ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস ও কৌশল

সূচনা

খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। শরীর ও মনের সুস্থতার উপর নির্ভর করে তার ভবিষ্যৎ। জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি খেলাধুলা শরীর গঠনের এক অন্যতম উৎস। খেলাধুলার মধ্যে মানুষ খুজে পাই জীবন বিকাশের পথ, পায় জীবন সংগ্রামের দৃঢ় মনোবল। সব খেলাতে জয় পরাজয় থাকে, খেলাধুলার মানুষের মধ্যে জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার মন-মানসিকতা তৈরি করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন খেলার প্রচলন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যাডমিন্টন একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস এবং কলা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস

১৮৭৪ সালে ভারতের পুনায় প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হয়েছিল। ইংরেজি সৈনিক কর্তৃক এ খেলা ভারত থেকে ইংল্যান্ড নিয়ে যাওয়ার আগে তেমন জনপ্রিয় ছিল না। বুক হোটেলের ডিউক ব্যাডমিন্টন খেলায় খুব আগ্রহী ছিলেন। এবং তার গ্রামের নাম ব্যাডমিন্টন থেকে এ নামের উৎপত্তি। এই খেলা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডের ব্লু সিস্টারের নিজ বাড়িতে। ১৯৩৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন ইংল্যান্ডের সিলট্রেন হামে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

১৯৬৬ সালে এশিয়ান গেমসে ব্যাডমিন্টন খেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।(BBF). বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলা। গ্রামগঞ্জে সকল বয়সের ছেলেমেয়েরা এই খেলা খেলে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে খেলার জনপ্রিয়তা বেশি বৃদ্ধি পায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন জায়গায় শীতকালে এই খেলাটি বেশি হয়।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অংশ নেয় কত সালে  

ব্যাডমিন্টন খেলার কৌশল:


ব্যাডমিন্টন খেলা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হলে প্রয়োজন হাত ও কব্জির নমনীয়তা এবং পায়ের কাজ। ব্যাডমিন্টন খেলার মৌলিক কলা কৌশল হলো:

রেকেট ধারা

ব্যাডমিন্টন খেলায় র‍্যাকেট সঠিকভাবে ধরার উপরেই ব্যাডমিন্টন খেলার অনেকটাই নির্ভর করে। এবার ডান হাতে তালুর উপর করে গ্রিপের শেষ প্রান্তে রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তর্জনী সামনের দিকে প্রসারিত করে ইংরেজি ভি বর্ণের মতো করে গ্রূপ ধরবে। ভালো গ্রুপ ধরা আয়ত্ত এলে ভালো খেলতে সাহায্য করবে।

পায়ের কাজ

ব্যাডমিন্টন খুব দ্রুতগতির খেলা। তাই পায়ের কাজ খুব দ্রুত হয়ে থাকে কাজে বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খুব দ্রুত গতিতে নিজেকে খাপ খেয়ে নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ ব্যাপারে পায়ের কাজটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুতগতির খেলায় ভালো না হলে সাটল কর্ক সঠিকভাবে সঠিক স্থানে পাঠানো বা ফেরানো যায় না। ভালো ফটো আর আয়ত্ত করতে পারলে দ্রুত তার সাথে সাটল ককের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং পছন্দ মতো পাঠাতে পারে।

সার্ভিস

একজন খেলোয়াড় নিয়মকানুন মেনে খেলার শুরুতে  প্রতি পয়েন্টে শুরুতে প্রতিপক্ষের কোর্টে সাটল কক পাঠানোকেই সার্ভিস বলা হয়। সার্ভিসটি বিপক্ষ কোর্টের এমন জায়গায় পাঠাতে হবে যাতে বিপক্ষ খেলোয়াড়দের ফেরত পাঠাতে অসুবিধা হয়। সার্ভিস করার সময় পা ফাঁক করে বাম্পার ডান পায়ের কিছুটা সামনে নিয়ে দাঁড়াবে। শরীরের ওজন পিছনের পায়ের উপর থাকবে বাম হাতে শাটল কক ধরে ডান হাতে রেকেটকে পিছনের দিক থেকে আনার মুহূর্তে সাটলক ছেড়ে দিয়ে কোমরের নিচে আঘাত করে বিপক্ষ কোর্টে পাঠাবে।

 শাসন কক বা রেকেট এর সংযোগের স্থানে সাথে সাথে দেহের ওজন বাম পায়ের উপর চলে আসবে। সার্ভিস দুই প্রকার শর্ট সার্ভিস এবং লঞ্চ সার্ভিস। শর্ট সার্ভিসের নেটের কাছাকাছি বিপক্ষে সার্ভিস করতে ছাটল কক পাঠানো হয় এবং লং সার্ভিসে কোর্টের পিছনে অংশে পাঠানো হয়।

ফর হ্যান্ড স্ট্রো

হাতের তালুকে সামনে রেখে ডান হাতে খেলোয়াড় ডানদিকে এবং বাম হাতি খেলোয়াড় বাম দিকে সাটল কক মারলে তাকে ফরেন ইসরোগ বলে।

৫. সঠিকভাবে রেকর্ড ধরে হাতে তালু পিছনে দিকে করে ডানহাতি খেলোয়াড়ের ডান কাঁধ এবং বাম হাতি খেলোয়াড়ের বাম কাঁধে নেটের দিকে রেখে সাটলকক মারলে তাকে ব্যাক হ্যান্ড স্ট্রোক বলে।

মাথার ওপর দিয়ে মারা

সাধারণত ইস ম্যাচ বা চাপ মারার ক্ষেত্রে এই স্ট্রোক ব্যবহার করা হয়। এই স্ট্রোকে ফর হ্যান্ড ও ব্যাক হ্যান্ড দুটোই ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে এসে রেকেট উঁচু করে লাফ দিয়ে যতটুকু উঁচুতে সম্ভব শাটল কর্কে আঘাত করবে।

নেটের কাছে মারা

শাটল কক যখন নেটের খুব কাছাকাছি পড়ে তখন এই স্ট্রোকের সাহায্যে শাটল কক্ষে মারতে হয়। এই স্ট্রোকের ব্যবহারের জন্য হাতের সূক্ষ্মতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ হাতের উপর দখল থাকলে সাফলক নেটের খুব কাছে ফেলা সম্ভব হয় এর জন্য প্রচুর অনুশীলনের প্রয়োজন।

সূচনা

খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। শরীর ও মনের সুস্থতার উপর নির্ভর করে তার ভবিষ্যৎ। জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি খেলাধুলা শরীর গঠনের এক অন্যতম উৎস। খেলাধুলার মধ্যে মানুষ খুজে পাই জীবন বিকাশের পথ, পায় জীবন সংগ্রামের দৃঢ় মনোবল। সব খেলাতে জয় পরাজয় থাকে, খেলাধুলার মানুষের মধ্যে জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার মন-মানসিকতা তৈরি করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন খেলার প্রচলন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যাডমিন্টন একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস এবং কলা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো।

মন্তব্য

ব্যাডমিন্টন খেলাটি ভারতে আবিষ্কার হলেও এই খেলার জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বেই চলছে। এই খেলাটি বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যাডমিন্টন খেলাটি বিশেষ করে শীতের দিনে বেশি খেলা হয়। অর্থাৎ শীতের সিজনে ছুটির সময়ে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই দুই মাস ব্যাডমিন্টন খেলাটি বেশি খেলা হয়। এশিয়ান গেমসের পাশাপাশি বিভিন্ন ইভেন্টে ব্যাডমিন্টন খেলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বর্তমানে। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলা।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url