দৈনন্দিন তিনটি অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিচ্ছে
দৈনন্দিন তিনটি অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিচ্ছে
আপনি কি জানেন যে এমন কি কি হ্যাবিটস রয়েছে যা আপনার ব্রেনকে ড্যামেজ করছে। ফেব্রুয়ারি 2008 এ ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের করা একটি স্টাডিতে 24 থেকে 96 বছর বয়সি প্রায় 3600 লোকের সাথে একটি স্টাডি করা হয়। এই সকল লোকেদের মেন্টাল ফাংশনস এবং ওয়ার্কিং মেমরি কে কিছু মিনি মেন্টাল পরীক্ষার সাহায্যে পরীক্ষা করা হয়। তারপর সোশ্যাল ইন্টারঅ্যাকশনের লেভেলকেও স্টাডি করা হয়। যে লোকেরা তাদের ডেলি লাইফ এ অন্য লোকেদের সাথে কখন এবং কতটা ফ্রিকোয়েন্টলি ইন্টারঅ্যাক্ট করছে।
আর এই স্টাডিতে যে রেজাল্ট আসে সেটিকে ভ্যালিডেট করার জন্য এমন ইসিএলের একটি রিসার্চ করা হয়। কিন্তু এবার সেই স্টাডিজ ৭৬ টি আলাদা আলাদা কলেজ স্টুডেন্টের উপর করা হয়। যাদের বয়স 24 বছরের থেকে কম ছিল এবং ফাইনালে রেজাল্ট এলো তা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল। কারণ রেজাল্টের হিসেবে ডেলি ক্রসওয়ার্ড পাজল খেলার লোকেদের মেন্টাল স্টাফ নার্স এবং ইন্টেলেকচুয়াল পারফরম্যান্স যতটা অ্যাক্টিভ থাকে, ঠিক ততটাই অ্যাক্টিভ এবং মেন্টালি স্ট্রং ছিল।
সেই সকল লোকেরা যারা প্রতিদিন সকালে ট্র্যাকশন করে সহজ ভাষায় যদি বলি তো প্রতিদিন লোকেদের সাথে ফেস টু ফেস কথা বলার ফলে।আমাদের কগনিটিভ অ্যাবিলিটি এবং মেন্টাল ফাংশন ইম্প্রুভ হয়ে যায়। ওয়েট আপনার কি মনে হচ্ছে না যে ওর ফর্ম হোমের কালচারে আমাদের ডেলি হ্যাবিটস একটু বেশি পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা এমনই কিছু হ্যাবিট এবং তার ইমপ্যাক্ট গুলির ব্যাপারে কথা বলব।
পোস্ট সূচীপত্র: দৈনন্দিন তিনটি অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিচ্ছে
- দ্য ব্রেন ড্রেন এন্ড ইন অ্যাক্টিভিটি
- ইয়ারফোনস উইথ হাই ভলিউম।
- মোর স্ক্রিন টাইম
- মন্তব্য
১. দ্য ব্রেন ড্রেন এন্ড ইন অ্যাক্টিভিটি
আপনার কি মনে হয় লকডাউন এবং করোনার চ্যাপ্টার এর আগে কেবলমাত্র ট্র্যাভেলিং এর কারণে আপনার ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বেশি হয়ে গিয়েছিল? কিন্তু যাঁরা আজও ফর্ম হোম করছে, তাঁদের জন্য একদম সত্য। লোকেদের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি অনেক পরিমাণে কমে গেছে। তো এই জিনিসটির কি কেবলমাত্র একটা ইমপ্যাক্ট, যে বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে আপনার পেট মোটা হয়ে যাচ্ছে? না। ইনফ্যাক্ট অন্যদিকে রয়েছে যোজন হয়েছে। দ্যা জার্নাল অব কম্প্যারেটিভ নিউরোলজির একটি স্টাডি অনুযায়ী ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সরাসরি প্রভাব আপনার মেন্টাল কন্ডিশন এর উপরও পড়ে।
যার প্রভাব আপনার মেমরি এবং কগনিটিভ এবিলিটি র ওপর পড়ে। কিন্তু এতে কি হয়? সিম্পল ওয়ার্ড ফিজিক্যালি অ্যাক্টিভ থাকার কারণে আপনার ব্রেনের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বডিতে যে কেমিকাল প্রোডিউস হয়, তাঁর প্রোডাকশন কমে যায়। যার কারণে আপনার মেন্টাল হেলথ খারাপ হতে শুরু করে এবং আপনার ব্রেন ফাংশন এবং মেমরি দুর্বল হতে শুরু করে। তাই কমপক্ষে কুড়ি মিনিটের জন্য হলেও প্রতিদিন এক্সারসাইজ অবশ্যই করুন।
আরো পড়ুনঃ মানবদেহের ৮টি অজানা তথ্য
২. ইয়ারফোনস উইথ হাই ভলিউম।
আগে আমরা শুধুমাত্র গান শোনার জন্য হেড ফোন করতাম। তারপর ধীরে ধীরে হ্যান্ডস ফ্রি কলিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করলাম। কিন্তু আজ যেহেতু ক্লাস এবং কাজ দুটোই ডিজিটাল হতে শুরু করেছে তাই এর জন্য অলমোস্ট আমরা সবাই কমিউনিকেশনস এবং এন্টারটেনমেন্ট এর জন্যে হেড ফোন ব্যবহার করছি৷ আর শুধু তাই নয়, লোকেরা অনেক দামি দামি নয় ক্যানসেলেশনের ওয়ার্ড এবং হেডফোন ও কিনছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই হ্যাবিট আপনার ব্রেনে কী প্রভাব ফেলছে? যখন আপনি গান শোনার জন্যে ভয়েসকে ফুল করেন। তখন আপনার কানে এমন ন্যাচারাল প্রেসার পড়ে যে প্রেসারকে সহ্য করার জন্য আপনার কান তৈরি নয়। আর দীর্ঘক্ষণ ধরে লাউড সাউন্ড কে শোনার কারণে ব্যক্তির মধ্যে হেয়ারিং ডিসঅর্ডার এবং ভবিষ্যতে অ্যালজাইমার এবং ডেমেনশিয়ার মতো ক্রিটিক্যাল প্রবলেম গুলি ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
৩.মোর স্ক্রিন টাইম
দেখুন আগে যেভাবে আমরা ফেস টু ফেস লোকেদের সাথে ইনটারিয়াক্ট করতাম তা আজ খুব কম হয়েছে গেছে৷ আজ আমরা দলের লোকেদের সাথে ফেস টু ফেস ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারি না। এর অল্টারনেটিভ হিসেবে আমরা অনলাইনে ফোন এবং কম্পিউটার স্ক্রিনে তাদের সাথে কথা বলি। এক কথায় আমরা বর্তমানে ফোন এবং কম্পিউটার স্ক্রিনে বেশি সময় পার করেছি। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত আমাদের ফোনের স্ক্রিন আমাদের চোখের সামনে থাকে। কিন্তু শুধু কি স্ক্রিনটাইম আমাদের চোখের ক্ষতি করছে আর কোন কিছুর ক্ষতি করছে না?
এই হ্যাবিটের আলাদা প্রভাব রয়েছে। অ্যাকচুয়ালি এক্সিস্ট স্ক্রিন টাইম আমাদের ইমোশনাল ওয়েলবিন কে প্রভাবিত করে। নিউরো প্লাস্টিক শিটের ওপর করা স্টাডি অনুযায়ী স্ক্রিনে বেশি সময় পার করার জন্য আমাদের ব্রেনের সার্কিটস অস্ট্রিয়ার হতে শুরু করে। যার কারণে কিছু মেন্টাল ডিসর্ডার ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি এবং মাথাব্যথা বেড়ে যায়। এই জন্যেই যদি আপনি চান যে আপনার মেন্টাল হেলথ যেন ঠিক থাকে। তো এই তিনটি মডার্ন হ্যাবিটকে আপনি অ্যাওয়ার্ড করুন। অ্যাওয়ার্ড করতে না পারলে কিছুটা কম অবশ্যই করুন।
আরো পড়ুনঃ জেনে নিন সিদ্ধী কিভাবে লাভ করা যায়
মন্তব্য
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, অবশ্যই এই তিনটি অভ্যাসকে এড়িয়ে চলুন। এড়িয়া চলতে না পারলেও অবশ্যই কম করবেন। কারণ এই তিনটি অভ্যাস আপনার ব্রেনকে দিন দিন ড্যামেজ করে দিচ্ছে। যা আমরা ডাইরেক্টলি বুঝতে পারি না কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে তা আমাদের প্রতিনিয়ত ব্রেনকে ড্যামেজ করে দিচ্ছে। সো আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত।
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইডির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url