের সফলতা দেখে তার নিজের মধ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে আনলে তাতে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। এতে হবে শক্তি ক্ষয়, তাই কোন বন্ধু যখন সফল হবেন তখন আপনিও তার সফলতার আনন্দ প্রকাশ করুন।
নিজেকে নিজে দোষারোপ করবেন না
আপনার কথায় যথেষ্ট দৃঢ়তা আছে। বিশেষ করে যখন যা নিজের সঙ্গে বলেন তাই নিজেকে নিজে দোষারোপ করলে শেষ পর্যন্ত মন ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই এটি বাদ দিয়ে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করুন। নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলুন কিভাবে কাজ গুলো সম্পন্ন করা যায়। এজন্য অন্যের সাহায্য নিয়ে যেতে পারেন।
নিজের সন্তুষ্টির ওপর জোর দিন
যা করেছেন বা করে সফল হয়েছেন তার জন্য সবার আগে নিজেকে ধন্যবাদ দিন। কারণ গোটা প্রক্রিয়ায় যেন আপনাকে যেভাবে সাহায্য করুক না কেন, সবকিছু আপনি নিজেই করেছেন।
আরো পড়ুন: ক্যারিয়ার টিপস
আশীর্বাদ গুলো দেখে নিন
প্রতিদিন আপনি কোন না কোন ভাবে আশীর্বাদ পুষ্ট হয়েছেন। তাই কি কি পান নি হিসাব না করে কি কি পেয়েছেন তা গুনে দেখুন। এসব আশীর্বাদ আপনাকে প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বা যাবে।
মন্তব্য
জীবন চলার পথে আমাদের মনবল ভেঙে যেতে পারে। নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ না হওয়ায় আমরা সব সময় সমালোচনার মাঝে থাকি। এবং জীবনের সফলতা না পাওয়ার কারণেই যে কারোরই মন মানসিকতা অবস্থার অবনতি হতে পারে। কিন্তু নিজেকে যদি খুব বেশি বিষন্নতার মধ্যে ফেলতে না চান, তাহলে অবশ্যই নিজের মনোবল ধরে রাখতে হবে। যতই কষ্ট হোক না কেন। মনোবল ভেঙ্গে পড়তে দেয়া যাবে না। কারণ মনোবল ভেঙ্গে যাওয়া মানে আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাওয়া।
আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেলে আপনি নিজের প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলবেন। এতে করে আপনি হেরে যাবেন কঠিন বাস্তবতার সামনে। জীবনটাকে সুখী করতে চাইলে মনোবল না হারিয়ে নিজেকে শক্ত করে তুলতে হবে, মনকে শক্ত করতে হবে। নিজের মানসিকতা একটি জায়গায় বন্ধ করে না রেখে অন্যের পরামর্শ নিন। প্রত্যেকে নিজের জীবনের সঙ্গে নিজে যুদ্ধ করছেন এবং করে চলেছেন, তাই নিজের চেয়ে অভিজ্ঞ মানুষের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url