ঘরোয়া পাঁচটি উপায়ে চোখের জ্যোতি বানান ঈগলের মত
ঘরোয়া পাঁচটি উপায়ে চোখের জ্যোতি বানান ঈগলের মত
প্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনার কি চোখের জ্যোতি কমে গেছে? আপনি কি প্রতি দিন সকালে নিজের চশমা কে খুঁজতে খুঁজতে ঘুম থেকে ওঠেন? আমাদের চোখ আমাদের বডি র সবথেকে important একটি পার্ট। তাই এই চোখ সব সময় Healthy রাখা আমাদের দায়িত্ব। যদি আপনি নিজের চোখকে ঠিক রাখতে চান এবং কন্ট্যাক্ট লেন্স অথবা চশমা থেকে চিরজীবনের জন্য মুক্তি পেতে চান?
তাহলে আজকের এই পোস্টটি টি আপনার জন্য। এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবো আপনি কিভাবে পাঁচটি উপায়ে চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে পারবেন।প্রতিটি স্টেপ এতটা সিম্পল আছে যে আপনি এগুলিকে নিজের বাড়িতে টাকা খরচ করে কোনও প্রোডাক্ট না কিনে বাড়িতেই ফল করতে পারবেন। শর্ত শুধু একটাই যে আপনাকে স্টেট গুলিকে রোজ ফলো করতে হবে। কমপক্ষে 21 দিন পর্যন্ত দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আপনি রেজাল্ট পেতে শুরু করবেন
পোস্ট সূচীপত্র: ঘরোয়া পাঁচটি উপায়ে চোখের জ্যোতি বানান ঈগলের মত
- চোখের যতই ঠিক রাখতে আইএক্সারসাইজ করুন
- চোখের যদি ঠিক রাখতে প্রতিদিন সানগিন করুন।
- চোখের যতই ঠিক রাখতে কিউকাম্বার আই প্যাক্স করুন
- চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে রাত ৯ টার পরে স্কিনকে দেখবেন না।
- চোখের যদি ঠিক রাখতে স্টেফাইন ক্রিয়া টকরিয়া।
চোখের যতই ঠিক রাখতে আইএক্সারসাইজ করুন
এই এক্সারসাইজটি করার জন্য আপনার 10 মিনিটের প্রয়োজন। আপনি যেকোনো জায়গায় বাড়িতে পার্কে,পড়াশোনা করতে করতে, কোথাও যেতে যেতেও এই এক্সারসাইজটি করতে পারেন। এই এক্সারসাইজটি করার সময় আপনি যদি চশমা লেন্স পরে থাকেন তাহলে সেটিকে খুলে নিন। প্রথমে আপনি 10-12 বার নিজের চোখকে উপর এবং নিচে করুন যতটা উপরে যেতে পারেন এবং যতটা নীচে যেতে পারেন নিয়ে যান। এবার দশবার লেফট এবং রাইট এর দিকে নিয়ে যান।
ঠিক সেইভাবেই এবার দশবার ডাইনে লি চোখে টপ রাইট এবং লেফট নিয়ে যান। এবার এসএম জিনিসটিকে 10-12 অপোজিট ডাইরেকশন করুন। অর্থাৎ তকলিফ থেকে বটম রেট নিয়ে যান। এবার চোখে দশবার ক্লক ওয়াইজ ঘোরান ৷ এবং 10-12 অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ ঘোরান৷ এবার আমরা করব সব থেকে ইম্পরট্যান্ট এক্সারসাইস, যা হল আয়ুশ। প্রথমে আপনি নিজের বুড়ো আঙুলকে নাকের কাছে দুই চোখের একদম মধ্যস্থানে নিয়ে আনুন। এবার নিজের বুড়ো আঙুলের সবথেকে উপরিভাগকে দেখুন।
দেখুন এবং ধীরে ধীরে ফোকাস কে না সরিয়ে নিজের হাতে তুলে নিয়ে যান এবং সম্পূর্ণ ফোকাস কে বুড়ো আঙুলের টপে রাখুন। যখনই হাত স্ট্রেচ হয়ে যাবে তখন নিজের ফোকাসকে আঙ্গুলের পেছনের দৃশ্য তে নিয়ে যান এবার আবার সম্পূর্ণ ফোকাস আঙ্গুলের উপর নিয়ে আনুন এবং আঙ্গুলকে আবার নিজের নাকের কাছে নিয়ে আনুন। এটিকে আপনি 10-12 বার করুন এবং শেষে নিজের দুই হাতের তালু কে রদ করে নিন। এবার সেই তালুকে চোখের উপর রাখুন যাতে চোখ আরাম পায়।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন এক মিনিট করে ঝুলে থাকার ১১ টি উপকারিতা
চোখের যদি ঠিক রাখতে প্রতিদিন সানগিন করুন।
সানগিন কথাটির অর্থ হল সূর্যকে প্রায় 5 মিনিট ধরে দেখা। যদি আপনি চশমা বা লেন্স পরেন তাহলে সেটিকে প্রথমে খুলে নিন। এবার সূর্যকে দেখুন যে ভাবে আপনি টিভি দেখেন ঠিক তেমনই ভাবে আপনি সূর্যকে দেখুন। যদি দেখতে দেখতে মাঝে মধ্যে রোলিং করতে হয় তো করুন। কোনও অসুবিধে নেই। তো কতক্ষণ করব যদি আপনি প্রথম বার করছেন তাহলে প্রথম দিন কেবলমাত্র 1 মিনিট করুন এবং ধীরে ধীরে সময়কে আপনি 5 মিনিট অবধি নিয়ে যান। কখন করবেন? সূর্যোদয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে অথবা সূর্যাস্তের এক ঘণ্টার মধ্যে আপনি করতে পারেন। কখনও দুপুর বেলা প্রখর উত্তাপের সঙ্গে এদিন করবেন না।
সানগিন করার সময় সূর্যের কিরণ আপনার চোখের ভেতরের হয়, যা আপনার চোখে হিল করার কাজ করে হয়ে গেলে এবার নিজের হাত দুটিকে ড্যাব করে নিন এবং চোখের ওপর রাখুন। প্রায় 30 সেকেন্ড অবধি এই টেকনিকটি কে বলা হয় পামিং। আর এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময়ে আপনার চোখ সূর্যের কিরণ কে গ্রহণ করে আমিনের সময়ে আপনাকে নিজের চোখে চাপ দিতে বা স্পর্শ করতে হবে না। শুধু ঢেকে রাখতে হবে আপনি কি জানেন সূর্য হল প্রকৃতির সব থেকে শক্তিশালী আই ডক্টর।
কিউকাম্বার আই প্যাক্স
এই স্টেপটি খুবই সহজ। একটি শসাকে স্লাইস করে টুকরো বানিয়ে নিয়ে সেটিকে চোখ বন্ধ করে তার উপর রাখুন। এই অবস্থায় কমপক্ষে 15 মিনিট থাকুন এবং নিজের চোখকে রেস্ট দিন। যখন আপনি চোখের মধ্যে শসার স্লাইস কে লাগান তখন আপনার মস্তিষ্কে দুই ধরনের টেম্পারেচার মেইনটেন হয়। আপনার চোখের স্থানটি শীতল হয়ে যায় এবং আশেপাশের এরিয়া গরম হয়ে যায়। শরীরের যে স্থানে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় সেই স্থানে হিলিং বা নিরাময় প্রক্রিয়া অটোমেটিকালি শুরু হয়ে যায়। ১৫ মিনিট পর আপনি শসা কে সরিয়ে নিন। এটি আপনার চোখকে তো ঠিক করে সাথে সাথে আপনাকে অনেকটা ফ্রেশ এবং রিল্যাক্সড ফিল করায়। শসার অল্টারনেটিভ হিসেবে আপনি চাল কুমড়ো লাউ অথবা আলুর ব্যবহার করতে পারেন।
চোখের জ্যোতি ঠিক রাখতে রাত ৯ টার পরে স্কিনকে দেখবেন না।
রাত ন'টার পরে কোনরকম আপনার নিজের স্কিনকে দেখবেন না। সকালে ঘুম ভাঙতেই আমরা আমাদের ফোন চেক করতে শুরু করে দিই। তার পর সারাদিন ল্যাপটপ মোবাইল ব্যবহার করতে থাকি। কাজ হোক বা এন্টারটেনমেন্ট হোক। আমাদের চোখ এক স্ক্রিন থেকে আরেক স্ক্রিনে সবসময় পড়ে থাকে। তো স্ক্রিন থেকে নির্গত ব্লু লাইট আমাদের রেটিনাকে ড্যামেজ করতে শুরু করে। তো যদি আপনি রাতভর ফোন চালাতে থাকেন তাহলে আপনার চোখ কোনওদিনই ঠিক হবে না। আর যদি দিনে আপনি দীর্ঘসময় ধরে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করেন তাহলে 30 মিনিট পর পর আপনি 10 মিনিটের ব্রেক নিন৷ এবং 20 সেকেন্ড অবধি নিজের চোখকে ব্লেন্ড করতে থাকুন।
চোখের যদি ঠিক রাখতে স্টেফাইন ক্রিয়া টকরিয়া।
স্টেফাইন ক্রিয়াটকরিয়া হল একটি প্র্যাকটিস যা আমাদের চোখ এবং মন দুটিকে শার্ট করে। এটিকে করার জন্যে প্রথমে আপনি একটি অন্ধকার ঘরে প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিন। এবার সেই প্রদীপ বা মোমবাতি কে এমন হাইটে রাখুন যে যখন আপনি বসবেন তখন যেন সেটি আপনার চোখের সোজাসুজি থাকে। উপরে বা নীচে নয়। একদম যেন আই লেভেলে থাকে। এবার আপনি বসুন শান্ত হোন নিজের মেরুদণ্ড সোজা করে নিন। এবার আপনি সেই মোমবাতি বা প্রদীপ টির জ্যোতির একদম উপরে ফোকাস করুন।
এই প্র্যাকটিসটা করার সময়ও আপনি চশমা লেন্স খুলে রাখুন। আপনি ব্লেন্ড করতে চাইলে করতে পারেন। তবে যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন ব্লিংক না করে দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে দেখার। আপনি প্র্যাক্টিসটি 5 মিনিট করুন যেভাবে। যেভাবে সানগিন করার পর আপিল করেছিলাম ঠিক একই রকম ভাবে আমাদেরকে পামিং করতে হবে। পামিং করার সময় হয়তো আপনি সেই প্রদীপ বা মোমবাতির জ্যোতির ছবিকে চোখ বন্ধ অবস্থাতে দেখতে পাবেন। এই পাঁচটি প্র্যাকটিস আপনার দৃষ্টিশক্তিকে 100% সুরিন ক্রিস করে দেবে।
আরো পড়ুনঃ টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা। টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা
মন্তব্য
তো বন্ধুরা আশা করি পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে এবং পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। এই পাঁচটি স্টেপ আপনি যদি প্রতিদিন ফলো করতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সাথেই থাকুন। পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url