বয়সন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন
বয়সন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন
পোস্ট সূচিপত্র: বয়সন্ধিকালে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন
- বয়সন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা কি জানি
- বয়সন্ধিকালের নতুন ভাবনা গুলো
- বয়সন্ধিকালে কী কী পরিবর্তন হয়?
- বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রতিক্রিয়া
- বয়সন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন
- বয়সন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তন
- বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রতি পরিবারের কর্তব্য
বয়সন্ধিকালীন আমাদের শারীরিক মানসিক পরিবর্তন সাজিত হয় এ সময় আমাদের মাঝে আবেগ রাগ মানসিক পরিবর্তন শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
বয়সন্ধিকালে শরীরের পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা কি জানি
বয়সন্ধিকালে আমাদের শরীর ও মন পরিবর্তনের একটি পর্যায়ে এটি বিকাশের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, প্রত্যেক মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে বয়সন্ধিকাল মেয়েদের আট থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে বয়সন্ধিকালীন পরিবর্তন দেখা যায় ছেলেদের ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে এই পরিবর্তন দেখা যায় এ সময় শরীর ও মনে নানা ধরনের পরিবর্তন শুরু করে।
বয়সন্ধিকালের নতুন ভাবনা গুলো
বয়সন্ধিকাল সম্পর্কে আমাদের একটি ভাবনা হলো মানব জীবনের স্বাভাবিক স্যার বৃত্তীয় প্রক্রিয়া এর মাধ্যমে ছেলে ও মেয়ের দের নানা রকম শারীরিক মানসিক পরিবর্তন চালিত হয় ছেলেমেয়েদের মাঝে নতুন কৌতুহল ও আবেগপ্রবণতা বৃদ্ধি পায় মেয়েদের মাসিক এবং ছেলেদের বীর্যপাত একটি স্বাভাবিক ঘটনা।
মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত 10 থেকে 16 বছর এবং ছেলেদের ১৫ থেকে ২০ বছর। জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং এসময় কিন্তু ছেলে মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক বেশ বড়ো রকমের পরিবর্তন হয় এবং এই পরিবর্তনগুলো হয় শরীরের বিভিন্ন হরমোনের কারণে।
বয়সন্ধিকালে কী কী পরিবর্তন হয়?
সাধারনত দেখা যায় প্রধান তিনটি পরিবর্তনের মাধ্যমে এই বয়ঃসন্ধিকালের শুরু হয়।
১.সাধারণত দেখা যায় যে ধীরে ধীরে তার শরীরের বিভিন্ন গঠনের পরিবর্তন হয়। তার জন্য ধীরে ধীরে বিভিন্ন অঙ্গ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাদের শরীরের আকার টা ধীরে ধীরে মেহেদি আকার ধারণ করতে থাকে।
২.এছাড়া তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন এক জেলা বগলের তলা বা পিউবিক হেয়ার ডেভেলপমেন্ট হয়।
৩.এছাড়া সর্বশেষে যেটা হয় সেটা হচ্ছে গিয়ে মেয়ের জীবনে প্রতি মাসে রক্ত ক্ষরণ হয়।জরায়ু থাকে সেটাকে আমরা সাধারণভাবে মাসিক বা পিরিয়ড হিসেবে অভিহিত করে থাকি। এছাড়াও ছেলেদের যৌনাঙ্গ থেকে এক ধরনের পদার্থ বের হয়। যাকে বীর্য বলা হয়। এই তিনটি পরিবর্তে পাশাপাশি কিন্তু তারও বেশ কিছু পরিবর্তন হয়।
আরো পড়ুনঃবাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে দশটি জরুরি খাবার
বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রতিক্রিয়া
বয়সন্ধিকালে কিন্তু অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে সে কিছুটা লজ্জা বোধ করে। তার মধ্যে কিছুটা কনফিডেন্সের তারতম্য দেখা যায়। তাই এই সময়গুলোতে পরিবার এবং আশেপাশে যারা মানুষ থাকে তাদের কিন্তু তাঁদের প্রতি বেশ সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হত। এছাড়া আমরা যখন দেখি যে এই সময়ে একজন মা একজন গার্জিয়ান মেয়ে। তিনি একজন চিকিৎসকের কাছে কেন আসে বয়ঃসন্ধিকালে।
সবচেয়ে কম যে সমস্যাটা আমরা লক্ষ করি সেটা হচ্ছে মাসিক অনিয়মিত হওয়া বা মাসিকের কিছু না অনেকের ক্ষেত্রেই এটা হতে একটু সময় লাগতে পারে। অনেকের একই মাসে 2 বা তিনবার পুজের মত হতে পারে বা অনেক সময় মাসিকের সময় ব্যথা হওয়াটাও কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু না। যদি ব্যাথাটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে বা সবজির মধ্যে থাকে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে আমার সেটা এতই অনিয়মিত হচ্ছে৷ যে আসলে তার একচুল কখন আসলে মাসিক হয়েছে সেটা সে বুঝতে পারছে না।
এতই ব্যথা হচ্ছে তার রেগুলার যে কাজকর্ম বা স্কুলে যাওয়া সেগুলো ব্যাহত হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেই সমস্যাগুলো কিন্তু আসলে ও বেশি সমস্যা এবং সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কিন্তু অবশ্যই সেই রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। পেরিয়ড সময় প্রচন্ড ব্যাথা হওয়া।
বয়সন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তন
বয়সন্ধিকালে বেশ কিছু পরিবর্তন যেমন হঠাৎ করে ব্রণ হওয়া, হঠাৎ করে মোটা হয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে শুকিয়ে যাওয়া এই পরিবর্তনগুলো নিয়েই সমস্যাগুলো নিয়ে একজন বয়ঃসন্ধিকালে একজন মেয়েকে নিয়ে সাধারণত বাবা মারা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন৷ সমস্যাগুলো কিন্তু আসলে ও বেশি সমস্যা এবং সেক্ষেত্রে আমাদেরকে কিন্তু অবশ্যই সেই রোগীকে রেখে সেই অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা দিতে হয়।
এছাড়া অন্যান্য সমস্যা যেমন অতিরিক্ত ব্রণ হওয়া ওজন হঠাত্ করে বেড়ে যাওয়া কমে যাওয়া। এটা কি স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে নাকি? আসলে এটা অস্বাভাবিক সেটাও কিন্তু আমাদের রোগীকে দেখে তাঁর কাছ থেকেই হিস্ট্রি নিয়ে বা তার কিছু ছোটখাট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নির্ধারণ করতে হয় এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয় হয়।
বয়সন্ধিকালে মানসিক পরিবর্তন
এছাড়াও আরও বেশ কিছু মানসিক পরিবর্তন হয়, যেটা আসলে আমরা শারীরিক পরিবর্তনগুলোকে আমরা যত মুম্বই আমরা মূল্য দেই, আমরা কিন্তু মানসিক পরিবর্তনটা আসলে ঐভাবে আইডেন্টিফাই করি না। কিন্তু এটা খুবই দরকার।কারণ এখনকার মানসিক পরিবর্তনের ধারা সেটাই। কিন্তু পরবর্তীতে তার জীবনটাকে তৈরি করবে। যেমন অনেকে সময় খুব আবেগপ্রবণ হয়ে যান। অল্প কথায় মন খারাপ করেন। হয়তো ছোট ছোট ঘটনা আগে যেগুলো হয়তো সে গায়ে লাগত না, এখন সেগুলোর ব্যাপারে বেশ রিঅ্যাক্ট করে।
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় বুক জ্বালাপোড়া ভাবের ঘরোয়া প্রতিকার
বয়সন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রতি পরিবারের কর্তব্য
বেশিরভাগ সময়টা হয় পরিবারের লোকজন আশপাশের লোকজন জিনিসটাকে হয়তো বেয়াদবি বা হয়তো স্বাভাবিক মনে করে। যে এই জিনিসগুলো আসলে এরকম হয়। এরকম হতে পারে আসলেই হয় হতে পারে। কিন্তু অস্বাভাবিক কিনা সেটা আমাদেরকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজন হলে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা। এই জিনিসটা কিন্তু অনেক ইম্পরট্যান্ট ক্ষেত্রে ধরেন।
কারও হয়তো সামান্য কথাতেই হঠাত্ করে একদম খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু দেখা গেল যে তাতেই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করার ফলে কিন্তু তাঁর শরীরে যে গঠন এটাতে কিন্তু ছেলে মেয়েদের গঠনের পরিবর্তন হয়। দেখা যায় যে নরমাল যে গঠনটা সংগঠনটা হয়তো তাঁর ব্যাহত হচ্ছে। এবং অনেক সময় দেখা যায় যে এই সময়টাতে কিন্তু অনেক মেয়েদের অনেক রকমের রোগ, ডায়াবেটিস করতে পারে। যদি আমরা আসলে বিশেষজ্ঞের কাছে যেয়ে এবং সেই অনুযায়ী কিন্তু তখন তাকে চিকিৎসা দিতে হবে।
চিকিৎসা মানে সবসময় ওষুধ তা কিন্তু না। এক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের বাবা মা বা ফ্যামিলি মেম্বার বা আশেপাশে মানুষ আছে তাদের কিন্তু বেশ বড়ো ভূমিকা আছে৷ স্কুলের বেশ বড়ো ভূমিকা আছে৷ বাড়িতে যাঁরা অভিভাবক, দাদা-দাদী,নানা-নানি তাঁদের কিন্তু বেশ বড় ভূমিকা আছে। তাকে সেরকম মানসিক সাপোর্ট দেওয়া। যে এই পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক সব মেয়েই হবে বরং পরিবর্তন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক৷ এভাবে তার মধ্যে কনফারেন্স করানো
এবং তার যদি কোনো প্রব্লেম হয় অনেক সময় হয়তো লজ্জার কারণ এই প্রবলেমগুলো তার সাথে শেয়ার করতে চায় না। শেয়ার করতে পারে এবং সেয়ার করার পরে বাড়ির লোকজন যদি মনে করে। যে এটা আসলে প্রবলেম, তখন আসলে নিজেদের প্রচলিত ধারণায় চিকিৎসা না করে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে মতামত নেওয়া আসলে প্রয়োজন রয়েছে। যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ। সেই রোগে প্রচণ্ড মাসিকের সময় ব্যথা হয় এবং এটার কিন্তু আর্লি স্টেজ।
যদি দেয় এবং ট্রিটমেন্ট করা যায় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণে যে সমস্যাগুলো হয় সেগুলোকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া যায়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা এই জিনিসগুলো আইডেন্টিফাই করতে পারি না এবং যখন আইডেন্টিফাই করি তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। এর জন্য বয়ঃসন্ধিকালে যে সমস্যাগুলো সমস্যাগুলোকে অবশ্যই আমাদে
চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটা বললাম যে সবসময় কিন্তু চিকিৎসা মানেই ওষুধ না। এক্ষেত্রে ফ্যামিলি মেম্বারের। সচেতনতার ব্যাপার আছে। তাঁদের মানসিক সাপোর্টের ব্যাপার আছে। এ ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা লাইফস্টাইল মডিফিকেশনের কথা বলি। তার পরে না মাসিকের সময়ে যদি কারও অতিরিক্ত ব্যথা হয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, সেই অনুযায়ী কিন্তু আমরা স্কুল বা স্কুলের টিচার।
তাদের সাথে আমরা কথা বলে রাখতে পারি যাতে ওই সময় যদি কোনও সমস্যা হয়, যদি স্কুল মিস হয় সেটাকে যেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়। কারণ অনেক সময়েই প্রেশার গুলোর কারণেও কিন্তু মেয়ের মেন্টাল যে ডেভেলপমেন্ট সেরকমটা ব্যহত হয়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url