বাচ্চার শরীরের রং নয়, সুস্থ সবল বাচ্চায় কাম্য
বাচ্চার শরীরের রং নয়, সুস্থ সবল বাচ্চায় কাম্য
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। আমাদের সকলেরই কিন্তু এক্সপেক্টেড একটি বিষয় থাকে। আর সেটি হচ্ছে গায়ের রং ফর্সা করতে হবে। কিন্তু আমরা মাথায় রাখি না যে গায়ের রং ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে শারীরিকভাবে সক্ষম রাখতে হবে। অনেক বেশি জরুরি একজন মা। যখন গর্ভবতী হন গর্ভবতী মায়ের পাশাপাশি পরিবারের সবার এক্সপেকটেশন থাকে গর্ভের সন্তানটি যেন ফর্সা হয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই বিষয়টি থেকে কিন্তু বের হয়ে আসতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র: বাচ্চার শরীরের রং নয়, সুস্থ সবল বাচ্চায় কাম্য
- পোস্ট সম্পর্কে কিছু কথা
- গর্ভবতীর খাবার তালিকা
- গর্ভবতী মায়েদের কোন ভিটামিন গুলো প্রয়োজন
- মন্তব্য
পোস্ট সম্পর্কে কিছু কথা
আমাদের সকলকে এক্সপেক্ট করতে হবে যেন বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম গ্রহণ করে। সে যেন শারীরিক ভাবে সক্ষম হতে পারে সে জন্য শারীরিকভাবে সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভালো থাকে। পাশাপাশি সে যেন একটি সঠিক বা সঠিক দেহাকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অর্থাৎ আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমাদের সকলেরই এক্সপেকটেশন রাখা উচিত যে, বাচ্চার গায়ের রং যেমনই হোক না কেন বাচ্চা যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জন্ম গ্রহণ করে। স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পারে। কিন্তু তারপরে দেখা যায় যে আমাদের সকলেরই অনেক বেশি এক্সপেকটেশন থেকে যায়।
সন্তানকে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি সে যেন তার গায়ের রংটা একটু পরিষ্কার হয়। কেননা আমরা মনে করি যে পরিষ্কার গায়ের রং হলে বা ফর্সা হলে হয়তো সেটি তার গুণকে বা তাঁর অন্যান্য যে জীবন।সেক্ষেত্রে অনেকটা অংশে এগিয়ে নিয়ে যাবে তো আজকে আসলে আমি একটু বিষয়ে কথা বলব যে সন্তান গর্ভে থাকাকালীন মায়ের অবশ্য বেশ কিছু খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কেন না সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক খাবারের কোনও বিকল্প নেই। তবে ফর্সা বাচ্চা জন্মগ্রহণ করবে। তাও যদি বেশ কিছু খাবারের কথা বলা হয় সে খাবারগুলো বাচ্চাকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় কি খাবেন কি খাবেন না
গর্ভবতীর খাবার তালিকা
যেমন বলি, গর্ভকালীন সময় মায়ের প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাল, এগুলো পরিমাণটা বাড়িয়ে দিয়েছে। বাচ্চা কত ওজন নিয়ে কনসিভ করেছেন। এটার সাথে মেন্টেন করা খাবার তালিকা সাজিয়ে দিয়ে থাকে, যে কার কতটুকু গর্ভকালীন সময়ে ওজন বাড়বে। আবার কে কোন খাবার খাদ্যতালিকা কতটুকু রাখবে সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়।
তার পর প্রোটিনের পাশাপাশি আয়রন জাতীয় খাবার গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত না হলে আমরা কিছুটা বাড়িয়ে দিতে বলি। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যে সকল খাবার আছে সেই খাবারগুলো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য এর পাশাপাশি যদি একেবারেই আরো কিছু খাবারের কথা বলা হয়ে থাকে সেটা যেমন দুধ। আগে বলা হয়ে থাকে যে দুধ জাতীয় খাবার গুলো কিন্তু বাচ্চার গায়ের রংটা সাদা করতে সাহায্য করে।
তারপর কাঁচা হলুদ বা জাফরান এর কথা কাঁচা হলুদ বা জাফরান যদি দুধের সাথে মিশিয়ে মা প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করেন, সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কোনও না কোন ভাবে যদি তিনি উপকারিতা পেতে পারেন৷ এবার আসি টমেটোর কথা। বিভিন্ন ধরনের লাল হলুদ কমলা এই জাতীয় ফলমূল যেগুলো আছে সেগুলো গ্রহণ করার মাধ্যমে কিন্তু উপকারিতা পেয়ে যেতে পারেন।
বাচ্চার গায়ের রং যেমনই হোক না কেন আমাদের সকলের এক্সপেকটেশন রাখতে হবে বাচ্চা যেন সুস্থভাবে জন্মগ্রহণ করে। বাচ্চাটি যেন শারীরিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকে স্বাভাবিক ভাবেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারে গায়ের রঙ কখনও তাঁর জীবনে আইডেন্টিফিকেশন নয়৷ গর্ভকালীন সময় মায়ের সঠিক সন্তান জন্ম দান করতে পারেন সে বিষয়ে সঠিক খাবারের জোগান দিতে হবে।
গর্ভবতী মায়েদের কোন ভিটামিন গুলো প্রয়োজন
কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস পানি এই পুষ্টি উপাদান আছে। সেগুলো জোগান সঠিকভাবে দিতে হবে। কোনও খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবে না। আবার তার দেহের চাহিদা অনুযায়ী যেন ব্যালেন্স করে খাবার গ্রহণ করতে পারেন, সে বিষয়ে অবশ্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে গর্ভকালীন সময় মায়ের খাদ্য তালিকায় সাজিয়ে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃকাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের কার্যকারিতা
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, পোস্ট পড়ে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারলাম বা আমি আপনাকে জানাতে সক্ষম হলাম। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি অনেক কিছু জানতে পারলেন। যা আপনার ক্ষেত্রে অনেক কাজে লাগবে। পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url