রাত জেগে পড়াশোনা করার পাঁচটি গোপন টিপস

 রাত জেগে পড়াশোনা করার পাঁচটি গোপন টিপস 

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা এবং স্বাগতম। আপনি যদি স্টুডেন্ট থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি  আপনার জন্য। বেশিরভাগ স্টুডেন্টেরই সব থেকে বড় প্রবলেম হল এই যে তারা রাতে পড়াশোনা করতে পারে না। কিন্তু রাতে পড়াশোনা করতে না পারার সব থেকে বড় কারণ হল ঘুম। হ্যাঁ, এটা হল এমন একটি প্রবলেম যা অলমোস্ট প্রতিটি স্টুডেন্টরাই ফেস করে থাকে। 

এক কথায় স্টুডেন্ট লাইফ এর সব থেকে বড় শত্রু হল ঘুম। আপনাদের মধ্যে থেকে অনেকেরই হয়তো পরীক্ষা কাছে চলে এসেছে। আর আপনি আপনার সিলেবাস কমপ্লিট করতে চান। আর এর কারণে আপনি রাতে পড়াশোনা করতে বসেন। কিন্তু আপনি হয়তো এটা লক্ষ্য করে দেখেছেন যে রাত্রি বেলায় আপনি অ্যাকটিভলি পড়াশোনা করতে পারেন না। যখনই আপনি পড়তে বসেন তখনই আপনার ঘুম আসতে শুরু করে। সকালে তো আপনি খুব ভাল ভাবে পড়াশোনা করতে পারেন। কিন্তু যতই বেলা বাড়তে শুরু করে বিকেল থেকে সন্ধ্যা তারপর রাত্রি আসে। 

আপনার এনার্জি লেভেলও তত কমতে শুরু করে। যার ফলে রাতে পড়াশোনা করা আপনার কাছে অসম্ভব হয়ে পড়ে। চিন্তা নেই, আজকের এই পোস্টটি দেখার পর আপনার এই বড় প্রবলেম টি একেবারেই চলে যাবে। আজকের এই পোস্টটিতে আপনি এমন পাঁচটি টিপস জানাতে চলেছেন যেগুলিকে ফলো করে আপনি রাত্রিবেলা এফেক্টিভলি আপনার পড়াশোনাকে চালিয়ে যেতে পারবেন। আর পড়ার সময় আপনার ঘুমও আসবে না।

পোস্ট সূচীপত্র: রাত জেগে পড়াশোনা করার পাঁচটি গোপন টিপস 

  1. রাত জেগে পড়াশোনা করার জন্য রাতে ভারি খাবার ত্যাগ করুন
  2. রাত্রিবেলায় রুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটের ব্যবস্থা করুন
  3. রাতে পড়ার সময় অবশ্যই বিছানার পরিবর্তে চেয়ার টেবিল ব্যবহার করবেন।
  4. যেকোনো বিষয় পড়ার আগে অবশ্যই লিখবেন
  5. আজ রাত্রিবেলায় সম্ভাব্য সহজ বিষয় পড়বেন
  6. মন্তব্য

রাত জেগে পড়াশোনা করার জন্য রাতে ভারি খাবার ত্যাগ করুন

 রাত্রি বেলায় হেভি ফুড কনজ্যুম করার পর আমাদের শরীরের পাচনতন্ত্র কে সেই খাবারকে ডাইজেস্ট করার জন্যে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। যার কারণে আমাদের বডির আনার্জি অনেক কনজ্যুম হয়ে যায়। আর এর ফলে আমরা লেজি ফিল করা শুরু করি। আপনার ঘুম পেতে শুরু করে। এটা আপনি হয়তো নোটিশ করেছেন যে হেভি ফুড খাওয়ার পর আপনার বডি অলস হয়ে যায়। এই কারণের জন্যে রাতে আপনি ভারী খাবারের পরিবর্তে যতটা সম্ভব হালকা খাবার খান। 

আর এর সাথে সাথে এই কথাটিও মাথায় রাখবেন যে আপনি আপনার ডিনার যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি করে নেবেন। অর্থাৎ আপনি রাত্রি 7:00 থেকে আটটার মধ্যেই আপনার ডিনার কমপ্লিট করে নেবেন। রাত্রি 7:00 থেকে আট টার মধ্যে ডিনার আপনার শরীরের জন্য অনেক বেনিফিশিয়াল হবে আর এর ফলে রাতে পড়ার সময় আপনার ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে।

আরো পড়ুনঃ শীতকালে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার তিনটি উপায়/টিপস

রাত্রিবেলায় রুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটের ব্যবস্থা করুন

বেশিরভাগ স্টুডেন্ট রা এই ভুলটি করে থাকে যে তারা পড়ার সময় ল্যাম্প জ্বালিয়ে বা কম বোল্টের বল জ্বালিয়ে পড়াশোনা করে। যার কারণে তাদের রুমের ম্যাক্সিমাম অন্ধকার হয়ে থাকে। শুধু পড়ার জায়গাটাকে বাদ দিয়ে বাকি সম্পূর্ণ রুমটি অন্ধকার হয়ে থাকে। এতে কী হয় জানেন? এতে আমাদের ব্রেন এ মেলাটোনিন হরমোন রিলিজ হওয়া শুরু করে। আর আপনি তো এটা ভালো ভাবেই জানেন যে মেলাটোনিন হরমোন হল সেই হরমোন যা আমাদের ঘুমের জন্য দায়ী। 

অ্যাকচুয়ালি যখন আপনার স্টাডি টেবিল বা আপনার স্টাডি রুমে যথেষ্ট পরিমাণ লাইট থাকে। তখন আপনার ব্রেন এটা মনে করা শুরু করে যে এখনও রাত হয়নি। এখনও দিনই আছে যার কারণে ব্রেন মেলাটোনিন হরমোনের রিলিজ কে বন্ধ করে দেয়। আর অভিয়াসলি মিলাটোনিন রিলিজ না হলে ঘুম আসবে কী ভাবে। 

কিন্তু এরই অপরদিকে যদি আপনি কম লাইটে পড়াশোনা করেন তো তখন আপনার ব্রেন হয় হিউজ মাউন্টে মেলাটোনিন হরমোন রিলিজ করতে শুরু করে। আর এটার কারণেই আপনার পড়ার সময় ঘুম আসতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে আপনি ঘুমিয়ে পড়েন। এই কারণের জন্যই যখনই আপনি রাতে পড়তে বসবেন তখন এই কথাটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে, আপনার স্টাডি রুমে যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় লাইট থাকে।

রাতে পড়ার সময় অবশ্যই বিছানার পরিবর্তে চেয়ার টেবিল ব্যবহার করবেন।

বেশিরভাগ স্টুডেন্টই পড়তে বসার সময় এই ভুলটি করে ফেলে যে, তারা নিজের বেডেই পড়তে বসে পড়ে। এটা করার ফলে তারা পড়ার সময় কমফোর্ট জোনে চলে যায়। আর এতে আমাদের ঘুম আসতে শুরু করে। যদি আপনার বিছানায় পড়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এটিকে আজই পরিবর্তন করুন। আপনি বিছানায় না পড়তে বসে বরং নিজের ডেস্কে পড়তে বসুন। আর হ্যাঁ, এই কথাটিও মাথায় রাখবেন যে আপনার সিটিং পোস্টার যেন একদম কারেক্ট থাকে। 

যেকোনো বিষয় পড়ার আগে অবশ্যই লিখবেন

যদি আপনি কোনও ইনফরমেশন কে লিখে লিখে মনে রাখেন এটা সত্যিই আপনার খুব ভালো একটি অভ্যাস। যখন আমরা কোনও বিষয় বা কোনও ইনফরমেশন কে লিখি, তখন আমরা অ্যালার্ট হয়ে যায়। আর লিখে লিখে মনে রাখার অভ্যেস আপনার স্মৃতিশক্তি অনেকটাই মুভ করে। যার ফলে আপনি কোনও পড়াকে বহু দিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারেন। তাই পড়তে বসলে পড়াকে লিখে লিখে মনে রাখার চেষ্টা করুন। 

আজ রাত্রিবেলায় সম্ভাব্য সহজ বিষয় পড়বেন

 আপনি হয়তো এই কথাটা বেশ কয়েকজনের মুখে শুনেছেন যে ডিফিকাল্ট এবং কমপ্লেক্স অবজেক্টগুলিকে নাকি রাতে পড়লে ভালো মনে থাকে। ডিফিকাল্ট সাবজেক্ট গুলো কী আমাদের ব্রেন রাতে ভালো প্রসেস করতে পারে? এটা সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা। ফ্যাক্ট হল এই যে সাবজেক্ট গুলো ইজি সেই সাবজেক্ট গুলির পড়া আমাদের ভালো মনে থাকে। 

আর এরই অপরদিকে যে সাবজেক্ট গুলো ডিফিকাল্ট সেগুলির সকালে পড়লে আমাদের ভালো মনে থাকে। তাই যে সাবজেক্ট গুলো আপনার কাছে সহজ সেই সাবজেক্ট গুলো আপনি রাতে পড়ুন। আর যে সাবজেক্ট গুলো আপনার কাছে ডিফিকাল্ট বলে মনে হয়, সেগুলিকে আপনি সকালে পড়ুন। কারণ সকালে আমাদের ব্রেনে ইনফরমেশনকে ক্যাচ করার ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে।

আরো পড়ুনঃ বুদ্ধিমান ব্যক্তির সাতটি  বৈশিষ্ট্য

মন্তব্য

 এই পাঁচটি টিপস যদি আপনি ঠিক মতো ফলো করেন এবং ধারাবাহিকভাবে যদি আপনি আপনার পড়াশোনা করেন তো আপনিও রাতেই এফেক্টিভলি আপনার পড়াশোনা করতে পারবেন। আর পড়ার সময় আপনার ঘুমও আসবে না। 

শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url