কিভাবে ওজন বাড়াবেন জেনে নিন

 কিভাবে ওজন বাড়াবেন জেনে নিন

ওজন কমানো মোটা মানুষদের কি শুধু বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়? এমনও বলতে শোনা যায়। আমার জীবনে একটাই চাওয়া অনেক খাব কিন্তু মোটা হব না। আপনি কি জানেন? এমন মানুষ আছে যারা নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করে তবে ওজন বাড়ে না। এমনকি শুকনো হওয়ার জন্য তাদের নানা রকম বুলিং এর শিকার হতে হয়।

ওজন কিন্তু নানান কারণে কম হতে পারে। খাদ্যাভ্যাস তো আছেই। অনেক সময় জেনেটিক কারণেও ওজন কম হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের কারণেও ওজন কম থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।যাঁরা ওজন বাড়াতে চান আর কীভাবে ওজন বাড়াবেন, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি। অবশ্যই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে ওজন বাড়াবেন জেনে নিন

  • ওজন বাড়াতে পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিনরা কি বলছেন ?
  • পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিন
  • ওজন বাড়াতে নিয়মিত এবং পরিমাণমতো বিভিন্ন ধরনের বাদাম খান
  • ওজন বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
  • আপনার নিজের ওজন অনুযায়ী আপনার ওজন বাড়াতে পানি পান করুন
  • মন্তব্য

পুষ্টিবিদ বা ডায়েটিশিয়ানরা কী বলছেন ?

তাই আজকে জানাতে চেষ্টা করবো। নিজের উচ্চতা এবং বর্তমান ওজন জেনে নিয়ে কিছু হিসাব কিতাব এর মধ্য দিয়ে আদর্শ ওজন বের করে নেওয়া যায়৷ যেমন আপনার উচ্চতা যত সেন্টিমিটার তা থেকে একশ বিয়োগ করলে আপনি পাবেন কিলোগ্রামে আপনার কাম্য ওজন। ওজন জানতে চাইলে গুগলে ওজন ক্যালকুলেটরের বা ইংরেজিতে ওয়েট ক্যালকুলেটর লিখে সার্চ দিলে সহজেই নিজের বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজনের পরিমাপ জেনে নেওয়া যায়।

তাছাড়া বর্তমানে ওজন মাপার অনেকগুলো অ্যাপস রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজে আপনার ওজন নির্ণয় করতে পারেন।আপনি জানেন আপনার আদর্শ ওজন কতো হওয়া উচিত। সুতরাং সেই অনুযায়ী ডায়েট এবং ব্যায়াম করতে হবে। অনেকেই মনে করি জিম করা শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু এই ধারণা একদম সঠিক নয়। ওজন কমানো হোক কিংবা ওজন বাড়ানো যে শারীরিক কসরত আমাদেরকে ফিটন্ত থাকতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ কাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের কার্যকারিতা

পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিন

প্রথমেই আসি খাদ্য তালিকায় নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান। মোটা হওয়ার উপায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার। অর্থাৎ আপনাকে নিয়মিত সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং বারবার খেতে হবে। অর্থাৎ প্রতি 2 ঘণ্টা অন্তর অন্তর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। রাস্তায় নিয়মিত খাবারের সাথে যুক্ত করতে পারেন দুধ কলা সেদ্ধ ডিম ও খেজুর। প্রতিবারই ভাত কিংবা এমন কোনও ভারী খাবার খেতে হবে তা নয়৷ সিজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন ফল কিংবা সব্জি খেতে পারেন৷

দুপুরে খেতে পারেন ভাত ঘন ডাল মুরগির মাংস এক টুকরো জায়গায় দু টুকরো খেতে পারেন৷ গরু কিংবা খাসির মাংস খেলে ওজন বাড়ে। তবে এগুলোতে কিছু ক্ষতিকর ফ্যাট আছে তাই নিয়মিত না খাওয়াই ভালো৷ মাছ আর সব্জি তো আছেই। রাতের মেনুতে থাকতে পারে এমন কিছু খাবার। আর ওই যে বলছিলাম প্রতি 2 ঘণ্টা অন্তর অন্তর পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সকাল দুপুর আর রাতের খাবারের মাঝে যাকে বলা যায় না ফা। যখন তখন ঝামেলা ছাড়াই খেয়ে ফেলা যায় এবং আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটাবে। 

ওজন বাড়াতে নিয়মিত এবং পরিমাণমতো বিভিন্ন ধরনের বাদাম খান

এই তালিকায় প্রথমেই বলতে চাই বাদামের কথা যে কোনও ধরনের বাদাম হতে পারে। কাঠ বাদাম চিনা বাদাম কাজু কিংবা পেস্তা বাদাম শরীরের জন্য এগুলো বেশ উপকারী। তবে এক্ষেত্রে বাদামের সাথে লবণ বা চিনি না খাওয়াই ভাল। স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিছু ত্যাগ করে নিতে পারেন। আর হাতে সুযোগ থাকলে এর সাথে টক দই আর নানারকম ফল মিশিয়ে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে অনেক চিনি অস্বাস্থ্যকর, তেল বা চর্বি যুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। আর যে খাবারগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে যেমন ডিটক্স ওয়াটার। ও ভাবে দুর্বল করে দেবে।

ওজন বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম খুবই জরুরি। সব সময়ে যে জিমে যেতে হবে তা কিন্তু নয়। এমন কিছু ব্যায়াম আছে যেগুলোর নাম আমি বলছি যেমন লঞ্চ, স্কটল্যান্ড, সেটা পুশ আপ। এই গুলো গ্রাম উৎসবে দেখে সঠিক নিয়মে শিখে সহজেই বাসায় করতে পারেন। মনে রাখতে হবে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা জরুরি হলেও, ভুল নিয়মে ব্যায়াম শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিদিন কার্ডিও বা নির্দিষ্ট গতিতে নিয়মিত হাঁটা আমাদের ফিট থাকতে সহায়তা করে। তবে সুযোগ থাকলে আপনার সুবিধাজনক দূরত্বে কোনও ভাল জিমে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী ট্রেনিং এর  সহায়তা নিতে পারেন। শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য জিম বা এক্সারসাইজ করতে হয় এই ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। এই সব কিছুর সাথে 

আপনার নিজের ওজন অনুযায়ী আপনার ওজন বাড়াতে পানি পান করুন

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে একজন মানুষের উচ্চতার অর্ধেক লিটার পরিমাণ করে পানি পান করতে হবে। আর দিনে ছয় থেকে 8 ঘণ্টা ঘুম খুবই প্রয়োজন। 

মন্তব্য

শেষ করার আগে আমার পক্ষ থেকে একটা বিশেষ ট্রীপস। সপ্তাহে 6 দিন একদম নিয়ম মেনে চলুন। কিন্তু এক্সট্রা হিসেবে একটা দিন রাখতে পারেন। যেদিন আপনি খেতে পারবেন আপনার পছন্দের খাবারটা। তবে মনে রাখতে হবে তা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না চলে যায়। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন; কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

শেষের কথা

 প্রিয় পাঠক বন্ধু, আমাদের পোস্টটি ভাল লাগলে এবং আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হলে অবশ্যই আমার পোস্টের সাথে থাকবেন এবং জনস্বার্থে বন্ধুদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url