মরিচের গাছে প্রচুর ফলন পাওয়ার গোপন টিপস জেনে নিন

 মরিচের গাছে প্রচুর ফলন পাওয়ার গোপন টিপস জেনে নিন 

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধুরা। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আমি আপনার সাথে আলোচনা করব মরিচের বাম্পার ফলন পেতে দুটি কার্যকরী পরিচর্যার কথা। মরিচের বাম্পার ফলন পেতে দুইটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। নিম্নে দুইটি পদ্ধতি সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। তাহলে আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

পোস্ট সূচীপত্র: মরিচের গাছে প্রচুর ফলন পাওয়ার গোপন টিপস জেনে নিন 

  • মরিচের গাছের জন্য জৈব লিকুইড কম্পোস্ট সার
  • মরিচের গাছে 1G কাটিং 
  • মরিচের গাছে 2G কাটিং
  • মরিচের গাছে 3G কাটিং
  • মরিচের ভাষায় ভালো ফলন পেতে যে স্যার ব্যবহার করবেন
  • মরিচের গাছের জন্য জৈব লিকুইড কম্পোস্ট সার তৈরি
  • মরিচের গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
  • মন্তব্য

মরিচের গাছের জন্য জৈব লিকুইড কম্পোস্ট সার তৈরি

মরিচের গাছের দুইটি কার্যকরী পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো একটি জৈব লিকুইড কম্পোস্ট সার তৈরি।মরিচের গাছের জন্য জৈব লিকুইড কম্পোস্ট স্যার তৈরি করে আপনার মরিচের গাছে দিতে হবে। এই কম্পোস্ট সারটি যে  কতটা কার্যকরী  আপনি যদি ব্যবহার না করেন তাহলে আপনি বুঝবেন না। আর এটা তৈরি করতে আপনার এক টাকার মতো খরচ হতে পারে।

মরিচের গাছে 1G কাটিং

দ্বিতীয় পদ্ধতি ওয়ান জি কাটিং। ওয়ান জি কাটিং এটা কী ভাবে করতে হয় সেটার আমি সঠিক পদ্ধতি আপনাকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাবো। প্রিয় পাঠক বন্ধু,এটা খুবই কার্যকরি পোস্ট হতে চলেছে। আপনি অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

প্রথমেই জেনে নেব 1G কাটিং টি কীভাবে করতে হয়। একটা চারাগাছ রোপণ করার পরের মাথার অংশটা কেটে বাদ দিয়ে দিতে হবে। এটা হল1G কাটিং। বন্ধুরা 1G কাটিং করার পরে এই গাছ থেকে 10 টার মতো নতুন ডাল বের হবে। অবশ্যই আপনার গাছের ফলন দ্বিগুণ বাড়াবে এই পদ্ধতি যা শুধুমাত্র 1G কাটিং করার মাধ্যমে। এই ওয়ান জি কাটিং এর মাধ্যমে প্রত্যেকটা ডাল থেকে ১০ থেকে ১২ টা করে ডাল বের হবে। তাহলে এখন বুঝতে পারছেন প্রত্যেকটা গাছে এভাবে অন জি কাটিং দিলে প্রত্যেকটা ডাল থেকে দশটা বারোটা করে ডাল বের হলে কতগুলো ফলন হবে একটি গাছে। 

আরো পড়ুনঃ সারা বছর চাষ করা যায় এমন শাকসবজি

মরিচের গাছে 2G কাটিং

ওয়ান জি কাটিং করার পরে যে ডালগুলো থেকে দশটা থেকে বারোটা ডাল বের হয়েছে সে ডালগুলোকে আবার মাথা কেটে আবার প্রত্যেকটা ডাল থেকে দশটা বারোটা ডাল বের হবে। এটাই হলো টুজি কাটিং। এ টুজি কাটিং এর ফলে ওয়ান জি থেকে আরও বেশি ঝাকড়া হবে টু জি কাটিং।

মরিচের গাছের 3G কাটিং

টুজি কাটিং দেওয়ার পরে আবার যদি সেই ডালের মাথাগুলোকে কাটিং দেওয়া হয় তাহলে মরিচের গাছ আরো বেশি ঝগড়া হবে এবং এটা হল থ্রিজি কাটিং। 3G কাটিং এর ফলে একটা গাছের প্রচুর পরিমাণে শাখা-প্রশাখা বের হয়। এই থ্রিজি কাটিং এর ফলে মরিচের গাছ সর্বোচ্চ ঝগড়া হবে এবং ফলন ধরবে প্রচুর পরিমাণে। থ্রিজি কাটিং আপনার কাছে দেওয়ার পরে আর কোনো রকমে কাটিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনার গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল আসবে এবং প্রচুর পরিমাণে ফলন হবে। বাম্পার ফলন হবে। যদি আপনি এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করেন।

মরিচের গাছে ফলন বেশি পেতে যে স্যার ব্যবহার করবেন

এবার জেনে নেব মরিচ কাছে কোন খাদ্য ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমানে ফল হয়। আর এই খাদ্যটি 100% অর্গ্যানিক। আপনার এই খাদ্য টার জন্য 1টাকা মতো খরচ হতে পারে। তো চলুন জেনে নিই খাদ্য তৈরির প্রসেস টি। বন্ধু প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে পানি। হাফ লিটার অর্থাৎ পাঁচশত এমএল পানি নেবেন এবং আপনারা কলার খোসা কলা ব্যবহার করবেন। এই কলাটি কে ভাল ভাবে কেটে পানির মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। এই কলাতে আছে পটাশিয়াম এবং পট্যাশিয়াম গাছে ফল করতে সাহায্য করে।

আপনাদের গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরাতে হলে আপনাকে কলার সার তৈরি করে দিতে হবে। না হলে আপনি রাসায়নিক সার, পটাশিয়াম সার দিতে পারেন। কোন অসুবিধা নেই। কলার খোসা ভালোভাবে কুচি কুচি করে কেটে পানিতে দিয়ে দিবেন। পানির মধ্যে যে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান দিতে হবে, সেই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হল আখের গুড়। আপনার একশ টাকার আঁখের গুড় কিনে সেই আখের গুড় দিয়েই পানি তার মধ্যেও ভালোভাবে মিশিয়ে আপনারা রেখে দেবেন। সাত দিনের জন্য আখের আপনি একশ গ্রাম ও ব্যবহার করতে পারেন।

পাঁচশ এমএল পানিতে এবং সেই পানিটা দেড় থেকে দু লিটার পানির সাথে মিশিয়ে আপনার গাছে দিতে পারেন। আপনার সব ধরনের ফল এবং ফুলের গাছেই খাদ্যটি ব্যবহার করতে পারেন। এটাকে সুপার ফুড বলা হয়। গাছে ফল ধরতে সাহায্য করে এবং এই গুড় ব্যবহার করলে গাছের গোড়ার মাটি তার উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। কারণ মাটিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। যে ব্যাকটেরিয়া গুড় খাওয়া মাত্র তাদের কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে গাছের গোড়ার মাটি প্রচুর পরিমাণে উর্বর হয়। আর মাটি উর্বর হওয়া মানে গাছের ফলন বৃদ্ধি অবশ্যই হবে। আপনি এটা অবশ্যই ট্রাই করবেন। বন্ধু এরপরে আপনাদের করতে হবে কী গাছের গোড়ার মাটিটা আলগা করে নিতে হবে।

মরিচের গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়ার কারণ

বন্ধুরা মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যায় প্রধানত তিনটি কারণে৷

১. পোকামাকড় যদি আক্রমণ করে

 ২.দ্বিতীয়ত চাপ পোকা

৩. এবং তৃতীয় হোয়াইট লাইট

এই তিনটি যদি আক্রমণ করে তাহলে মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ে যায়। এ জন্য আপনারা নিয়মিত গাছে সাতদিন অন্তর অন্তর স্প্রে করবেন যে খাদ্যটা বানানোর প্রসেস আগে দেখালাম সেই খাদ্যটা।

আরো পড়ুনঃ বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য কি কি লাগে

মন্তব্য

একটি মরিচের গাছের উপরোক্ত কাটিং গুলা যদি প্রয়োগ করেন তাহলে একটা গাছের অনেক শাখা প্রশাখা হবে। একটা মরিচের কাছে অনেক শাখা প্রশাখা হলে অনেক ফুল এবং ফল আসবে। সুতরাং আপনি অবশ্যই এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করবেন এবং এভাবে পরিচর্যা করলে আপনি প্রচুর পরিমাণে মরিচের ফলন পাবেন।

শেষের কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধু,পোস্টটি ভালো লাগলে এবং পোস্টটি পড়ে উপকৃত হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন বন্ধুরাও যেন পড়ে উপকৃত হয়।এরকম কৃষি বিষয়ক যেকোনো উপকারী তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url