গীবত করার শাস্তি জানলে অবাক হবেন

 গীবত করার শাস্তি জানলে অবাক হবেন

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে গীবতকারীর ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে আলোচনা করব। গীবত ইসলামের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম অপরাধ এবং নোংরা কাজ। আল্লাহতালা গীবতকারীকে পছন্দ করেন না। গীবত বা পরনিন্দা করা মহাপাপ। একথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা কি জানি কি গীবত করলে কী ভাবে ক্ষমা চাইতে হয়? এ কথা আমরা অনেকেই জানি না।আল্লাহতায়ালা গীবতকারীর জন্য কি কি শাস্তি রেখেছেন তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আসুন প্রিয় দর্শক আজকে আমরা এ সম্পর্কে জানব ইনশাআল্লাহ। 

পোস্ট সূচীপত্র: গীবত কারীর ভয়াবহ শাস্তি

  • গীবত কি?
  • গীবত কারীর ভয়াবহ শাস্তি সমূহ
  • শেষের কথা

গীবত কি?

গীবত শব্দের আভিধানিক অর্থ পরনিন্দা করা। পেছনে সমালোচনা করা, দোষারোপ করা। কারো অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষ অন্য সামনে তুলে ধরা। ইসলামিক শরিয়তে গীবত হারাম ও কবিরা গুনাহ।

আরো পড়ুনঃ ঈমান নষ্ট হওয়ার ৫টি কারণ

গীবত কারীর ভয়াবহ শাস্তি সমূহ

হাদিসের বর্ণনায় যারা অন্যের দোষ বলে বেড়ায় তাদের জন্য রয়েছে ধ্বংসের দুঃসংবাদ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা আলা বলেন, আর তোমরা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াবে না। দুর্ভাগ্য তাঁদের জন্য যাঁরা পেছনের সম্মুখে মানুষের লোকের নিন্দা করে।অবশ্যই তাঁরা ভূতনামক জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়।  আল্লাহ বলেন, বান্দাকে তুমি কি জানো তূতনামক কি? বান্দা বলে আমরা জানি না। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন। সেটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি যা হৃদয়কে গ্রাস করবে, নাউজুবিল্লাহ। 

হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূল (স) বলেন, তোমরা কি জানো গীবত কাকে বলে? সাহাবীরা বলেন, আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভালো জানেন। তিনি বলেন, তোমরা কোন ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে অপছন্দ করে তাই হল গীবত৷ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন। হে আল্লাহর রাসূল। আমি যে দোষের কথা বলি সেটা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কী সেটা গীবত হবে? উত্তরে রাসূল (স) বলেন, তুমি যে দোষের কথা বলো তা যদি তোমার ভাইয়ের মতো৷ থাকে তবে তুমি অবশ্যই গীবত করলে। 

তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে তাহলে তাহলেও তুমি গীবত করলে? যদি কেউ কারও উপর মিথ্যা অপবাদ করে। তাহলে ইসলামী দণ্ডবিধিতে তাকে 40 থেকে 80 বার চাবুক দেওয়ার হুকুম  রয়েছে। এরা ফাসিক অপরাধী। শরিয়তের আদালতে এদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কোনও ব্যক্তি জেনার পর তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু কোন গীবতকারী যার গীবত করা হয়েছে যার ব্যাপারে কটূক্তি করা হয়েছে। তিনি মাফ না করা পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করবেন না। এছাড়াও হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে গীবত করা এবং নিজের ভাইয়ের মরা গোশত খাওয়া এক সমান। হাদীস শরিফে বর্ণিত আছে, গীবতের কাফফারা হলো তুমি যার গীবন করেছ তার জন্য তুমি মাগফেরাতের দোয়া করবে। 

তুমি এভাবে বলবে হবে। হে আল্লাহ তুমি আমার ভাইয়ের গুনাহ মাফ করে দাও। তুমি আমার বোনের গুনাহ মাফ করে দাও। তাঁর নাম নিয়ে তার জন্য দোয়া করতে হবে। সমালোচনাকারী কে বিচারের দিনে নিজের নেক আমল দিয়ে তার বিনিময়ে পরিশোধ করতে হবে যার সমালোচনা করা করেছেন।বা যার সমালোচনা করেছে। তার গুনাহ দিয়ে সমালোচনাকারী কে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে। হে আল্লাহ তুমি আমাদের গীবত করা থেকে এবং পরনিন্দা করা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন আমিন।

আরো পড়ুনঃ ইসলামের পথে চলার উপায়, আল্লাহর পথে আসার উপায়

শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু গীবত সম্পর্কে এবং গীবতের ভয়াবহতা সম্পর্কে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। আশা করি আমরা আল্লাহর দেখানো পথে চলবে এবং গীবত করা থেকে নিজেদের সেফ রাখব। আল্লাহ তা আলার ভয়াবহ শাস্তি থেকে আমরা আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবো। এরকম হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইডিটির সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url