কিডনি ভালো আছে না খারাপ আছে কিভাবে বুঝবেন
কিডনি ভালো আছে না খারাপ আছে কিভাবে বুঝবেন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমি আলোচনা করব কিডনি বিষয়ে। কিডনির ব্যথা কোথায় কোথায় হয় কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত, এবং কোন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। পুরো পোস্টে পড়লে অবশ্যই জানতে পারবেন। তবে অনুরোধ করব অবশ্যই পুরো পোস্টটি পড়বেন। কিডনি আমাদের মানব দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই কিডনির দ্বারাই আমরা চলাফেরা করতে পারি। যেহেতু এই কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, তাই এই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রটিকে আমাদের ভালো রাখার জন্য সচেতন থাকতে হবে। আমাদের অনেকেই অনেকের ও শাসিততার কারণে কিডনি দেয়া হয়েছে হয়ে যায়। চলুন আমরা আজকে জানবো কিডনির ব্যথা কোথায় কোথায় হয়? কি খাওয়া উচিত এবং কি খাবার খাওয়া উচিত নয়।
পোস্ট সূচীপত্র: কিডনি ভালো আছে না খারাপ আছে কিভাবে বুঝবেন
- শরীরের কোনো অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না?
- কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ
- কিডনি সমস্যায় কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
- কিডনি ভালো রাখতে কি ফল খাওয়া যাবে
- কিডনি ভালো রাখতে কি খাওয়া উচিত নয়
- যেসব ফল এবং সবজি খাওয়া যাবেনা
- মন্তব্য
শরীরের কোনো অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না?
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক শরীরের অন্য কোনও অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে কিভাবেবোঝা সম্ভব। বিশেষ করে কিডনির সমস্যা তৈরি হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয় যে, একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও কাজ চলতে থাকে। অন্যটি দিয়ে কাজ চলতে থাকে। ফলে ক্ষতি কোন আঁচ পাওয়া যায় না। শুধু পাথর জমা নয় কিডনিতে আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে৷ সময়ে যদি রোগ নির্ণয় করা যায় তাহলে ঠিক আছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তো তা আর হয় না। বিশেষ করে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার উপসর্গগুলি এতই মৃত হয় যে, কিছু ক্ষেত্রে বুঝে ওঠার সম্ভব হয় না। তবে কিডনি সুস্থ নেই তার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেই লক্ষণগুলি কী তা জানা থাকলে সতর্ক হওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা। টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
কিডনি রোগের লক্ষণসমূহ
কিডনি কোন সমস্যায় পড়লে বাকি নিতে কোন রোগ হলে কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। সেসব লক্ষণ গুলোর মধ্যে হল যেমন ঘুম না হওয়া, কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে, মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম কম হয়। হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা হানা দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
এছাড়াও বমিভাব কিডনি বিকল শো হয়ে গেলে শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ মন্ত্রীর সঙ্গে বেরোই না। কিডনির সমস্যার ফলে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থগুলি জমতে থাকে। তা থেকে বমি ভাব দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া প্রস্রাবের সমস্যা। ঘন ঘন প্রস্রাবের লক্ষণ কেবল ডায়াবিটিসই নয়, কিডনির অসুস্থতার নেপথ্যে কারণ হতে পারে।, বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রসাবের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয় তাহলেও কিন্তু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া পা ফুলে যাওয়া কিডনির সমস্যা শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
এর ফলে পা ফুলে যায়। হঠাৎ এমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। কারণ পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা ফেলে রাখা উচিৎ নয়। শরীরের অন্দরে মারাত্মক কিছু না ঘটলে সাধারণত এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে না। তাই সতর্ক থাকা খুবই জরুরি৷ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাই পা ফুলে গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাছাড়া ত্বকের সমস্যা কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরতে পারে না। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক ত্বকের ঘা এর মতো সমস্যা হয়। তবে এই একটা সমস্যা কিডনির অসুখ এর লক্ষণ হতে পারে। কোনও কারণ ছাড়াই জ্বর আসছে বারবার।
সাবধান কিডনির সমস্যার কারণও কিন্তু হতে পারে। এমন ঘনঘন শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে বিষয়টি নজরে রাখুন। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই বিষয়টি নিয়ে আচমকা ওজন কমে যাওয়া কিডনি বিকল হওয়ার আরেকটি বড় লক্ষণ। কিডনি যখন ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করে তখন শরীরের ওজনও এমনই হারে কমতে থাকে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া কিডনি খারাপ হয়ে গেলে আরও বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ঘুম কম হওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানির সমস্যা, বেড়ে যাওয়া এই ছোটখাটো লক্ষণগুলি বড় রোগের জানান দেয়।
কিডনি সমস্যায় কোথায় কোথায় ব্যথা হয়
এবার জানুন কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়। কিডনির সমস্যা হলে মূলত পিঠে বা মেরুদণ্ডের ডানে বা বামে কিডনির ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। এটি পেটের সামনে পাঁজরের ঠিক নীচে অনুভূত হতে পারে। ব্যথা তীব্র নিস্তেজ বা জ্বলন্ত হতে পারে।
কিডনি ভালো রাখতে কি ফল খাওয়া যেতে পারে
এবার জানুন কী খাবেন? যেসব ফল খাওয়া যাবে। প্রতিদিন যে কোনো এক প্রকারের ফল খাবেন একশ থেকে পাঁচশো গ্রাম পেয়ারা, এক থেকে দুইটি আপেল, এক থেকে দুইটি নাশপাতি, এক থেকে দুইটি পাকা পেঁপে, দুই থেকে চার টুকরো কমলা, এক থেকে দুই টুকরা আনারস,২-৪ টুকরো বেলে এগুলো খেতে পারেন।
যেসব সবজি খাওয়া যাবে
কিডনি ভালো রাখার জন্য আপনি এই সব সবজিগুলো অবশ্যই খাবেন। চিচিঙ্গা, পটল, চাল কুমড়ো, ডাঁটা, লাউ, শসা, এগুলো খেতে পারেন যে সব শাক খাওয়া যাবে ডাটা শাক লাউ শাক কলমি শাক লাল শাক এগুলো খেতে পারেন। যেসব সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করে খেতে হবে। যেমন মিষ্টি কুমড়ো আলু। কাঁচা পেঁপে কাঁচা কলা৷ করলা গাজর টম্যাটো মুলো এগুলো খেতে হবে।
যেসব ফল এবং সবজি খাওয়া যাবেনা
যেসব সবজি বাদ দিতে হবে সুজনে, ঢেড়স, বরবটি, কচু, মিষ্টি আলু, পালংশাক, পুঁই শাক, ধনেপাতা এগুলো বাদ দিতে হবে। যেসব ফল খাওয়া যাবে না। কলা কামরাঙ্গা, আনারস,লেবু, আমড়া, বরই পাকা আম কাঁঠাল এগুলোও খেতে পারবেন না। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার ডাল শুকনো ফল, বাদাম, কাজু, বাদাম, খেজুর ও বিচি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। ডাবের পানি ও নারকেলের তৈরি খাবার বাদ দিতে হবে। গরু খাসি, ভেড়া, মহিষ এদের মগজ।
কলিজা মাংস সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক মাছের ডিম চিনি বাদ দিতে হবে। লবণের তৈরি যে সব খাবার বাদ দিতে হবে যেমন চিপস, আচার, চানাচুর, শুঁটকি পনির এগুলো বাদ দিতে হবে। সকল প্রকার ফর্মুলার খাদ্য যেমন হরলিক্স, কমপ্ল্যান এগুলো বাদ দিতে হবে। কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে। কোক সেভেন আপ এগুলো খাওয়া যাবে না। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটা বুঝতে কোনও রকম অসুবিধা হয়নি।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতি
মন্তব্য
সুপ্রিয়া পাঠক বন্ধু, আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। এরকম হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন। পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url