জেনে নিন সিদ্ধী কিভাবে লাভ করা যায়
জেনে নিন সিদ্ধী কিভাবে লাভ করা যায়
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজ আমরা আলোচনা করব সিদ্ধি কিভাবে লাভ করা যায় বা প্রাচীনকালে সিদ্ধি কীভাবে লাভ করা হতো? প্রাচীকাল থেকেই পৃথিবীতে এমন কিছু লোক রয়েছে যাদের কাছে সাধারণ ব্যক্তির কল্পনা ব্যতীত অলৌকিক শক্তি আছে, যেগুলিকে তারা স্পিরিচুয়াল প্র্যাকটিসের দ্বারা অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যে এডভানস স্পিরিচুয়াল প্র্যাকটিসের মাধ্যমে একজন সাধারণ ব্যক্তিও কী এই শক্তিগুলিকে পেতে পারে?
আপনি কি কোনো দিন ভেবে দেখেছেন যে, যদি আপনার কাছে ওই পাওয়ার গুলি থাকত তাহলে কেমন হত? লাইফ ফিউচার প্রেডিক্ট করা কারো মাইন্ডেডকে রেট করা বা টাইম ট্রাভেল করা সেই সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার গুলি বর্তমানে আর মিথ হয়ে নেই। কারণ এখন সাইন্স এটা স্বীকার করে যে, ব্রহ্মাণ্ডে এমন কিছু অদ্ভুত ও অলৌকিক শক্তি আছে যার দ্বারা এগুলিকে করতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে এও কি সম্ভব? আমাদেরকে কেবল সেই শক্তিগুলিকে জানতে হবে।
আর এই জন্যই সাইন্টিস্টরা এখন এই ফিল্ডটিকে নিয়ে বিভিন্ন প্রকারের রিসার্চ করছে। যেমন হিউম্যান বডি দিয়ে মোটেল বানানো, টেলিপোর্টেশন এবং সুপার পাওয়ার। আর আজকের এই পোস্টটি হয়তো ইন্টারনেটের একমাত্র পোস্ট হতে চলেছে। যেখানে স্টেপ বাই স্টেপ আপনি একটি গাইড কে পেতে চলেছেন যে কিভাবে একজন নর্মাল ব্যক্তি এই পাওয়ার গুলিকে পেতে পারে। যাকে সংস্কৃতিতে সিদ্ধি বলা হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক স্টেপ বাই স্টেপ।
পোস্ট সূচীপত্র: কিভাবে সিদ্ধী লাভ করা যায়
- স্পিরিচুয়াল প্র্যাক্টিস এর মাধ্যমে সিদ্ধী লাভ করা যায়
- কোন শব্দ বা কোন মন্ত্র যার দ্বারা আপনি কিছু শক্তিকে পেতে পারেন।
- কিছু প্রাকৃতিক রসায়ন এর দ্বারা সিদ্ধী লাভ করা যায়
- মডিফিকেশন এর দ্বারা সিদ্ধী লাভ করা যায়
স্পিরিচুয়াল প্র্যাক্টিস এর মাধ্যমে সিদ্ধী লাভ করা যায়
প্রথমে আপনি এটা জানুন যে কোনও বই বা কোনও ভিডিও সে যতই মহান হোক না কেন এগুলির কোনও জিনিসই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। যতক্ষণ না আপনি স্পিরিচুয়াল প্র্যাক্টিস গুলিকে একজন জীবিত গুরুর সামনে করবেন। কারণ একজন গুরু আপনাকে সঠিক পথ প্রদর্শন তো করাবে সাথে সাথে গুরু আপনার এই নতুন স্পিরিচুয়াল জার্নি কে অনেক সহজ এবং কম সময়ের মধ্যে কমপ্লিট করাতে পারবে।
কারণ একজন সিদ্ধ গুরু তাঁর মন্থর শক্তিকে তাঁর শিশুকে দান করে দেয়। যে তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। তাই সিদ্ধ বা advanced স্পিরিচুয়াল পাওয়ারকে প্রাপ্ত করার প্রথম স্টেপ হলো এমন এক গুরুকে অনুসন্ধান করা, যার কাছে শক্তিগুলি রয়েছে। এবার আপনি হয়তো বলবেন যে আদৌ কি এরকম গুরু 20 ফার্স্ট সেঞ্চুরিতে আছে? এর উত্তর হল হ্যাঁ আছে। শুধু মন থেকে খুঁজলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ মহাবিশ্ব এবং মানুষের তৈরি গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে জানুন
কোন শব্দ বা কোন মন্ত্র যার দ্বারা আপনি কিছু শক্তিকে পেতে পারেন।
দ্যা ওয়েস্ট সিদ্ধি প্রাপ্ত করার জেনারেল ছয়টি উপায় আছে। প্রথম যে আপনি জন্মসূত্রে সিদ্ধ যেমনটা মহর্ষি কপিল ছিলেন আর এটা এজন্যই হয়। কারণ আপনি আপনার পূর্ব জন্মের যথেষ্ট অ্যাডভান্স স্টেজ অব্দি পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে আপনার মৃত্যু হয়েছিল৷ কোন শব্দ বা কোন মন্ত্র যার দ্বারা আপনি কিছু শক্তিকে পেতে পারেন।
কিছু প্রাকৃতিক রসায়ন এর দ্বারা সিদ্ধী লাভ করা যায়
তৃতীয় প্রসেস হলো কিছু প্রাকৃতিক রসায়ন এর দ্বারা। অর্থাৎ এমন কিছু ড্রিঙ্ক যেমন অমৃত যা মেনলি আপনার শরীরকে ইমমরট্যাল অর্থাৎ অমর বানিয়ে দেবে এবং আপনাকে ফিজ়িক্যালি অনেক শক্তিশালী বানিয়ে দেবে। প্রাচীন গ্রন্থে আমরা এমন কিছু রসায়নের ব্যাপারে প্রমাণ পাই যা আপনার ক্ষুধা এবং তিষ্ণাকেও কমিয়ে দেবে।আর এটি খুবই জরুরি। কারণ এই ধরনের স্পিরিচুয়াল অ্যাডভান্সমেন্টে বহু বছর প্রয়োজন তো যদি আপনার শরীরটি ফিজিক্যালি স্ট্রং৷ না হয় তাহলে আপনাকে বার বার জন্ম নিয়ে গুলিকে প্রাপ্ত করতে হবে।
এর ফলে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য অনেক সময় লেগে যাবে। এই জন্যই ঋষি মুনিরা এমন এক রসায়নের আবিষ্কার করে নিয়েছিলেন যে মানুষকে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখতে পারত। 1945 সময়ে ভারতের এজ লাইফ এক্সপেক্টেন্সি প্রায় 40 থেকে 50 বছর ছিল যাযাবর। মেডিক্যাল ফেসিলিটি এবং ওষুধের কারণে 70 বছর হয়ে গেছে। আর আপনি যত অ্যাডভান্স দেশকে দেখবেন পাবেন যে, সেই দেশের মানুষের লাইফ এক্সপেক্টেন্সি ততই বেশি। আর ভারতীয় ঋষি মুনিদের মতে, আমাদের শরীরকে প্রপার কন্ডিশনে অমর ও বানানো সম্ভব।
মডিফিকেশন এর দ্বারা সিদ্ধী লাভ করা যায়
সিদ্ধ প্রাপ্ত করার চতুর্থ প্রসেস হল মডিফিকেশন। কুম্ভমেলায় বা হিমালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে আপনি এমন কিছু সাধুদের দেখতে পাবেন যারা গত 50 বছর ধরে নিজের হাত তুলে রেখেছে। কেউ কেউ চুল কাটা বন্ধ করে দিয়েছে তো কেউ আবার বস্ত্র পরিধান ছেড়ে দিয়েছে৷ এই ভাবে সিদ্ধ প্রাপ্ত করা সম্ভব। কিন্তু আপনি তো 50 বছর ধরে হাতে তুলে রাখতে পারবেন না। না তো চুল কাটা বন্ধ করতে পারবেন। তো এর জন্যে রয়েছে আরও একটি প্রসেস৷
আর যে শক্তিকে আপনি চান তা মেনেই প্রসেস দ্বারা প্রাপ্ত করা হয়। আক্রোশ প্রাচীন ঋষি মুনিরা মনে করতেন যে শক্তিগুলিকে আপনি পেতে চান সেগুলি বাইরে কোথাও নেই, সেগুলি আপনার মধ্যে অলরেডি আছে। আপনাকে বা সেগুলিকে আনলক করতে হবে। আর আনলক করার জন্য আপনাকে ইনটেন্স ফোকাস করতে শিখতে হবে। কিন্তু ইনটেন্স ফোকাস শুধু প্রাপ্ত করার জন্য আপনার শরীরে সাতটি চক্র আছে সেগুলিকে অ্যাক্টিভেট করতে হবে।
আসলে আমাদের শরীরের সাতটি ইম্পরট্যান্ট এনার্জি সেন্টার রয়েছে, যাকে চক্র বলে। এগুলির কোনও ফিজিক্যাল এগজ়িস্ট্যান্স নেই। যেমন পৃথিবীর কক্ষপথ, পৃথিবীর অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, সেগুলির ফিজিক্যাল এক্সিসটেন্স নেই। ঠিক একই রকম ভাবে মানব শরীরে যে সাতটি ম্যাচে রিলোকেশন রয়েছে এই সাত টি চক্রের মধ্যে প্রতিটি চক্র কিছু স্পেসিফিক জিনিসের সাথে অ্যাসোসিয়েট থাকে। এই সাতটি চক্র হচ্ছে :
- মূলাধার চক্র
- স্বাধিষ্ঠান চক্র
- মণিপুর চক্র
- অনাহতচক্র
- বিশুদ্ধ চক্র
- আজ্ঞাচক্র
- সহস্রার চক্র
কনশাসনেস বা চেতনা
সারা পৃথিবীর 99% লোকের কনশাসনেস বা চেতনা, এই প্রথম চক্র মূলাধার চক্রে আটকে থাকে। যার কারণে লোকেরা একদম সিম্পল লাইফকে এক্সপিরিয়েন্স করে। সেদ্ধ প্রাপ্ত করতে চাইলে আপনাকে সাতটি চক্রকে অ্যাক্টিভেট করতে হবে, প্রতিটি চক্রের উপর ইনটেন্স ফোকাস প্র্যাক্টিস করে। যতই আপনি এই চক্রগুলিকে অ্যাক্টিভেট করতে থাকবেন, ততই অটোমেটিক্যালি আপনি নিজের মধ্যে সেঁধিয়ে শক্তিগুলিকে অনুভব করতে পারবেন।
তারপর আপনার মধ্যেও সুপারন্যাচারাল পাওয়ার চলে আসবে। কিন্তু আপনি কি জানেন, যে সনাতন ধর্মের সিদ্ধি প্রাপ্ত করার ইচ্ছাকে অনেক ভয়ানক মনে করা হয়। আমাদের স্পিরিচুয়াল জার্নি থেকে আমাদের দূরে নিয়ে চলে যায়। আরেকজন মানুষের মধ্যে এই ধরনের শক্তি আসার পর ব্যক্তির মধ্যে ম্যাট্রেস টিজারও বাড়তে শুরু করে। এতটা অ্যাডভান্স পাওয়ার থাকার কারণে ব্যক্তির মধ্যে ইগো জন্ম নেয়৷ যার কারণে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই আবার এই শক্তিগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়।
তো এর থেকে আমরা বুঝলাম যে সিদ্ধি প্রাপ্ত করার প্রসেস টি অনেক সময় সাপেক্ষ। তার উপর আবার এই পাওয়ার গুলি পার্মানেন্ট নয়, তাহলে কী করা যায় তো কেমন হবে? যদি আমি আপনাকে এমন একটি উপায় বলি যার সাহায্যে আপনাকে প্রতিটি সিদ্ধিকে ইন্ডিভিজুয়াল প্রাপ্ত করতে হবে না। সমস্ত সিদ্ধিকে একবার এই প্রাপ্ত করতে পারবেন এবং পাওয়ারগুলি পার্মানেন্ট৷ আমি কথা বলছি এনলাইটেনমেন্টের নির্মাণের।
যদি একজন ব্যক্তি সব কিছু ছেড়ে দিয়ে কেবলমাত্র নিজের মনে নিজের আত্মার ওপর ফোকাস করে এবং সেটিকে জেনে নেয় তো সেই ব্রহ্মাণ্ডে অবস্থিত প্রতিটি বৃহত্ থেকে বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর জিনিসের নলেজ ইন্সট্যান্টলি পেয়ে যায়। যার কারণে ব্যক্তি ইন্সট্যান্টলি সমস্ত সিদ্ধিকে প্রাপ্ত করে নেয়। তাও কোনো রকম এক্সট্রা পরিশ্রম ছাড়াই। আর সেই ব্যক্তিই জন্ম এবং মৃত্যুর সাইকেল থেকে মুক্ত হয়ে যায়। আমাদের প্রত্যেকের আল্টিমেট লক্ষ্য হল মোক্ষ লাভ। আর এর জন্য বছরের পর বছর ইনটেন্স মেডিটেশন করতে হয়।
এক্ষেত্রে আপনার বছরের পর বছর মেডিটেশন করতে হবে না। আপনি এই প্রচেষ্টাকে ফাস্ট বানাতে পারবেন কীভাবে? আসলে আমরা যে সকল কাজগুলি করি সেই কাজগুলোর পেছনে বহু ডিজায়ার লুকিয়ে থাকে। যার কারণে বারবার আমাদেরকে আমাদের কর্মের ফল কে ভোগ করতে হয় এবং যার কারণে বার বার জন্ম মৃত্যুর সাইকেল দ্বারা পার হতে হয়। আর এনলাইটেনমেন্ট এর মানে হল এই যে, যখন আমাদের সৎ ও অসৎ কর্ম একেবারে জিরো হয়ে যায়। অর্থাৎ কর্মফল ভোগ করার জন্য আপনাকে আর জন্ম নিতে হবে না। কারণ এমন কোনও কর্ম আর বাকি নেই যার রেজাল্ট বা ফল ভোগ করতে হবে।
এজন্য যারা কর্মযোগী হন তারা তাদের সমস্ত কাজকে কোনও ডিজাইনার ছাড়াই বা ফলের আশা না করেই কাজ করতে থাকে, যার কারণে তাদের কর্মের প্রভাব তাঁদের উপর পড়ে না। তাছাড়াও বহু পৌরাণিক গ্রন্থে আপনি হয়তো দেখেছেন যে কিছু ঋষি নিজেকে বহু প্রকার পশু পাখি ট্রান্সফর্ম করে নেন। কারণ এদের উদ্দেশ্যই হল নিজের সমস্ত কর্মের রেজাল্ট ভোগ করে নেওয়া। এই কাজকে তারা নিজের কনশাসনেস বায়োপিক পাওয়ার দ্বারা করতে পারতেন। আর এর নাম হল কয়।
আরো পড়ুনঃ টাইম ট্রাভেল কি? কিভাবে টাইম ট্রাভেল করা যাই
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পরে অবশ্যই সিদ্ধি লাভ করার প্রসেস গুলো জানতে পেরেছেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গেই থাকুন এবং পোস্টটি বন্ধুদের জানানোর জন্য অবশ্য শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url