ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
প্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমি আপনার সাথে আলোচনা করব ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং এর চিকিৎসা নিয়ে।ডেঙ্গুজ্বর একটি মশাবাহিত ভাইরাস সংক্রমণ এডিস মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
এই রোগে কেউ তখনই আক্রান্ত হয় যখন মশা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তিকে কামড়ে তার পর ভাইরাস বহন করার সময়। একজন অ সংক্রমিত ব্যক্তিকে কামড় দেয়। এদিকে দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বলবো তবে পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন শেষে আরেকটি টিপস দিব।
পোস্ট সূচিপত্র: ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
- ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা
- মন্তব্য
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
এ বার আমরা জানবো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কি কি। বা কিভাবে আপনি বুঝবেন যে আপনার ডেঙ্গু হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের প্রথমত লক্ষণ আপনারা বুঝবেন জ্বর যদি একশোর উপরে থাকে তাহলে। জ্বর ১০১-১০৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম ঝরে। জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে। অন্যতম লক্ষণ শরীরে ব্যথা, সঙ্গে মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যাথা হতে পারে। সঙ্গে চামড়ায় লালচে দাগ বা রেশ থাকতে পারে। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হতে পারে ক্ষুধা কমে যাওয়া। শরীর ম্যাজম্যাজ করার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন কি খাবেন না জেনে নিন
সিবিআই ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে তীব্র পেটে ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া, রক্তবমি, মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ, ত্বকের নীচে, রক্ত ক্ষরণ, শ্বাসকার্য কঠিন বা দ্রুত হওয়া শরীর ঠান্ডা অনুভব বা ঘাম হওয়া দ্রুত নাড়ির স্পন্দন এবং ঘুম ঘুম ভাব চেতনা হারানো এগুলো সিবিআই ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে হতে পারে। ডেঙ্গু শক সিনড্রোম থেকে মানব দেহে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে পালস রেট অনেকটা বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ খুব কমে যায়। শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাস খুব দ্রুত চলে রোগী অস্থির হয়ে ওঠেন।
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা
উপরোক্ত লক্ষণ গুলো রবির মাঝে দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভরতি করানো উচিত। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা হল, ডেঙ্গু হলে ওষুধ হিসেবে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত। অনেকে না জেনে শরীরের বিভিন্ন অংশে তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে বিপদ ঘটতে পারে, কারণ ব্যথানাশক ওষুধ শরীরে রক্তক্ষরণ ঘটাতে পারে যা ডেকে আনতে পারে মৃত্যু। ডেঙ্গু হলে বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। যেমন ভাতের মাড়, সেলাইন, ডাবের পানি ফলের রস, লেবুর পানি ইত্যাদি তরল খাবার।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেমন ডাল, ডিম, মুরগির মাংস, ছোট মাছের ঝোল বেশি করে রাখতে হবে খাদ্যতালিকা।ডেঙ্গু রোগীর রক্তে প্লেটলেট কমে যায়। তাই রক্তে প্লেটলেট বাড়ে এমন খাবার খেতে হবে। যেমন সাইট্রাস ফল কাঠ বাদাম দুই সূর্যমুখী বীজ গ্রিন টি ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, পালং শাক, আদা, রসুন, হলুদ। তাছাড়া পেয়ারার সরবত পান করা যেতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। ডেঙ্গু সংক্রমণ উপশম করবে। রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে নিম পাতার রস ভাল কাজ করে।
এটি শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিমপাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বেঙ্গলি অবশ্যই সংশোধনভাবে সেবা যত্ন করতে হবে উপরোক্ত খাদ্যগুলো পরিমাণমতো দিতে হবে এবং নিয়মিত দিতে হবে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যেসব খাদ্যগুলোর কথা বলা হলো সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়মিত প্রদান করতে হবে। রোগীকে অবশ্যই পার্মানেন্ট ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে থাকতে হবে। ডাক্তার কি কি পরামর্শ দেয় সেদিকে খেয়াল রেখে প্রেসক্রাইব অনুযায়ী সেবা-যত্ন করতে হবে ডেঙ্গু রোগীকে।
আরো পড়ুনঃ কি কি খাবার খেলে রক্তে প্লাটিলেট বাড়ে জেনে নিন
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বন্ধু ডেঙ্গু একটি সাধারন এবং কমন রোগ এই রোগটি প্রায় অনেকেরই হয়ে থাকে ডেঙ্গুর একটি হওয়ার কারণ হচ্ছে এডিস মশা। এডিস মশার ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বহন করে তাই আমাদের দেশে অনেক ডেঙ্গু রোগী প্রতিবছরই মারা যায়। তাই অবশ্যই দিন গ্রুপের ক্ষেত্রে হবে সতর্ক হতে হবে সাবধান হতে হবে। মনে রাখবেন রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।
পোস্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট তাই পোস্টটি নিজে পড়ুন এবং অন্যদের জানার স্বার্থে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অবশ্য শেয়ার করবেন। নিজের বাড়িতেও সতর্ক হবেন ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে। আমরা প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইটে হেলথ বিষয়ক তথ্য প্রচার করে থাকি। যা আপনাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রয়োজন হয়। এরকম হেলথ টিপস পেতে মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url