নিজের শরীরকে হ্যাক করুন পাঁচটি উপায়ে
নিজের শরীরকে হ্যাক করুন পাঁচটি উপায়ে
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম।
আপনার সাথে কি কখনো এমন ঘটেছে যখন সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠেছেন এবং সর্দির কারণে আপনার নাক বন্ধ হয়ে গেছে? তো এই সিচুয়েশনে আপনি কী করেন? আচ্ছা এটিকে বাদ দিন যখন আপনাকে মশা কামড়ায় এবং মশা কামড়ানোর পর সেই জায়গা যখন চুলকায় হয় তখন সেটিকে থামানোর জন্য আপনি কী করেন? ওয়েল আজকের এই পোস্ট টি আপনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আজ আপনি এমন পাঁচটি বোডি হ্যআকসকে জানাতে চলেছেন যা আপনার লাইফে খুবই কাজে দেবে।
পোস্ট সূচিপত্র: নিজের শরীরকে হ্যাক করুন পাঁচটি উপায়ে
১.আপনি কি খুবই ইমোশনাল ব্যক্তি। সিনেমার কোনও একজনকে দেখে আপনার কান্না পেয়ে যায়। লাইফের ছোট ছোট বিষয়ে আপনার কান্না পেয়ে যায়। যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তো আপনি হয়তো এটা অবজার্ভ করেছেন যে কিছু কিছু জায়গায় কান্না পেলেও কান্না করা যায় না। তো এই কেসে নিজের কান্নাকে থামানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই না? এই সিচুয়েশনে যদি আপনি চান যে আপনার কান্না না পাক তো আপনাকে কী করতে হবে? ইমোশনাল সিনে বা কোনও ব্যক্তির সামনে যদি আপনার কান্না পায় কিন্তু আপনি চাইছেন যে আপনি এই মুহূর্তে কাঁদবেন না তো আপনি একটা কাজ করুন। আপনি সেই সময়ে নিজের চোখের পলকে ছড়ানো বন্ধ করে দিন। এবং নিজের চোখ দুটোকে বড় করে নিন। তারপর নীচে না দেখে বরং উপরের দিকে দেখুন এবং আপনার জিভকে আস্তে আস্তে কামরান। এতে কী হবে, এতে আপনার ব্রেন সেই ইমোশনাল পেনকে ভুলে যাবে এবং জিভ কামড়ানোর পেনকে ফোকাস করতে শুরু করবে। মানে ফিজিক্যাল পেন যখন বেড়ে যায় তখন আমাদের ইমোশনাল পেন কমে যায়।
২.যখনই আপনি নিজেকে স্যাড বা দুঃখ ফিল করেন তখন আপনি কী করেন? স্যাড ফিলিং একটি নর্মাল ব্যাপার বটেই। স্যাড ফিল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক কথায় ইনস্ট্যান্ট মুক্তি পাওয়ার জন্যে এমন একটি টাক্স রয়েছে যা আপনার স্যাড ফিলকে ইনস্ট্যান্ট কমিয়ে দিবে। এই সিচুয়েশনে আপনি কলা বা পাইনাপেল বা আনারস খেতে পারেন। কারণ কলা এবং পায়না এপেলে ট্রিপ্টোফ্যান নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে। যা আমাদের ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোনের রিস্ক বাড়িয়ে দেয়। আর সেরোটোনিন আপনার মনকে রিল্যাক্সড এবং হ্যাপি করে দেয়।
৩.এই বডি হাকটি সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য যারা বাস বা ট্রেনে ট্র্যাভেল করার সময় যাদের এই প্রবলেমটি নেই তাদের তো কোনও ব্যাপার নেই। কিন্তু ট্র্যাভেল কালীন যাদের বমিটিং হয় তারাই জানে যে এটা কতটা খারাপ একটি জিনিস। কিন্তু এর সমাধানও রয়েছে। ট্র্যাভেল কালীন যদি আপনার বমি বমি ভাব হয় , তো সেই সময়ে আপনি আপনার বাঁ হাতের তালুতে এবং বাঁ হাতের এই জায়গায় পেশ করতে থাকুন। 5-7 মিনিট আপনি বা হাতের তালুকে এবং এই জায়গাকে পেশ করতে থাকুন। এতে কী হবে? এতে আপনার ব্রেনের সম্পূর্ণ ফোকাস হাতের তালুকে প্রেস করা পেনের দিকে ডাইভার্ট হয়ে যায়। ফলে তার সম্পূর্ণ ফোকাস হাতের পেনে দিয়ে দেয়, যার ফলে সে সেই সময়টির কথা ভুলে যায়। খুব সিম্পলয় একটা ট্রিক যাদের ট্র্যাভেলিং এবং বমিটিং হয় তাঁরা অবশ্যই এই ট্রিকটি একবার ইউজ করে দেখবেন।
৪.যাদের সর্দি কাশির কারণে নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং ঘুমানোর সময় শ্বাস প্রশ্বাসের খুবই অসুবিধা হয়ে যায়। এই হ্যাকটি 100% আপনার এই প্রবলেম টাকে সলভ করে দেবে। আপনি ঘুমানোর আগে একটি পেঁয়াজ কেটে নিন এবং সেটিকে বিছানার পাশে রেখে দিন। এতে কী হবে? এতে পেঁয়াজে থাকা সাইন প্যানেল অক্সাইড এবং পেঁয়াজের ঝাঁজ আপনার নাকের ব্লকেজ কে দূর করে দেবে এবং সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন তখন আপনার নাক খোলা থাকবে যার ফলে আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের কোনও অসুবিধা হবে না।
৫.যখন আপনাকে মশা কামড়ায় তো মশা কামড়ানোর পর শরীরের সেই জায়গায় খুব ইচিং হয়। তাই না? আসলে মশা শরীরে কামড়ানোর সময় সেই জায়গায় তাঁর সভা ছেড়ে যায়। যার কারণে আমাদের সেই জায়গায় খুব ইচিং হয় সে ইচিনকে থামানোর জন্য আপনি কী করেন? হয়তো এতদিন কিছু করতেন না। বরং সেই জায়গায় চুলকিয়ে একরকম র্্যস স বানিয়ে দিতেন। তাই না তো এ ইচীনকে থামানোর জন্য আপনি কী করবেন? শরীরের যে জায়গায় আপনাকে মশা কামড়েছে সেই জায়গায় আপনি একটু ডিওড্রেন্ট লাগিয়ে দিন। সামান্য একটু ডিওড্রেন্ট সেই জায়গায় লাগিয়ে নিন। এতে কী হবে এতে সেই জায়গায় অবস্থিত মশার স্যালাইভা এবং ব্যাকটেরিয়াগুলো মারা যাবে। যার ফলে আপনার ইচিং কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ আপনি সবার পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠুন, ৫টি উপায়ে
মন্তব্য
প্রিয় পাঠক বন্ধু, পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম জানা-অজানা টিপস ট্রিকস এবং হেল্পফুল পোস্ট পেতে মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url