কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

 কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

মহান আল্লাহ তাআলা যেভাবে আমাদেরকে আখেরাতে সফলতার পথ এবং পদ্ধতি বলেছেন। তেমনি ভাবে বিভিন্ন রকমের রোগ বালাই থেকে অসুখ বিসুখ থেকে  বাচার পথ ও বলেছেন মোহাম্মদ (স.) অনেকগুলো দোয়া জিকির এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা পদ্ধতি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি অনেক চিকিৎসার কোথাও আমাদের বলে গেছেন। তিনি নিজে কিছুই বলেন না। তিনি যাই বলেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে বলে থাকেন।

 যার কারণে তিনি হয়ত চিকিৎসার কথা বলেছেন, সেটা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ। আমাদের জীবনে যে কোনও অসুখ বিসুখ থেকে বাঁচার আপাতদৃষ্টিতে সব হয়। আজ আমি কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতার কথা বলব।যেগুলো আপনার সকল রোগবালাই থেকে সকল অসুখ বিসুখ থেকে নিরাপদে এবং সুস্থ রাখবে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

  • কালোজিরার উপকারিতা
  • মধুর উপকারিতা
  • জমজমের পানির উপকারিতা
  • আজোয়া খেজুরের উপকারিতা
  • মন্তব্য

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা

 প্রথমে যে বিষয়ে কথা বলব তা হল কালোজিরা। কালোজিরা প্রসঙ্গে হাদিসে আছে, নবী(স) বলেছেন, মহান আল্লাহ তায়ালা কালোজিরা এর ভেতরে মৃত্যু ছাড়া পৃথিবীর অন্য সকল রোগের প্রতিষেধক রেখেছেন। সকল রোগের ওষুধ রেখেছেন, চিকিৎসা রেখেছেন। অর্থাৎ কালোজিরা যদি কেউ গ্রহণ করেন খান সরাসরি খাওয়া হতে পারে। তেল করে খাওয়া যেতে পারে৷ পান করা হতে পারে অথবা ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যেভাবেই হোক না কেন, কালোজিরা যদি কেউ খান তাহলে এর মাধ্যমে আপনি সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তাই নিয়মিত এটাকে খাওয়া দরকার এবং এটাকে নিয়মিত নিজের জন্য গ্রহণ করা দরকার। 

আরো পড়ুনঃ এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

মধু খাওয়ার নিয়ম এবং এর উপকারিতা

দ্বিতীয়ত, যে চিকিৎসার কথা তিনি হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন তা হল মধু। এরমধ্যে মানুষের জন্য রয়েছে আরোগ্য লাভের উপাদান। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজেই মধু পছন্দ করতেন যেভাবে মুসলিম মনে করছেন। সমন্বয় করা হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দুটি শিফা আরোগ্য লাভের উপায়। তোমরা সব সময় অবলম্বন করবে। তার একটি হল মধু অর্থাৎ মধুপান করা৷ এটা যেমন চিকিৎসার কাজ দেয়, মধু পান করা এটাও মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, বা মানুষকে বিভিন্ন রকমের রোগ বালাই থেকে চিকিৎসার কাজ দেয়। মধু পান আমরা সর্ব রোগের ওষুধ হিসাবে আমরা গ্রহণ করতে পারি। 

জমজমের পানির উপকারিতা

 তিন নম্বর হল জমজমের পানি পান করা। জমজমের পানি আল্লাহ তায়ালার নিয়াম মত। এ পানির মধ্যে আল্লাহ তায়ালা অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছেন বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তির জন্য। এই পানি পান করলে আল্লাহ তায়ালা অলৌকিকভাবে বিভিন্ন ধরনের লোক বালাই দূর করে দেন। জমজমের পানি এটা সর্ব রোগের একটি মহৌষধ । স্বর্গের একটি কমন চিকিৎসা এবং নবমী চিকিত্সার মধ্যে থেকে একটি হল পানি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কয়েকজনকে চিনি। যাদের বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি ছিল এবং সমস্ত ব্যাধি থেকে আত্মরক্ষার জন্য চিকিত্সার জন্য তারা পৃথিবীর যত চিকিৎসা হতে পারে তার সবগুলো তাঁরা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সকল চিকিৎসায় ব্যর্থ হয়েছে। একপর্যায়ে তারা জমজমের পানি কি নিয়মিত পান করছেন। তাদেরকে অলৌকিক ভাবে আল্লাহ তাআলা সুস্থতা দান করেছে। অতএব জন্য এটাও সর্ব রোগের একটি কমন মহৌষধ। 

আজোয়া খেজুর এর উপকারিতা

 আজোয়া খেজুর আজব এক প্রকার খেজুর। এই বিশেষ প্রকৃতির খেজুর একটু দাম বেশি। খেজুর প্রসঙ্গে হাদিসে আছে, কেউ যদি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজোয়া খেজুর খায় ওই দিনে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনও রোগ তার কোনও ক্ষতি করতে পারে না। অতএব আজোয়া খেজুর এর মধ্যে প্রতিষেধক রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃপটলের উপকারিতা ও অপকারিতা

মন্তব্য

আমরা জানি কালোজিরা জমজমের পানি আজোয়া খেজুর মধু এগুলোর ভিতরে মহান আল্লাহতালা অলৌকিকভাবে মানুষের চিকিৎসা রেখেছেন। যে কোনও বদ দোয়া থেকে বাঁচার জন্য অথবা আত্মরক্ষার জন্য, চিকিৎসার জন্য, আরোগ্য লাভের জন্য, আপনার এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে আল্লাহ তাদেরকে রক্ষা করবেন। সেই সাথে সুরা ফাতেহা এটাও সকল রোগের জন্য অলৌকিক চিকিৎসা। সুরা ফাতেহা পরে আমরা কোনো পানিতে ফু দিয়ে পান করলে মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সমস্যার সমাধান করে দেন। মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখুন। সুস্থ রাখুন। স্বাভাবিক রাখুন।

শেষের কথা

আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে জানতে পারলাম আজুয়া খেজুর, মধু, জমজমের পানি এবং কালোজিরা। এই জিনিস গুলার মধ্যে মহান আল্লাহতালা অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছেন। যেগুলো মহান আল্লাহ তায়ালা নির্দেশনা অনুযায়ী খেলে আমাদের সকল রোগের সমাধান হয়। মহান আল্লাহ তাআলা এসব জিনিসের মধ্যে এক অলৌকিক শক্তি প্রদান করেছেন। প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ে যদি আপনার কোন উপকার হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই বন্ধুদের জ্ঞাতার্থে শেয়ার করে দিবেন। বন্ধুদের এসব বিষয়ে জানার সুযোগ করে দিবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url