১০ টি অবাক করা সাইকোলজি ফ্যাক্ট জেনে নিন

 ১০ টি অবাক করা সাইকোলজি ফ্যাক্ট জেনে নিন

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুআলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনি কি জানেন যে বেশি বসে থাকার কারণে আপনার লাইফস্প্যান ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে? কিন্তু কীভাবে? আচ্ছা আপনি এটি অবশ্যই জানেন যে আপনার সেলফি নেওয়ার স্টাইল আপনার ব্যাপারে অনেক কিছু বলে। কিন্তু কী? আজ এই পোষ্টের  মাধ্যমে আপনি এমন দশটি সাইকোলজিক্যাল ফ্যাট জানাতে চলেছেন যেগুলিকে জেনে আপনি অবশ্যই অবাক হবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১০ টি অবাক করা সাইকোলজি ফ্যাক্ট জেনে নিন

1.কোনও ভয়ানক জিনিস, বা ঝগড়া দেখে ভয় পাওয়া লোকেদের তো আপনি অবশ্যই দেখেছেন। কিন্তু আপনি কি কোনওদিন কোনও ব্যক্তিকে ভালোবাসা দেখে ভয় পেতে দেখেছেন? আপনি না দেখলেও আমি দেখেছি। সাইকোলজি তে এমন ভয় রয়েছে যার কারণে লোকেরা রিলেশনশিপ তৈরি করা তো দূরের কথা লোকেরা ভালোবাসতে ভয় পায়।এটিকে সায়েন্সের ভাষায় ছিল ফোবিয়া বলা হয়। যদিও ডক্টরেরা খুব একটা সিরিয়াসলি নেয় না। কিন্তু যখন এটি কারো সাথে ঘটে তখন ব্যক্তি খুবই ইমোশনাল পেনফুল সিচুয়েশনের মধ্য দিয়ে পার হয়। কিছু সাইকোলজিস্ট এর পেছনের কারণ হিসেবে পাস্টে হঠাৎ হার্ট ব্রেক ইভেন কে পেনফুল নিজেকে মনে করে। এ ছাড়াও আরও কিছু কারণ রয়েছে যার জন্য লোকে ভালবাসতে ভয় পায়।

2.আপনি কি জানেন যে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় রেড কালার কে ভালো ভাবে চিনতে পারে। সিভিলরা রেট কালার কে আপনার থেকেও ভালোভাবে জানে।আর এ জন্যই তারা রেড চেরি রেড রোজ রেট ক্যান্ডিডেট রবি জামবেরি, মারণ স্কারলেটের মতো কালারকে ইজিলি differentciet করতে পারে। But ছেলেদের ক্ষেত্রে রেড তো রেড। মেয়েরা রেড কালার শেডস কে এত ভালভাবে জানতে পারে তাদের লিপস্টিকের জন্য। 

সরি লিপস্টিক নয়, সব থেকে বড় কারণ হল এক্স ক্রোমোজোম। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার রিসার্চ অনুযায়ী এক্স ক্রোমোজোমের সাথে এক জিন কালারকে খুব ভালোভাবে ডিফারেনশিয়েট করতে পারে। এই সুপার পাওয়ার কেবলমাত্র ফিমেল এর মধ্যে রয়েছে। কারণ শিমেলদের এক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা দুটি। অর্থাত্ সেই স্পেসিফিক জিন্সের দুটি ক পি আর এ জন্যই ফিমেলরা মেলদের তুলনায় কালারসেট ভাল ভাবে চিনতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ মানবদেহের ৮টি অজানা তথ্য

3.কালারের কথা যখন হচ্ছেই তো পৃথিবীর সব থেকে ফেভরিট কালার কোনটি? আপনি হয়তো ভাবছেন  ব্ল্যাক কালার হবে। কারণ এটা মোস্ট কমন ফ্লু এর কিন্তু এমনটা নয়৷ বহু গ্লোবাল মার্কেটিং ফার্ম স্টাডি অনুযায়ী পৃথিবীর সবথেকে ফেভারিট কালার হল ব্লু। ইনফ্যাক্ট ব্ল্যাক তো সেকেন্ডের মধ্যে আসেনা। সেকেন্ড ফেভারিট কালার হল পার্পল। আপনার ফেভারিট কালার কোনটি তা কমেন্ট বক্সে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

4.যে ব্যক্তিকে আপনি সব থেকে বেশি ভালোবাসেন তাঁর উপর রেগে থাকা প্রায় অসম্ভব। আপনি চাইলেও তার উপর বেশিক্ষণ রেগে থাকতে পারবেন না। কিন্তু ফ্যাট হল এই যদি আপনি আপনার প্রিয় ব্যক্তির উপর তিনদিন অবধি রেগে থাকতে পারেন৷ 3 দিন কন্টিনিউ তাঁর উপর রেগে থাকেন,তার সাথে যদি কথা না বলে থাকতে পারেন তো তার মানে সেই ব্যক্তিকে আপনি সব থেকে বেশি ভালোবাসেন না৷ হ্যাঁ, শুনে বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্য। সাইকোলজি হিসেবে আপনি আপনার মোস্ট পার্সোনের ওপর তিন দিনের বেশি রেগে থাকতে পারবেন না। আর যদি আপনি তা পারেন তো সেই ব্যক্তিটি আপনার মোস্ট পার্সোন নয়।

5.এই ফ্যাক্টটি বেশ ইন্টারেস্টিং। লাইফে আপনার খুব কাজে দেবে। অনেক সময় যখন আমরা কোনো টাফ ডিসিশন কে নিতে যায় আমরা খুব কনফিউজড হয়ে যায়। আমরা বুঝে উঠতে পারি না যে আমাদের জন্য কোন অপশনটি ঠিক অপশন তাই না। তো এই সিচুয়েশনে আপনি কীভাবে ডিসিশন নেন? সাইকোলজি হিসাবে কোনও ডিসিশন নিতে যদি আপনি কনফিউজড হয়ে পড়েন তো সেই সময় আপনি একটি কোয়েনকে টস করুন। আর কোয়েন যখন হাওয়ায় স্লিপ করবে তখনই নিজেকে নোটিশ করুন। আপনার ব্রেনে যখন সব থেকে প্রথমে আসছে মানে যেদিকে মন চাইছে সেটিকে সিলেক্ট করে নিন এবং সেটিকে অ্যাকসেপ্ট করে নিন। 

6.আচ্ছা যখন আপনি কোথাও ঘুরতে যান মানে ট্র্যাভেলিং করতে জান তখন আপনি কতগুলি ড্রেসকে প্যাক করে সঙ্গে নেন? সাইকোলজিস্ট হিসেবে যখন একজন পুরুষ সাত দিনের জন্য ট্যুরে যায় তখন সে কেবল মাত্র পাঁচ দিনের কাপড় চোপড় প্যাক করে। কিন্তু অপরদিকে একজন মহিলা সেম সাত দিনের ট্যুরেই প্রায় 21 দিনের কাপুরকে প্যাক করে ব্যাগে নিয়ে যায়। বরং এটা সাইকোলজির বলে আপনি পেয়ে যাবেন। এই ফ্যাক্টটি থেকে আপনি অনুমান করতে পারেন যে একজন মেল এবং ফিমেল থিঙ্কিং এর মধ্যে কতটা ডিফারেন্স রয়েছে।

7.যেমনটি আপনি জানেন যে বর্তমানে ব্যস্ত জীবনে বহু লোক চিন্তা এবং ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে হয়েছে। তো এটা রিলেটেড একটি ফ্যাক্ট হল এই যে,যে সকল লোকেরাই কুল 100 কুড়ির উপরে থাকে সেই সকল লোকেদের ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় প্রায় 23% বেশি থাকে। ডাব্লুএইচওর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সময় থাকতে যদি মানুষ তার স্বাস্থ্যের উপর ধ্যান না দেয় তো 2030 এই ডিপ্রেশন একটি ভয়ানক রোগ হিসেবে তৈরি হয়ে যাবে।

8.এটি সিঙ্গল দের জন্য। আপনি কি জানেন যে সাইকোলজির হিসেবে কেবলমাত্র 12% মহিলাই আগে তাদের ভালবাসাকে প্রকাশ করে। মানে পৃথিবীর কেবলমাত্র 12% মেয়েরাই কোনও ছেলেকে সবথেকে আগে আই লাভ ইউ বলে। কিন্তু বাকি 90 পারসেন্ট ছেলেরাই সব থেকে আগে কোনও মেয়েকে নিজের ভালবাসাকে প্রকাশ করে। মানে পৃথিবীর 90 পারসেন্ট ছেলে সবথেকে আগে কোনও মেয়েকে আই লাভ ইউ বলে। যদিও কনক্লুশন দিয়েই তো ছেলেরাই আগে মেয়েদেরকে প্রপোজ করবে। বাট মেয়েরা ছেলেদের কে আগে প্রোপোজ করবে এর সম্ভাবনা খুবই কম যায় না বললেই চলে।

9.আজ এমন মডার্ন সেলফি টাইমে যখনই আমরা সুযোগ পাই তো একটি বা দুটি সেলফি নিয়ে নি। আলাদা আলাদা অ্যাঙ্গল আলাদা আলাদা স্টাইল এবং আলাদা আলাদা পোজে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার সেলফি নেওয়ার স্টাইল লোকেদেরকে আপনার পার্সোনালিটির ব্যাপারে অনেক কিছু বলে দেয়। বিহারের রিসার্চ অনুযায়ী আমাদের ফেভারিট সেলফি পোস্ট আমাদের মধ্যে অবস্থিত পার্সোন্যালিটি হাইলাইট করে। 

যদি আপনি সেলফি নেওয়ার সময় ডাফিকে বানান তো তার মানে হল এই যে আপনি ইমোশনালি কতটা স্টেবল নন। আপনার ইমোশন খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনি বেশিরভাগ সময়ে নেগেটিভ ভাব ভাবনা রাখেন, যার কারণে আপনি মাঝে মধ্যে ডিপ্রেশনের শিকার হন। কিন্তু যদি আপনি স্মাইলিং সেলফি নিতে পছন্দ করেন, তো তার মানে আপনি আপনার লাইফের রিয়্যালিটি অ্যাকসেপ্ট করেন এবং সব সময় নতুন কিছুকে এক্সপিরিয়েন্স করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। কিছু কিছু লোক পোজ কখন নেয় যখন তারা ক্যামেরার সামনে কমফোর্টেবল ফীল করে না। 

যদি আপনি ক্যামেরাকে নীচে রেখে সেলফি নিতে পছন্দ করেন তো তার মানে লোকেরা আপনাকে অনেকটা ফ্রেন্ডলি এবং মিশুক স্বভাবের মনে করে। কিন্তু যখন আপনি নিজের সেলফিতে ফিটনেসকে দেখান তো লোকেরা মনে করে যে আপনি নিজের লাইফ এর প্রতিবেশ ফোকাস করছেন। যদি আপনি সেলফিতে নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডে লুকোনোর চেষ্টা করেন তার মানে আপনি একজন প্রাইভেট পার্সন। আপনি প্রাইভেসিকে পছন্দ করেন। আপনি কেমনভাবে সেলফি নিতে পছন্দ করেন তা কমেন্ট বক্সে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

10.এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা বর্তমানে আমাদের একটি হ্যাবিট হয়ে গেছে। কাজ হোক বা পড়তে বসা হোক বা অন্য কোনও কারণেই হোক অনেকক্ষণ ধরে একই জায়গায় বসে থাকা বর্তমানে একটি নর্মাল ব্যাপার৷ কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই হ্যাবিট টি আপনার শরীরকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দিচ্ছে। ইনফ্যাক্ট এটি আপনার লাইফ স্পেনকেও লুজ করে দিচ্ছে। ব্রাজিলে করা কিছু রিসার্চ অনুযায়ী পৃথিবীতে ঘণ্টা প্রতি 1000 মৃত্যুর মধ্যে থেকে 38 টি মৃত্যুর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র দীর্ঘক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে থাকার হ্যাবিটের কারনে হচ্ছে। 

আর এই রিসার্চ অনুযায়ী যদি আমরা প্রতিদিন আধ ঘন্টার থেকে কম বসে থাকি। তাহলে আমাদের লাইফে প্রায় চার মাস অ্যাড হয়ে যায়। মানে চার মাস আয়ু আমাদের বেড়ে যায়। যদি আপনি সবসময় বসে থেকে কাজ করেন তাহলে সাবধান হয়ে যান। কাজের ফাঁকে একটু রেস্ট নিন একটু হাঁটাচলা করুন।

আরো পড়ুনঃ দৈনন্দিন তিনটি অভ্যাস যা আপনার মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিচ্ছে

শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, আশা করি পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। বন্ধুদেরকে জানানোর জন্য পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরো সাইকোলজিক্যাল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url