টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা। টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

 টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা। টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

আসসালামু আলাইকুম। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু মোটিভেশন আইডির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমি আপনার সাথে আলোচনা করব টনসিল সম্পর্কে। আপনি যদি একজন টনসিলের রোগী হন তাহলে আপনার জানা প্রয়োজন যে টনসিল হলে কি খাওয়া যাবে না। টনসিল হলে কী করা উচিত এবং কী কাজ করলে সহজেই টনসিল থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

পোস্ট সূচীপত্র: টনসিলের চিকিৎসা। টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  • টনসিল কি
  • টনসিল চেনার উপায়
  • টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
  • টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
  • টনসিল হলে কি করা উচিত

টনসিল কি?

টনসিল অনেক খারাপ একটি রোগ এটি যার আছে সে বোঝে এর ব্যথা কেমন। একবার টনসিলের ব্যথা শুরু হলে আর থামতে চায় না। টনসিলের কারণে কিছু খাওয়া যায় না। গলা প্রচুর ব্যথা করে। টনসিল আমাদের সবারই আছে। টনসিল হচ্ছে গোলার দুই দিকে অবস্থিত লিম্ফয়েড অঙ্গ। অনেকের এই দুটি অঙ্গ অনেক ব্যথা করে। যাকে আমরা টনসিল বলে জানি। ঠান্ডা লাগলেই ব্যথা শুরু হয়।

টনসিল চেনার উপায়

এবার আপনি বলতে পারেন টনসিল চেনার উপায় কী? টনসিল চেনার উপায় হচ্ছে গলা ফুলে যাওয়া। কিছু খেতে না পারা। গলার দুই দিকে ব্যথা করা।

আরো পড়ুনঃ এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি

টনসিন হলে কি কি খাওয়া যাবেনা

এবার চলুন হলে কী কী খাওয়া যাবে না। টনসিল হলে আমাদের অনেক কিছু এড়িয়ে চলতে হবে। এতে করে টনসিলের ব্যথা কিছুটা কমানো সম্ভব। টনসিল বেশি হলে অনেক সময়ে সেটি অস্ত্রোপচার অবধি যেতে পারে। এবার জেনে নেই টনসিল হলে কী কী খাওয়া যাবে না। টনসিল হলে কোনো ধরনের জ্যাক ফুড খাওয়া যাবে না। যেমন চিপস, কোমল পানীয় এগুলো খাওয়া যাবে না। পরিমাণে বেশি তেল এবং মশলার রয়েছে এমন খাবার খাওয়া যাবে না। টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। টক জাতীয় খাবার খেলে টনসিলের ব্যথা বেড়ে যাবে । ফুলকপি বাধাকপি  এগুলো খাওয়া যাবে না। এগুলো টনসিলের ব্যথা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

কোনো ধরনের শক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। টোস্ট বিস্কুট না খেয়ে নরম পাঁউরুটি খেতে হবে। কারণ শক্ত খাবার টনসিল বৃদ্ধি করতে পারে। টনসিল হলে এই খাবারগুলো খাবেন না। এতে করে টনসিলের ব্যথা প্রশমিত হতে সাহায্য করবে।টনসিল হলে ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে করে গলার ব্যথা বেড়ে যেতে পারে৷ আর বাচ্চাদের টনসিল ফোলা কমানোর উপায় হচ্ছে তাদেরকে উম গরম পানির মধ্যে লবণ মিশিয়ে কুলি করানো। টনসিল হলে কী কী খাবার খাওয়া যাবে না, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। 

টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা

এর জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা কী আছে? লবণ পানি দিয়ে কুলি করা ও কুসুম গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে টনসিলের ব্যথার প্রশমন করা সম্ভব। এতে করে গলায় একটু আরাম পাওয়া যায়। টনসিলের প্রদাহ কমে যায় গলার মাঝে থাকা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি পাওয়া যায়। এক গ্লাস পানির মধ্যে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে মিশিয়ে নেবেন। তারপর কিছুক্ষণ কুলি করতে হবে।

এছাড়া আদা দিয়ে চা খেলে টনসিলের ব্যথা অনেকাংশে প্রশমন হয়ে থাকে। আদা লেবু, মধু শিরা, আদা, লেবু, মধু সাপ্রের ব্যথার জন্য অনেক কার্যকরী একটি উপাদান এক গ্লাস পানির মাঝে আদা কেটে মিশিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিন। এরপর তার সাথে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে দিনে তিন বারে খাবেন। এই উপাদানটি টনসিলের ব্যথা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

টনসিল হলে কি করা উচিত

 এছাড়া টনসিল হলে কী করা উচিত। টনসিল হলে ঘরোয়া চিকিৎসা নেওয়া উচিত এবং যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। 

আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ 

শেষের কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধু আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটা বুঝতে কোনও রকম অসুবিধা হয়নি। যদি কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। বন্ধুদের সাথে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url