সিম গাছের দ্বিগুণ ফলন হবে দেখে নিন গোপন টেকনিক

 সিম গাছের দ্বিগুণ ফলন হবে দেখে নিন গোপন টেকনিক

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, আসসালামু আলাইকুম মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব সিম চাষ নিয়ে। আশা করি সবাই ভাল আছেন। শীতকালীন সবজি অনেকের পছন্দ। কিন্তু আপনি বিষ খাচ্ছেন না‌ সিম খাচ্ছেন গল্পটা পোস্টের শেষে বলব। সিম গাছের ফলন বৃদ্ধি করতে চান? কিন্তু কোন সময় কী সার দেবেন? সেই টিপস থাকছে আজকের এই পোস্টে। 

ছাদ বাগানে বসতবাড়ির আশেপাশে মাঠে কিংবা জমিন আইল্যান্ড যেখানে বীজ রোপণ করুন না কেন ফলন হবে দুর্দান্ত৷ শুধু প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যা। আর এটি বলব এই পোস্টে। সব পোস্টে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন। অনেকের গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল আসতে শুরু করেছে। আবার অনেকের কাছে ফুল তো দূরের কথা গাছ সঠিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সমাধান পেয়ে যাবেন এই পোস্টে। তবে অনুরোধ করবো পোস্টটি অবশ্যই ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

পোস্ট সুচিপত্র:  সিম গাছের দ্বিগুণ ফলন হবে দেখে নিন গোপন টেকনিক

  • সিম গাছের পরিচর্যা এবং সার প্রয়োগ
  • শিম গাছে বেশি ফলনের জন্য কি কি পরিচর্যা করবেন
  • আপনি সিম খাচ্ছেন না বিষ খাচ্ছেন জানেন?

সিম গাছের পরিচর্যা এবং সার প্রয়োগ

প্রচুর পরিমানে শিম গাছে ফল ধরাতে গাছে খাবারের কমতি রাখা যাবে না। গাছের কন্ডিশন দেখে স্যার প্রোয়োগ করতে হবে। তবে শীতের শুরুতে যখন গাছে ফুল আসতে শুরু করে তখন সার দিতে হবে। এসময় কাছে ইউরিয়া সার দেওয়া যাবে না। দু টি গাছের জন্য  দশ গ্রাম পরিমাণ এম ও পি এবং পট্যাশিয়াম 10 গ্রাম টিএসপি ট্রিপল সুপার ফসফেট 10 গ্রাম, জিপসাম সার সার পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো গোবর কিংবা কম্পোস্ট সার দিতে হবে। সার প্রয়োগের পূর্বে প্রথমে গাছের গোড়ার মাটি গুলো ঠিক ভাবে আলাদা করে নিতে হবে। 

খেয়াল রাখবেন যেন শিকড়ের কোনও ক্ষতি না হয়। সেই গাছের শিকড় অনেক দূর পর্যন্ত ছড়ায়। যার ফলে খুব সহজেই খাবার গ্রহণ করতে পারে। ঠিক ভাবে দুই ইঞ্চি পরিমাণ মাটি গাছের চারপাশে রিং তৈরি করে নেবেন। এবার এর মধ্যে 10 গ্রাম পরিমাণে পটাশিয়াম, 10 গ্রাম টিএসপি সার এবং 10 গ্রাম জিপসাম সার দিতে হবে। যারা ছাদ বাগানে টবে গাছ লাগিয়েছেন, তাঁরাও ঠিক এই পরিমাণে সার দেবেন। একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। কখনও গাছের গোড়ায় সার দেবেন না। গাছের গোড়ায় সার দিলে গাছ ক্ষতি হতে পারে। যারা মাঠে চাষ করেছেন। 

প্রতি শতকে পাঁচশ গ্রাম করে সবগুলো সার দিতে হবে। এরপর দেবেন কম্পোস্ট সার। শুকনো গোবর হলে আপনারা এক কেজি পরিমাণে ব্যবহার করবেন। কম্পোস্ট সার হিসাবে পাতা পচা সার ভার্মি কম্পোস্ট, কিচেন কম্পোস্ট কিংবা বাজারে কিনতে পাওয়া যে কোনও জৈব সার।এবার সাদা হয়ে গেলে মাটির সাথে একটু মিশিয়ে দেবেন। তারপর মাটিতে ঢেকে দেবেন। সার দেওয়ার পর অবশ্য আপনাকে পানি দিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। 

গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে গাছের গোড়ার মাটির সাথে হয়ে থাকে। এর ফলে গাছের ফুল ফল ধরে যেতে পারে। গাছের পাতা হলুদ হতে পারে। গাছের গোড়ার খাবার থাকা সত্ত্বেও গাছ খাবার গ্রহণ করতে পারবে না। তাই পরিমাণ মতো পানি দিতে হবে। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে আপনার কলার খোসা হাড়ের গোড়া সর্ষের খোল 5-6 দিন পর পর প্রয়োগ করবেন। আর উপরে যে সকল রাসায়নিক সার দেখেছি এগুলো আপনার ঠিক 15 দিন পর পর লং টাইম ফলনের জন্য ব্যবহার করবেন।

আরো পড়ুনঃ টমেটো গাছে দ্বিগুণ ফলন হবে এই সার দিলে

শিম গাছে বেশি ফলনের জন্য কি কি পরিচর্যা করবেন

একটি বিষয় খেয়াল করলে শিম গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল ফল ধরাতে পারবেন। শিম গাছে প্রচুর পরিমাণে পাতা হয়। যার ফলে ডালপালায় রোদ বাতাস লাগে না। এজন্য আপনার গাছের পাতা ছাটাই করবেন। বিশেষ করে শেষের নীচের পাতা অর্থাৎ যেখানে ফুল আসতে শুরু করেছে তার নিচের দিকে পাতাগুলো ছাটাই করবেন। যাতে আলো বাতাস বেশি লাগে তাহলে দেখবেন ডগার গড়া থেকে নতুন ফুলের শীষ বের হবে। আরেকটি বিষয় আপনার অবশ্যই খেয়াল করে দেখবেন। 

কয়েকটি ডাল একসাথে পেচিয়ে থাকলে সেগুলো খুলে ফেলে দেবেন। ফুল ঝরে পড়া রোধ এবং বেশি পরিমাণে ফুল আসতে 15 দিন পরপর flora এবং bron দুই থেকে তিন গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বিকেল বেলা স্প্রে করে দেবেন। এছাড়াও শিম গাছে ফুল থেকে সে পরিণত করতে হলে 7-10 দিন পরপর আপনাকে বিভিন্ন পোকা এবং ছত্রাকনাশক থেকে বাঁচাতে আপনার কাছে পেস্টিসাইড এবং সাইটে স্প্রে করতে হবে। এ জন্য আপনারা ম্যান এবং যে কোন গ্রুপের যে কোনও কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন পোকা দমনের জন্য ৷ 

আপনি সিম খাচ্ছেন না বিষ খাচ্ছেন জানেন?

এবার আসি স্টোরি তে। পোষ্টের শুরুতে বলেছিলাম আপনি বিষ খাচ্ছেন না শিম খাচ্ছেন। শীতের শুরুতে শিমের বাজার মূল্য একটু বেশি হয়। আর শীতের আগে বা শুরুতে সিম বাজারে নিতে হলে চাষিদের শিম আগাম চাষ করতে হয়। কিন্তু যাঁরা আগাম সিম চাষ করে থাকেন তাঁদের সিম গাছে সিম ধরাতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। একই সাথে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। যদি বলি একশ পার্সেন্ট শিমের মধ্যে ২০% সিম টিকে থাকে। আর এই 20% সিমটি টিকানোর জন্য তারা কী পরিমান কীটনাশক স্প্রে করে এটি আপনি স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। 

প্রতিদিন মিনিমাম সকালে 1-2 এবং সন্ধ্যার পূর্বে একবার দিনে দুই বেলা তারা কীটনাশক স্প্রে করে শুধুমাত্র আগামসি টিকার জন্য। আপনি জেনে অবাক হবেন বিকেলবেলা স্প্রে করে সকালে সেই সিম আবার বাজারজাত করা হয়। তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, আপনি সিম খাচ্ছেন না বিষ খাচ্ছেন।বুঝবেন আপনি আসলে বিষ খাচ্ছেন না খাচ্ছেন আপনারা আপনাদের বাড়ির আশপাশে কিংবা সাত বাগানের কিছু অংশ হল শীতকাল বিভিন্ন সবজি চাষ করবেন।

আরো পড়ুনঃ এই সার দিলে মাত্র ২০ দিনে পেঁপে গাছে ফল আসবে

মন্তব্য

শীতকালীন সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। শীতকালে অনেক ধরনের সবজি চাষ করা যায়। তাই আপনার অবশ্যই ছাদ বাগানে অথবা জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন। শীতকালীন সবজি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি আপনারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছতা লাভ করতে পারবেন।

শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url