Career ক্যারিয়ার নির্বাচন করার আটটি উপায় ।

 সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করতে গিয়ে অনেকে ঝামেলায় পড়ে থাকে। এটি বাছাই করাটা বলতে গেলে অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া বর্তমানে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকটা বেড়েছে তাই কোন ক্ষেত্র টাকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে নেব তা নির্ধারণ করা মুশকিল। প্রিয় পাঠক আপনিও যদি এমন সমস্যায় পড়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এ প্রতিবেদন। জি হ্যাঁ নিচে উল্লেখিত আটটি উপায়ে এই বাছাই পর্বটি আপনি খুব সহজেই ছেড়ে নিতে পারেন।

সূচিপত্র

  • 1. নিজেকে মূল্যায়ন করুন নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানুন।
  • 2. নিজেকে এই পাঁচটি প্রশ্ন করুন।
  • 3. পছন্দের পেশাগুলোর একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন।
  • 4. তালিকায় উল্লেখিত সব পেশার বিশ্লেষণ করুন।
  • 5. পছন্দের তিনটি পেশার একটি তালিকা তৈরি করুন।
  • 6 অভিজ্ঞ কারো সঙ্গে ইন্টারভিউ অংশ নিন।
  • 7. চূড়ান্ত পেশাটি নির্বাচন করুন।
  • 8. আপনার দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্প মেয়াদী লক্ষণ নির্ধারণ করুন।

১. নিজেকে মূল্যায়ন করুন নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানুন:

 ক্যারিয়ার নির্বাচনের আগে নিজেকে জানুন। নিজের পছন্দকে মূল্যায়ন করুন। কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে, মনোবল কতটুকু, আপনার ব্যক্তিত্ব কি ধরনের বা কি ধরনের কাজ করে, আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। সে বিষয়ে জানুন নিজেকে মূল্যায়নের বিষয়টি আপনার সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচনের সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে আত্ম মূল্যায়নের একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেণ। যা থেকে জানতে পারবেন কোন ক্যারিয়ার আপনার জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে এবং ক্যারিয়ার বাছাই করার নির্দেশনা টি ঠিক কেমন হওয়া উচিত।

২: নিজেকে এই পাঁচটি প্রশ্ন করুন।

সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচনে নিজেকে এই পাঁচটি প্রশ্ন করুন

 
  • আপনার কেমন দক্ষতা আছে জানার চেষ্টা। কোন বিষয়ে আপনার দক্ষতা সর্বাধিক যেটাতে আপনি ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করলে কখনো আটকাবেন না।
  • পদোন্নতি নাকি নিবারণ করতে চান। যারা পদোন্নতি চান তারা আশাবাদী কেন্দ্রীভূত,ঝুকিগ্রহণকারী,বিমুর্ত,চিন্তাবিদ,এবংসৃজনশীল পরিকল্পনাকারী অবস্থা সচেতন বিশ্লেষণের চিন্তা সম্পন্ন এবং ঝুঁকি অগ্র গ্রহণকারী হয়ে থাকেন।
  • কি ধরনের পরিবেশে কাজ করতে চান একাকী টিম নিয়ে বাসা,  নাকি মাঠ পর্যায়ে কোনো পরিবেশ কাজ করতে চান তা জানার চেষ্টা করুন।
  • কি ধরনের লাইফস্টাইলে নিজের জীবনকে সাজাতে চান। আপনি কি ধরনের  তা জানার চেষ্টা করুন। আপনি শুধুই অর্থ উপার্জন করতে চান, নাকি নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক কাজ করতে চান বাইরে ঘোরাঘুরি ধরনের কাজ করতে চান এ বিষয়ে নিশ্চিত হন।
  • কোথায় বসবাস করতে চান আপনি যদি নিউইয়র্কে বসবাস করতে চান এবং একই সঙ্গে নিত্য তবিদ হতে চান তাহলে মনে রাখবেন একসঙ্গে এই দুটি সম্ভব না এতে যেকোনো একটিকে আপনার বেছে নিতে হবে এই প্রশ্নগুলো সঠিক উত্তর জানতে পারলে তা আপনার সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচনে অনেকটাই সহযোগিতা করবে।

 আরো পড়ুন :বিকাশ পেমেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম 

৩. পছন্দের পেশা গুলোর একটা তালিকা করে ফেলুন।

আপনার পছন্দের তালিকায় হয়তো অনেক পেশা থাকতে পারে। আত্ম মূল্যায়নের পরীক্ষা এবং উপরোক্ত পাঁচ প্রশ্নের উত্তর অনুসারে আপনার পছন্দের পেশা গুলোর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। পাশাপাশি সেই পেশাগুলোতে কেন যেতে চান বা কেন সেগুলোর আপনার জন্য ভালো পেশা হবে কারণও লিখে ফেল। পেশাগুলোতে যাওয়ার কারণ বর্ণনা করবেন তখনই এর পরিচয় ছোট হয়ে আসবে। এবং বুঝতে পারবেন ঠিক কোন পেশা গুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে।

৪. তালিকায় উল্লেখিত সব পেশার বিশ্লেষণ করুন।

তালিকায় যে পেশাগুলো আপনি লিখেছ। সেগুলোর একটা বিশ্লেষণ বর্ণনা তৈরি করুন। এর জন্য অনলাইনে বা নিউজ পেপার পড়ে জানার চেষ্টা কর। পেশাগুলোতে সুযোগ কেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, পদোন্নতি বা অগ্রগতি কেমন, কাজের সময় কেমন, সম্মানী এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন, কাজের সময় কেমন সম্মানে এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন এই বিশ্লেষণ গুলো করলে আশা করা যায় ,পছন্দের এই পেশা তালিকাটি আরও ছোট হয়ে আসবে।

৫. পছন্দের তিনটি পেসার একটি তালিকা করুন।

এ পর্যায়ে এসে আপনার তালিকাটি আরো ছোট করে তিনটি পছন্দের পেশা রাখার চেষ্টা করুন। নির্বাচন করতে খুব বেশি সমস্যা হলে এটা সর্বোচ্চ পাঁচটি এবং সর্বনিম্ন দুটি করা যেতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি বা কম করা যাবে না।এক্ষেত্রে চার নম্বর উপায়টিকে আবার কাজে লাগাতে হবে। যে পেশাগুলোতে যাওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা আপনার মন মতো । অথবা যে পেশা গুলোর কাজের চাপ খুব বেশি যা আপনি নিতে পারেন না, সেগুলো তালিকা থেকে বাদ দিন। এতে দেখবেন তালিকা পছন্দ খুব সহজ হয়ে গেছে।

৬. অভিজ্ঞ কারো সঙ্গে ইন্টারভিউ অংশ নিন.

সঠিক ক্যারিয়ারটি নির্বাচন করতে পছন্দের তালিকার পেশাগুলোর প্রথম ইন্টারভিউ দেওয়ার চেষ্টা করুন। সেই ব্যক্তিগুলোকে খুঁজে বের করুন। যারা আপনার পছন্দের পেশাটিতে অনেক অভিজ্ঞ এবং সফল ব্যক্তি তাদের সঙ্গে ছোট্ট একটা ইন্টারভিউ বসউন। এবং কথা বলে জানার চেষ্টা করুন। আপনি ওই পেশার্টির জন্য কতটুকু যোগ্য এতে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হবে।

৭. চূড়ান্ত পেশাটি নির্বাচন করুন.

উপরের সব পর্যায়ে পার হয়ে আসার পর সঠিক পেশাটি নির্বাচন করতে আপনি এমন পুরোপুরি প্রস্তুত থাক। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। শুধু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন আপনি কি করতে চান আপনার এটা ভাবার প্রয়োজন নেই, যে আপনি যে দশটি নির্বাচন করতে যাচ্ছেন সেটাতে আজীবন থাকতে হবে। যদি এটা ঠিক ভাবে কাজ না করে অবশ্যই আপনি তা পরিবর্তন করে নতুন কিছু নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার সারা জীবনের অসংখ্য বার ক্যারিয়ার নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে।

৮. আপনার দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী লক্ষণ নির্ধারণ করুন.

এবারের আপনার লক্ষ্যগুলোকে দুটি শিরোনামে লিখে ফেলুন। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য এর তালিকায় সেই লক্ষ্য গুলোকে নির্ধারণ করুন। যেগুলো আপনি তিন থেকে পাঁচ বছরের এর মাঝে অর্জন করতে চান এবং স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্য এর তালিকায় সেই লক্ষ্য গুলোকে আন। যেগুলো ছয় মাস থেকে তিন বছরের মধ্যে অর্জন করতে চান এরপরে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিন ।

মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এবার নিশ্চয়ই আপনি আপনার সঠিক ক্যারিয়ারটি নির্বাচন করতে পেরেছেন। তবে আর দেরি কেন? লেগে পড়ুন কাজে, শুধু আত্মবিশ্বাসী আর  আত্মসচেতন হন। সফলতা আপনার কাছে এসে পৌঁছাবে,শুভকামনা রইল।

আরো পড়ুন:মানব দেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গের নাম কি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url