ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন কি খাবেন না জেনে নিন

 ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন কি খাবেন না জেনে নিন

সুপ্রিয় পাঠাবো বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজ বলব ডেঙ্গু রোগীদের কোন ধরনের খাবারগুলো খাওয়ার তালিকায় রাখা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনুরোধ করব পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। তো চলুন এ বার জেনে নেওয়া যাক। রক্তের একটি ক্ষুদ্র কণিকা হল প্লাটিলেট। প্লাটিলেট মূলত রক্তকে জমাট বাঁধায়। আর এটাই আমাদের সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা দেয়। 

মানব দেহে স্বাভাবিকভাবে দেড় থেকে সাড়ে চার লক্ষ পরিমাণ থাকে প্লেটলেটের মাত্রা। কোন কারণবশত এইটা 20,000 থেকে নীচে নামতে থাকলে ইন্টারনাল ব্লিডিং ঝুঁকি থাকে। এর প্রধান কারণ হল প্লাটিলেটের ধ্বংস হোক কিংবা শরীর নতুন কোনও প্লাটিলেটের তৈরি না হওয়া। ডেঙ্গু রোগের সময় প্লাটিলেটের স্তর কমতে পারে। যদি এটি অধিকমাত্রায় কমতে শুরু করে তাহলে এটি রোগীর জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্র: ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন কি খাবেন না জেনে নিন

  • ডেঙ্গু রোগীরা কোন কোন ফলমূল খেতে পারবে
  • ডেঙ্গু রোগীরা কি কি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারবে
  • ডেঙ্গু রোগীর জন্য কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া দরকার
  • মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগীরা কোন কোন ফলমূল খেতে পারবে

এবার জেনে নিন ডেঙ্গু রোগী যেসব ফল খেতে পারেন, যেমন পেঁপে। পেঁপে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল যা প্লাটিলেটের স্তর বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা প্লাটিলেট বাড়ানোর জন্য উপকারী। পেঁপে পাতার রস ও ডেঙ্গু রোগীর প্লেটিলেট দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম এবং ভিটামিন সি থাকে। যা প্লাটিলেট নিরাময়ে সাহায্য করে। তাছাড়া পেঁপে পাতার পাপাইন এবং ওপেনের মতো এনজাইম সমৃদ্ধ যা হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি করতে পারে প্লেটিলেটের পরিমাণও। 

সেই জন্য আপনাকে প্রতিদিন নিয়ম করে 30 টি  পেঁপে পাতা তৈরি জুস খেতে হবে। তাছাড়া ডালিম। ডালিম এমন একটি ফল যা বিশেষ ভাবে প্লাটলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত একটি ফল। ডেঙ্গু রোগের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডালিম রাখা উচিত। তাছাড়া ড্রাগনফল। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন আছে। ড্রাগন ফল রক্তে অণুচক্রিকা বা ফলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় ফল খুবই কার্যকর হয়ে থাকে। তা ছাড়া কিউই। কিউউ একটি অন্যতম খাবার। যা প্লাটলেটের সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেয়। এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে পটাশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির উৎস। 

তাছাড়া জাম্বুরা, জাম্বুরা আমাদের দেশীয় ফল যা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি প্লাটলেট স্তর বাড়াতে সহায়তা করে। এই ফলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টি তন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। তা ছাড়া কমলালেবু, কমলালেবু রক্ত প্লাটলেটের স্তর বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টির উৎস। এছাড়া স্ট্রবেরি স্ট্রবেরি, অনেক ভিটামিন সি এবং ফাইবার ধারণ করে। যা কী না প্লাটলেটের স্তর বাড়াতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে। এই ফলগুলি ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটলেটের স্তরে বাড়াতে সাহায্য করে, কারণ এতে অনেক পুষ্টিগুণ ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

আরো পড়ুনঃ কিডনি ভালো আছে না খারাপ আছে কিভাবে বুঝবেন

ডেঙ্গু রোগীরা কি কি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে পারবে

ডেঙ্গু রোগীরা তাদের খাবার তালিকায় প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে পারেন। তবে প্রোটিন জাতীয় খাবার সব বলে রাখা যাবে না। মাংস ডেঙ্গু রোগের খাবার হিসেবে প্রোটিন এবং আয়রনের অত্যন্ত ভালো উৎস। ডেঙ্গু রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারি যা কিনা ফ্লাইট বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া ডাল, ডাল প্রোটিন ও আয়রনের উৎস এবং এর বিস্তার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। ডেঙ্গু রোগীরা মসুর ডাল, মুগ ডাল, ছানা, বুটের ডাল ইত্যাদি ডাল খেতে পারেন। 

এছাড়া পালং শাক খেতে পারেন। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এটি আসলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এই শাকটি বেশি করে গ্রহণ করলে অতি দ্রুত প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ো রক্তে প্লেটলেট তৈরির মূল্যবান উপাদান। ভিটামিন ই মিষ্টিকুমড়াতে রয়েছে যা রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে প্লাটিলেট বৃদ্ধির উপাদান। তাই যদি কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর রক্তে প্লাটিলেট কমে যায় সে তার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়ো রাখতে পারেন। 

নিয়মিত খেলে প্লাটিলেট অনেকটা বেড়ে যাবে৷ এছাড়া দুধ বা ডেয়ারি প্রোডাক্ট খেতে পারেন। দুধ দই ছানা, পনির চিজ ইত্যাদি খেতে পারেন। এগুলো প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। তাছাড়া ডায়েট ফুড খেতে পারে ডেঙ্গু রোগী। বাদাম, কাজু, পেস্তা ইত্যাদি খেতে পারেন। তাছাড়া সয়াবিন, সয়াবিন একটি উচ্চতর প্রোটিন এবং আয়রনের উৎস এবং প্রোটিনের স্তর বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীরা দুপুরের খাবারে খিচুড়ি খেতে পারেন৷ নরম ওষুধ ও খাদ্য হল একজন ডেঙ্গু রোগীর জন্য আদর্শ হার। কারণ এগুলো সহজে হজম হয়ে যায়। 

খিচুড়ি এবং নরম ধরনের খাবার অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো গিলতে সুবিধা হয় এবং সহজে হজম হয়ে যায়। তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড ও তরল সমন্বিত থাকে। এই ধরনের খাবারে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার ডেঙ্গু রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের প্লাটিলেট রেস্তোরাঁতে বেশ কিছু লিকুইড ধরনের খাবার খাওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ডাবের পানি, পুদিনা পানি, লেবুর জ্যুস এবং বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। 

ডেঙ্গু রোগীর জন্য কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া দরকার

এবার চলুন ডেঙ্গু জ্বরের সময় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই তৈলাক্ত ভাজা খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবারগুলো খেলে উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া ডেঙ্গু রোগী তো অবশ্যই মসলাযুক্ত খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এই ধরনের খাবার বেশি করে খেলে পাকস্থলীর দেওয়াল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ডেঙ্গু হলে তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে।সেই সঙ্গে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। 

এই খাবারগুলো হার্টের বাড়িয়ে দিতে পারে। সেইসঙ্গে ক্লান্তি নিয়ে আসতে পারে। ডেঙ্গু হলে অনেক সময় শরীরে প্রচুর পানির ঘাটতি তৈরি হয়। এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আদা পানি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে অনেক ডেঙ্গু রোগীর বমি বমি ভাব মোকাবিলায় সাহায্য করে। কখনো কখনো আসলে পানি শূন্যতা পূরনের পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এটি শরীরের আবশ্যক পটাশিয়াম সরবরাহ করে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কি খাবেন কি খাবেন না

মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, নিশ্চয়ই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে এবং কি কি খেতে হবে না। পোস্টটি পরে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url