গর্ভাবস্থায় কি খাবেন কি খাবেন না
গর্ভাবস্থায় কি খাবেন কি খাবেন না
আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার যেটি ভিটামিন এবং মিনারেলস্ সোর্স। আর তা হল এ রকম ফ্রুটস। এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, কোন খাবারগুলো কোন ফ্রুটসগুলো খেলে সুস্থ থাকবে বা কোনটি প্রেগন্যান্সিতে খাবো না। কারণ এই সব মায়েদের কিন্তু একটু ভীতি থাকে৷
আবার সবাই এটাকে এনজয় করে। গর্ভধারণের পর প্রতিটি নারীকেই অনাগত সন্তানের কথা ভেবে খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়। অনেক খাবার আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে কিছু কিছু ফল গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়। কারণ কিছু ফল গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। চলুন। তবে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাবেন না বা সাবধান হবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় কি খাবেন কি খাবেন না
- গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবেনা
- অবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল এড়িয়ে চলুন
- গর্ভাবস্থায় কলা এড়িয়ে চলুন
- গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়া থেকে সতর্ক হোন
- গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খেজুর খাবেন না
- গর্ভাবস্থায় টমেটোর এড়িয়ে চলা ভালো
- গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খাওয়া নিরাপদ
- মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া যাবে না
প্রথম তিন মাসের গর্ভাবস্থা কালে আনারস এড়িয়ে চলুন। কারণ আনারস খাওয়ার ফলে জরায়ুতে তীব্র সংকোচন হতে পারে। এর ফলস্বরূপ গর্ভপাত ঘটতে পারে। আনারসে ব্রোমেলিন থাকে। এটি একটি এনজাইম যা প্রোটিনকে ভেঙে দেয়। ফলে জরায়ু নরম হয়ে অকাল প্রসব ঘটতে পারে। এ জন্য গর্ভাবস্থায় আনারস খাবেন না। যারা নরমাল কনসিভ করতে পারেন তাদেরকে বলব যে তিন মাস পর্যন্ত আপনি কাঁচা আনারস বা পাকা আনারস অনেকটা পরিমাণে খাবেন না।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি
গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খাওয়া যাবে না
কাঁচা পেঁপে অথবা পাকা পেঁপে টা আপনি একটু ওয়েট করবেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন থাকলেও গর্ভবতীদের জন্য এই ফল ততটা উপযুক্ত নয়। কারণ পেপে শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই ফল লেটেস্ট সমৃদ্ধ যা জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত, গর্ভপাত ঘটার কারণ হতে পারে। এটি ভ্রূণের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খাওয়া এড়ানো ভালো গর্ভাবস্থায়।
গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর ফল এড়িয়ে চলুন
আঙুর খাওয়া এড়ানো উচিত। সবুজ বা কালো উভয় ধরনের আঙুরই ক্ষতিকর হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে মিশ্র মতামত আছে। কারন আঙুরে থাকা যোগীর প্যাট্রোল গর্ভবতী নারীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কালো আঙুরের চামড়া হজম করা কষ্টকর হতে পারে। কারণ এই সময় হজম ব্যবস্থা দুর্বল থাকে। সে গর্ভাবস্থায় টক জাতীয় কিছু খেতে ইচ্ছে করলেই তেঁতুলের কথা ভাবতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা গর্ভবতী নারীদের এড়ানো উচিত। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে প্রোটিনের উৎপাদন কমে যায়। ফলে গর্ভপাত করতে পারে। এমনকি ব্রেনের কোশের ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে খুব বেশি তেঁতুল খাবেন না। এড়িয়ে যেতে পারলে আরও ভালো।কিছু কিছু কোর্স আছে বিশেষ করে সাইট্রাস ফুড গুলো কে কখন বিকেলের পরে আপনি আপনার খাবারে করবেন না। এতে আপনার মিটিংটা নীতি বা খাবারটা ইনডাইজেশন হওয়ার পসিবিলিটি তখন বেড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় কলা এড়িয়ে চলুন
গর্ভবস্থায় এড়ানো উচিত এমন ফলের তালিকায় আছে কলার নামটিও। বিশেষ করে যেসব নারীরা গর্ভবস্থায় অ্যালার্জি বা ডায়াবিটিসে ভোগেন তাদেরকে কলা খেতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। কলাতে চিনের থাকে। এটি একটি ল্যাটেক্স জাতীয় উপাদান যা একটি পরিচিত অ্যালার্জেন। এটি শরীরের উত্তাপ বাড়ায়। তাই চিনির অ্যালার্জিযুক্ত নারীদের গলা থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়া কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কলা খাওয়া এড়ানো উচিত।
গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হোন
গরমে তরমুজ খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি দেহ থেকে সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সক্ষম তরমুজ। তবে এর খারাপ দিকও আছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে শরীরের সব ধরনের টক্সিন ধ্বংসের পাশাপাশি ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এই ফল গর্ভবতীর জন্য ততটা খারাপ নয়৷ তবে এর খারাপ প্রভাব শরীরে পড়তে পারে। আবার তরমুজ অতিরিক্ত সেবনে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। কখনও কখনও তরমুজের মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যে। শরীর থেকে টক্সিন এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও বের করে দিতে পারে। এছাড়া এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। ফলে গর্ভবতী নারীর সর্দী হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। খেলেও খুব বেশি নয়।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খেজুর খাবেন না
খেজুর অত্যধিক পুষ্টিকর একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় নিষিদ্ধ ফলের তালিকায় খেজুর আছে। এর প্রধান কারণ হল এর ফল শরীরকে উত্যক্ত করে জরায়ুর পেশী গুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জরায়ুর সংকোচনের কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খেজুর কখনও খাবেন না।
গর্ভবতী নারীদের উচিত হিমায়িত বা দীর্ঘ সময় ধরে শুকনো কোনও ফল না খাওয়া। এর মধ্যে হিমায়িত বেরি অন্যতম গর্ভাবস্থায় সব সময় তাজা ফল খাওয়া উচিত। হিমায়িত খাবারে ফরমালিন বা বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে। অর্থাৎ যখন যে সিজন থাকবে সেই সিজনে ফ্রুটসগুলোকে কিন্তু আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় সাজাতে পারেন।
টমেটো এড়িয়ে চলা ভালো
বিভিন্ন সুপার শপে টমেটো পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। এতে থাকতে পারে ক্ষতিকর পদার্থ। দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখতে ব্যবহৃত হয়।
গর্ভাবস্থায় কোন ফলগুলো খাওয়া নিরাপদ
চলুনএখন জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল নিরাপদ। ফোলির সমৃদ্ধ ফুড কিন্তু খাদ্য তালিকায় রাখতে হয় এবং তা হল এমন মালটা কমলা এই জাতীয়। গর্ভবস্থায় উপকারী ফলের মধ্যে আছে আপেল, ডালিম, নাশপাতি, আম, কমলালেবু, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা।
আরো পড়ুনঃপটলের উপকারিতা ও অপকারিতা
মন্তব্য
আপনার যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে আগে পরামর্শ নিয়ে তবেই খান। প্রতিদিন একজন গর্ভবতী নারী দুই থেকে চারটি তাজা ফল খেতে পারেন।
শেষের কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধু, পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে এবং উপকৃত হলে, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে বন্ধুদের জানাতে সাহায্য করবেন। প্রতিদিন নতুন নতুন স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস পেতে আমার ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url