১৫ দিনে প্রচুর বেগুন ধরবে এই সার দিলে
১৫ দিনে প্রচুর বেগুন ধরবে এই সার দিলে
আসসালামু আলাইকুম মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আশা করি আপনি অনেক ভাল আছেন। আজকে শীতকালীন বেগুন চাষ নিয়ে আলোচনা করব। শীতকালীন বেগুন চাষ শীতকালে ছোট গাছে প্রচুর পরিমাণে বেগুন ধরাতে আপনারা কী কী সার প্রয়োগ করবেন? কী ধরনের পরিচর্যা করবেন? গাছের কোন বয়সে কী ধরনের পরিচর্যা করলে আপনার গাছ থেকে অনেক বেগুন সংগ্রহ করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব। পুরো পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্র: ১৫ দিনে প্রচুর বেগুন ধরবে এই সার দিলে
- কোন জাতের বেগুন চাষ করবেন
- বেগুন গাছে কি সার প্রয়োগ করবেন
- গাছে কখন সার প্রয়োগ করবেন?
কোন জাতের বেগুন চাষ করবেন
বেগুনের ভাল ফলন পেতে হলে আপনাকে ভালো মানের জাত র্নিবাচন করতে হবে। মৌসুম ভিত্তিতে সব জাত গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় যেমন– শীতকালীন জাত ও বারমাসী জাত। শীতকালীন জাতের বেগুন কেবল মাত্র রবি মৌসুমেই চাষ করা হয়ে থাকে। শীতকালীন জাতের মধ্যে একটি জাত হলো ঘিওন। ঘিওন জাতের বেগুন শীতকালে চাষ করা হয়। ঘিওন জাতের বেগুন প্রচুর বড় বড় এবং প্রচুর পরিমাণে ধরে।
বারোমাসি বেগুন এর মধ্যে একটি হলো চায়না বেগুন। চায়না জাতের বেগুন প্রায় সারা বছরে চাষ করা যায়। চায়না জাতের বেগুন ছোট গাছ থাকা অবস্থা থেকেই প্রচুর পরিমাণে ফলন দিয়ে থাকে। তাই আপনারা জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারা বছর চাষ করার ক্ষেত্রে চায়না জাতের বেগুনটি নির্বাচন করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ সারা বছর চাষ করা যায় এমন শাকসবজি
বেগুন গাছে কি সার প্রয়োগ করবেন
একটি বেগুনের চারা লাগানোর 35 দিন পর বেগুনের গাছের উচ্চতা প্রায় এক ফিট হবে। হেলদি এবং স্বাস্থ্যসম্মত হবে। ৩৫ দিন পর গাছের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে কচি পাতা বের হবে। যেগুলো গাছে স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। তাই গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রথমে গাছে প্রয়োগ করতে হবে মাটির প্রাণশক্তি এবং গাছেরও প্রাণ শক্তি জৈব সার। আপনারা যে কোনও জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন ৷ আমি এখানে ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহার করতে বলছি।
একটা ছোট গাছের জন্য প্রায় আড়াইশ থেকে তিনশ গ্রাম পরিমান আপনার গাছের চারপাশে রিং এর মধ্যে দিয়ে দেবেন। জৈব সার গাছের দীর্ঘ সময় ফুল ফল ধরতে সহায়তা করে। এরপর প্রয়োগ করব রাসায়নিক সার হিসাবে অল্প পরিমাণ অর্থাৎ প্রায় 10 গ্রাম পরিমাণে লাল পটাশ। এটি পটাশিয়ামের উৎস। যেটি গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরতে সহায়তা করে থাকে। এরপর আপনারা ব্যবহার করবেন DAP সার অর্থাৎ ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট। এটি গাছের সার্বিক বৃদ্ধি এবং গাছে প্রচুর পরিমাণে শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
যার ফলে গাছ অধিক পরিমাণে মোটা এবং সতেজ ও স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে। একটি ছোট গাছের জন্য 12 থেকে 15 গ্রাম পরিমাণ DAP সার করতে হবে। এরপর প্রয়োগ করতে হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সার এটি হল জিপসাম। একটি ছোট গাছে10gm প্রয়োগ করবেন। এরপর খুবই গুরুত্বপূর্ণ দানাদার কীটনাশক। একটি গাছের জন্য দুই থেকে তিন গ্রাম পরিমাণ প্রয়োগ করতে হবে। এবার এই সকল সার প্রয়োগ করা হয়ে গেলে আপনাকে চারপাশ থেকে মাটি দিয়ে খুব ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে।
মাটি এমন ভাবে ঢেকে দেবেন যাতে গাছের গোড়ায় পানি না জমে তার জন্য আপনারা গাছের গোড়ার মাটি গুলো একটু উঁচু করে দিবেন। এতে করে চারপাশে আর পানি জমবে না। এবার আপনার গাছে পানি দিতে হবে। যদি আপনার গাছের মাটি অধিক পরিমাণে ভেজা থাকে সে ক্ষেত্রে আপনারা পানি ব্যবহার করবেন না। তবে মাটি ড্রাই হলে অবশ্যই আপনারা পানি প্রয়োগ করবেন।
বেগুন গাছে কখন সার প্রয়োগ করবেন?
আপনার গাছের বয়স যখন 30-35 দিন হবে চারা রোপণের ঠিক তখনই আপনারা প্রথমবার সার করেন। দেখবেন যে 10 থেকে 15 দিনের মধ্যে আপনার কাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল এবং বেগুন আসতে শুরু করবে। বেগুনের একটি জাত হলো পার্পল। এই জাতের বেগুন গাছে প্রচুর পরিমাণে বেগুন হয়ে থাকে। আপনি যদি পারিবারিক ছাদ বাগানে। বসতবাড়ির আশপাশে অথবা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চান তবে এই চারটি নির্বাচন করতে পারেন।
মন্তব্য
বেগুন চাষের ক্ষেত্রে প্রথমে আপনি জাত নির্বাচন করবেন। একটি ভাল জাত নির্বাচন করতে পারলে আপনি বাণিজ্যিকভাবে বেগুন চাষে অত্যন্ত লাভবান হতে পারবেন। তাই আপনাকে প্রথমে সঠিক জাত নির্বাচন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সার এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে বেগুন চাষ করে অত্যন্ত লাভবান হওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ লাউ গাছ থেকে বেশি ফলন পাওয়ার গোপন টিপস
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আপনি এই পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হলে, অবশ্যই বন্ধুদেরকে পোস্টটি শেয়ার করবেন।বন্ধুদেরকে পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন বেগুন চাষের নিয়মাবলী সম্পর্কে। পরবর্তী পোস্ট পড়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ধন্য
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url