কাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের কার্যকারিতা
কাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের কার্যকারিতা
রোজ আমরা যে খাবার খাই তাই দিয়ে শরীরের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ হয় না। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে নিয়ম করে ডাল শস্য খাওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান। থাকে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্ক। এছাড়াও থাকে আয়রন থায়ামিন, ভিটামিন, বি সিক্স, ভিটামিন কে পটাশিয়াম। ডায়েট ফুডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো কাজু কিসমিস, আমন্ড। আর এই তিন ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর উপকারিতা।
নিম্নে আমরা আজকে জানবো এই তিন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। পোস্টটি সম্পূর্ণ অবশ্যই পড়বেন এবং এ সম্পর্কে জানবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা
- কাঠবাদাম কাজুবাদাম কিসমিস এই তিনটি ফল খাওয়ার নিয়ম
- কাজু বাদামের কার্যকারিতা
- কিসমিসের কার্যকারিতা
- কাঠ বাদামের কার্যকারিতা
- মন্তব্য
কাঠবাদাম, কাজু বাদাম ও কিসমিস এই তিনটি ফল খাওয়ার নিয়ম
এই তিনটি ফল পুষ্টিগুণে ঠাসা হলো যে, প্রচুর পরিমাণে খাওয়া যাবে তা কিন্তু একেবারেই নয়। বরং সেই খাওয়া বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। পরিমাপের থেকে বেশি খেলেই বাড়বে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ। রোজ রাতে সামান্য জলে তিনটি করে কাজু, কিশমিশ আর কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা খালি পেটে খেয়ে নিন। এতে পাবেন একাধিক উপকারিতা। নিয়ম করে ফুড খেতে পারলে ত্বক ভালো থাকে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব এছাড়াও ঘন হয় না বলে দেখাও করে না।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
কাজুবাদাম এর কার্যকারিতা
মন ভাল রাখতে কাজে আসে কাজু বাদাম। এই বাদাম রোজ একমুঠো করে খেতে পারলে আমাদের মনও ভাল থাকে, সেই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্রের জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূরে থাকে। ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই রোজ সকালে একমুঠো পেস্তা আমন্ড এসব খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তবে এর পাশাপাশি কিন্তু তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড বা প্যাকেট খাবার খেলে চলবে না। রোজ কাজু কিশমিশ খেলে দাঁত মজবুত হয়।
কাজুর মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম দাঁতের জন্য উপকারী৷ সঙ্গে আমাদের হাড়কে মজবুত করে তাই নিয়মিত খেতে পারলে খুবই ভাল। চুল ভাল রাখতেও উপকারি কাজু কিশমিশ। সেই কারণে রোজ কাজু কিশমিশ খেলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। সেই সাথে যা চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পাশাপাশি চুলের গোড়াকে শক্ত পোক্ত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই উপাদানটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কাজুতে। কাজুবাদামে থাকে কপার শরীরের ভিতরে এমন কিছু বিশেষ এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা চুলের কালো রং কে ধরে রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ আপনাকে রাখে চিরতরুণ।
কাঠবাদাম এর কার্যকারিতা
কাঠবাদাম পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ যা শরীরে নানান কাজে লাগে। এটা হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো। কারণ এটা সার্বিক কোলেস্টেরলের লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কমাতে সাহায্য করে যা কোলেস্টেরলের খারাপ অংশ। এছাড়া কাঠ বাদাম ভালো কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটা ডায়াবেটিস সৃষ্টিকারী হিমোগ্লোবিন ই ওয়ান সি কমায় ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে ও স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকায় কাঠবাদাম খুব ভালো। কারণ এটা পেট ভরপুর রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ওয়ান, ভিটামিন বি সিক্স থাকার ফলে চুলও ভাল রাখে।
কাঠ বাদাম ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে ও খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন ই ত্বক সুন্দর রাখে মুখে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা করে না, যাদের ত্বকে সাবান আছে তারা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। কাঠবাদাম তেল খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শুষে নিতে পারে। তাই যে কোনো মৌসুমে কাঠবাদাম তেল শরীরে রসুনের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন। কাঠ বাদামে এমন ফাইবার আছে যেটি: ক্যান্সার হতে বাধা দেয়। তাছাড়া কাঠবাদামে ভিটামিন ই আছে যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
কিসমিসের কার্যকারিতা
কিশমিশ অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি বা রক্ত শোষিত হয় বলে অ্যাসিডোসিস যা একটি চামড়ার রোগ, হৃদরোগ ও ক্যান্সার হতে পারে। অ্যান্টাসিড হিসাবে পরিচিত দুটি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম। শরীরের ক্ষতিও ভাব স্বাভাবিক করে অ্যাসিডোসিস হাত থেকে বাঁচায়। আর এই উপাদানগুলো রয়েছে কিসমিসে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। পাশাপাশি কিশমিশে থাকা পলিফেনল উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিক্যাল ধ্বংস করে চোখকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে রক্ত পরিষ্কার রাখে কিশমিশ। এ ছাড়া রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
মন্তব্য
সব শেষে একটাই কথা বলব, কাজু বাদামে থাকা ভিটামিন এর মাত্রা এত বেশি যে একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন অনেকে। তবে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে এই বাদামটি খেলে শরীরের উপকারের থেকে অপকার হয় বেশি। উপকারি উপাদান বেশি মাত্রায় শরীরে যদি প্রবেশ করে তাহলে উল্টো ফল হতে শুরু শুরু করতে পারে।তাই খুবই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে কাজুবাদাম। তাহলে আসল সুফল পাওয়া যাবে। আশা করি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছেন। এভাবেই কাজু কিশমিশ, আমন্ড বাদাম খেলে ভীষন উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি
শেষের কথা
কিসমিস, কাজুবাদাম কাজুবাদাম এই তিনটি খাবারের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। এই খাবারগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়ম মত এই খাবারগুলো খেলে শরীরে সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। প্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url