জলে ভেজা কিশমিস কতটা উপকারী জেনে নিন
জলে ভেজা কিশমিস কতটা উপকারী জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। আপনারা অনেকেই জানতে চান, রাতে পানিতে ভেজানো কিশমিশ বা কিসমিস এর পানি খালি পেটে খেলে কোনও উপকার পাওয়া যায় কি? বা কিসমিস প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত বা দিনের কয়টি খাওয়া উচিত এবং কিশমিশ খেলে কি সত্যিই মোটা হওয়া যায়? আজ আমি আপনাকে বলব এসব সম্পর্কে। তবে অনুরোধ করব পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। তো চলুন এ 12 জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র: জানুন সারারাত ভেজা কিসমিস শরীরের জন্য কত উপকার
- কিসমিসে কি কি ভিটামিন আছে
- ভেজা কিসমিস কতটা উপকারী
- প্রতিদিন কতটুকু কিশমিশ খাওয়া উচিত
- কিশমিশ খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
- মন্তব্য
কিসমিসে কি কি ভিটামিন আছে
কিসমিস এমন এক ধরনের ড্রাই ফ্রুট, যা আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। আঙুরের মধ্যে যে সব গুণাগুণ আছে তা কিশমিশ এও রয়েছে। কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। কিসমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়। কিসমিস প্রধানত মিষ্টি পায়েস এবং অন্যান্য মিষ্টি জিনিসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে দারুণ স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য জাদুকরী কিসমিস। সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে অনেক গুণ বেশি উপকার পাওয়া যায়। এর ফলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ কাঠবাদাম কাজুবাদাম ও কিসমিসের কার্যকারিতা
ভেজা কিসমিস কতটা উপকারী
এ বার জানব জলে ভেজানো কিশমিশ কতটা উপকারী। যেমন রক্তচাপ স্বাভাবিক করে কিশমিশ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে লবণের পরিমাণ ভারসাম্য রেখে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া হজমশক্তি বাড়ায়। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। রাতে সাত থেকে আটটি কিশমিশ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে সেই কিশমিশ খান এবং বাকি পানি টাও পান করুন।
এর ফলে হজমের সমস্যা খুব কম সময়ে দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহযোগিতা করে। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ থেকে 7টি কিশমিশ খেলে শরীর ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে। এছাড়া হাড় মজবুত করে৷ হাড় মজবুত রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ক্যালসিয়াম, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পানিতে ভিজিয়ে খেলে কিশমিশ এর পুষ্টিগুণ শরীরে বেশি উপকার করে। তা ছাড়া রক্তশূন্যতা দূর করে। শরীরের রক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে।আয়রনের কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন পানিতে ভিজে কিশমিশ খেলে শরীরে রক্ত শূণ্যতা দূর হয়। তাছাড়া লিভারের কার্যকারিতা ঠিক করে। সব ধরনের ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে কিশমিশ শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন যুক্ত কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
যা দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। কিশমিশে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি মুখে বাজে গন্ধ দূর করে। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিতই ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান, তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিশমিশ খেতে পারেন।
প্রতিদিন কতটুকু কিশমিশ খাওয়া উচিত
দিনে 30 থেকে 40 গ্রাম কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে। তার মানে দিনে আট থেকে 10 টি কিশমিশ খেতে পারেন। এর বেশি খাওয়া উচিত নয়।
কিশমিশ খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
ভেজানো কিশমিশ শরীরের পক্ষে উপকারী। শরীর সুস্থ রাখতে ও শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যেমন খেজুর, কাজু, বাদাম ইত্যাদির মতো কিশমিশ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে প্রচুর সুক্রোজ, গ্লুকোজ এবং প্রোটিনের এনার্জিতে ভরপুর।
মন্তব্য
বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস এর মধ্যে কিসমিস একটি অন্যতম ড্রাই ফ্রুটস। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। তবে কিসমিসে অধিক পরিমাণ ভিটামিন এবং অধিক পরিমাণ উপকারিতা পেতে হলে অবশ্যই কিসমিস ভিজিয়ে খেতে হবে। ভেজানো কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। কিস মিশে যেমন শরীরের বিভিন্ন ধরনের অভাব পূরণ হয়, তেমনি ওজন বৃদ্ধিতেও কিসমিস যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়ম মেনে প্রতিদিন আমাদের কিসমিস খাওয়া প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা মধু এবং জমজমের পানির উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, আজকে আমি আপনার সাথে আলোচনা করলাম ভেজা কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে। এ ধরনের হেলফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইডিটির সঙ্গে থাকবেন এবং বন্ধুদের জানানোর স্বার্থে পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url