মহাকাশের কিছু অজানা তথ্য
মহাকাশের কিছু অজানা তথ্য
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। আমাদের মোটিভেশন আইটি পেজে আপনাকে জানাই স্বাগতম। আমরা আজকে আলোচনা করব মহাকাশের কিছু অজানা এবং ইন্টারেস্টিং তথ্য সম্পর্কে। যা পড়ে আপনি অনেক কিছুই জানতে পারবেন এবং শিখতে পারবেন। ইউনিভার্স বা মহাকাশ এটি আমাদের কাছে খুব ইন্টারেস্টিং এবং রহস্যময়।
ইউনিভার্স তৈরি হয় অসংখ্য গ্রহ নক্ষত্র, গ্যালাক্সি প্রভৃতি নিয়ে। প্রাচীনকাল থেকেই ইউনিভার্সকে জানার জন্য আমরা খুবই interested. আর এই interested এর কারণেই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে অনেক রকেট এবং স্পেসক্রাফ্ট। যাতে আমরা আমাদের মহাকাশ খুব ভালোভাবে জানতে পারি। এবং তারপর সেগুলিকে বুঝতে পারি।
কিন্তু এত অ্যাডভান্স স্যাটেলাইট এবং স্পেসক্রাফ্ট থাকার সত্ত্বেও আমরা আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির মাত্র 0.01% কে এক্সপ্লোর করতে পেরেছি। আমরা জানতে পেরেছি মহাকাশের বেশিরভাগ অংশই আমাদের কাছে অজানা। আজ আমি আপনাদের মহাকাশের সম্বন্ধে কিছু অজানা তথ্য বলব। পুরো পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্র: মহাকাশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
- অবজারভেটরি ইউনিভার্স।
- সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল
- সৌরজগতের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মাস
- 55ক্যানক্রি ই
- মন্তব্য
অবজারভেটরি ইউনিভার্স।
সময়ের সাথে সাথে ইউনিভার্সের প্রতিটা জিনিস এক্সপ্যান্ড করছে। ইউনিভার্সের প্রতিটি জিনিস খুব হাইস্পিডে একের অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এবং আজ থেকে কয়েক মিলিয়ন বছর পর প্রতিটি গ্যালাক্সি এতটা দূরে সরে যাবে সেগুলিকে ডিটেক্ট করা এবং সেগুলিকে জানতে পারা খুব কঠিন হয়ে পড়বে৷ বহু বছর ধরে সায়েন্টিস্টরা ইউনিভার্সের আয়তনকে জানার চেষ্টা করছেন এবং প্রতিবারই তারা এতে অসফল হয়েছে।
কারণ ইউনিভার্স প্রতি মুহূর্তে স্ট্যান্ড হয়ে চলেছে। যতক্ষণ আপনি আমার এই পোস্টটি দেখছেন, ততক্ষণে ইউনিভার্স অনেকটা এক্সপ্যান্ড হয়েছে। অর্থাৎ এর আয়তন অনেকটা বেড়ে গেছে। ইউনিভার্সের এই অংশকে সায়েন্টিস্টরা আবিষ্কার করতে পেরেছেন। সেটিকে বলা হয় অবজারভেটরি ইউনিভার্স। আর এই অবজারভেটরি ইউনিভার্স এর আয়তন হলো নাইনটিন মিলিয়ন লাইট ইয়ার।
আরো পড়ুনঃ মহাবিশ্ব এবং মানুষের তৈরি গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে জানুন
সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল
আমাদের মিল্কিও গ্যালাক্সির সেন্টারে অর্থাত্ মাঝে একটি সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল রয়েছে। যার মাস অর্থাৎ ভর আমাদের সূর্যের ভরের 40,00,000 গুণ বেশি। শুধু মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি নয়। প্রতিটি গ্যালাক্সির মাঝে একটি সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল থাকে। সেখানে প্রতিদিন প্রায় 825 মিলিয়ন নক্ষত্রের জন্ম হয়। এমনকি আমাদের মিল্কিও গ্যালাক্সিতেই প্রতি বছর সায়েন্টিস্টরা নতুন নতুন স্টারদের ডিসকভার করে থাকেন। মজার ব্যাপার হল, এই তিন থেকে চার বিলিয়ন বছর এর মধ্যেই আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির এবং অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি একসঙ্গে মিশে যেতে চলেছে।
আমাদের জন্য আকাশগঙ্গা তে এমনও কিছু গ্রহ আছে যেগুলির নিজস্ব কোনও নক্ষত্র নেই এবং সেগুলি কোনও সৌরজগতের মধ্যে পড়ে না। আর এই কারণের জন্যই সমস্ত গ্রহগুলি ইউনিভার্স এর মধ্যে দিশাহীন ভাবে ছুটে বেড়ায়। রাতের আকাশে যে সকল তারা আমরা দেখি আসলে তারাগুলির বর্তমান নয় এবং আমরা তার অতীতকে দেখতে পাই। কারণ সেই তারাগুলো আমাদের থেকে এতটাই দূরে অবস্থিত যে সেগুলির লাইট আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যায়।
সৌরজগতের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মাস
আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত মাস।এটি মঙ্গল গ্রহের মধ্যে অবস্থিত। যার নাম হল অলিম্পাস মোড। এবং সেটি মাউন্ট এভারেস্ট সে তিন গুণ বেশি উঁচু। আপনি এটা জেনে খুবই অবাক হবেন। ভেনাস বা শুক্র গ্রহের এক বছর এক দিনের চেয়ে ছোট।
55 ক্যানক্রি ই
2004 সালে আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে 55ক্যানক্রি ই নামে একটি গ্রহ আবিষ্কার করা হয়, যেটি হিরে দিয়ে তৈরি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন এই হিরে দিয়ে তৈরি ইউনিভার্স এর আয়তন বিশাল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ইউনিভার্সের 95% ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার নিয়ে তৈরি। ডার্ক এনার্জি ডার্ক ম্যাটার কী সেটা আপনি গুগলে সার্চ করলে দেখতে পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ টাইম ট্রাভেল কি? কিভাবে টাইম ট্রাভেল করা যাই
মন্তব্য
এ পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা মহাকাশ সম্পর্কে অনেক রিসার্চ করেছেন, স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছেন। বিভিন্ন গ্রহ অবজারভেশন করছেন। ফলে মহাকাশের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারা যাচ্ছে। মহাকাশে বিভিন্ন ধরনের গ্রহ উপগ্রহ নতুন নতুন ভাবে আবিষ্কার করছে। মহাকাশে কতগুলো জিনিস আছে যেগুলো বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা রয়ে গেছে।
মহান রাব্বুল আলামিন এই মহাকাশকে এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যা মানুষের পক্ষে পুরোপুরি জানা অসম্ভব। তবে বিজ্ঞানীরা কিছু কিছু তথ্য আবিষ্কার করেছেন। মহাকাশ এবং সৌরজগৎ সম্পর্কে এরকম আরো পোস্ট পড়তে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url