আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন
আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন
আপনি কি জানেন একজন মেয়ে একজন ছেলেকে কখন বিশ্বাস করে? এমন কোন কোয়ালিটি রয়েছে যার কারণে কেবল কিছু পুরুষদেরই মেয়েরা অ্যাট্র্যাকটিভ মনে করে এবং বাকি ছেলেরা সেই পুরুষদেরই ইনস্পিরেশন মনে করে? কারন হিসেবে নাম খ্যাতি যশ সুন্দর চেহারা এগুলির একটিও না। আমি এখানে যে পুরুষদের কথা বলছি তাদেরকে সমাজে সুপিরিয়র ম্যান বলা হয়। এদের পার্সোনালিটি বাকি ছেলেদের থেকে বহুগুণ অ্যাট্রাকটিভ। আর আজ এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি ছয়টি রিয়ালম্যান বা সুপারম্যানের গুনগুলিকে জানাতে চলেছেন।
পোস্ট সূচিপত্র: আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন
- যেকোনো বয়সে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত
- Leave as if is your father word.
- নেভার চেঞ্জার ইউর মাইন্ড
- এনজয় ইউর ফ্রেন্ডস ক্রিটিসিজম(enjoy your friends criticism)
- ডোন্ট উই আর ফ্যামিলি ম্যান এক্সকিউস।
- প্রেশার(presure)
১. যেকোনো বয়সে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত
আপনার কি মনে হয় যে আপনার বাবা মা সারা জীবন আপনার সাথে থাকবে? সেই সকল লোকেরা যাদের আপনি খুব ভালোবাসেন তারা কি আপনার সাথে সারা জীবন থাকবে না। এক না একদিন তারা চলে যাবে। লাইফের একটি নিয়ম যে এসেছে তাকে যেতেই হবে। আর এই বিষয়টি খুবই কষ্টকর হয়। লাইফের আরও একটি নিয়ম আছে। আমরা লাইফে যতই সামনে এগোতে থাকি। আমাদের লাইফ ততই চ্যালেঞ্জিং হতে থাকে। কারণ আমাদের রেসপনসিবিলিটি বেড়ে যায়।
আমাদের খরচ বেড়ে যায়। কিন্তু একটি জিনিস যা আর বাড়ে না তা হল আমাদের এনার্জি। আমাদেরকে একটি লিমিটেডের এনার্জি কে ব্যবহার করি, বেশি কাজ করতে হয়, কর্মজীবনের সাথে সাথে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের খেয়াল রাখতে হয়। আর শুধু তাই নয়, বয়স বাড়ার সাথে সাথে হেলথ ইস্যু বাড়তে শুরু করে। এবং সেটি এমন সময় আসে যখন জীবনে কষ্ট বেশি এবং শান্তি কম হয়ে যায়। আর সেটি হল সেই সময় যখন লাইফ আপনার সামনে দুটি অপশনস রাখে। প্রথম হয় আপনি একজন উইকম্যান। দুর্বল মানুষের মতো সেই কষ্ট থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন।
সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের রেসপনসিবিলিটি থেকে পালিয়ে বেড়ান, এক্সকিউজেস দিন, নেশা করুন বা অন্য কোন ওষুধ রাস্তাকে বেছে নিন অথবা দুই একজন সুপিরিওর ম্যানের মতো সে কষ্টের চোখে চোখ মিলিয়ে সেটিকে ফেস করুন এবং প্রতিটি কষ্টকে অ্যাকসেপ্ট করে নিজের সমস্ত রেসপনসিবিলিটি নিষ্ঠার সাথে পালন করুন। নিজের কর্ম পরিবারের ভালোবাসার জন্য একটি কঠিন জীবনকে হাসির সাথে অ্যাকসেপ্ট করুন৷ এবং বাঁচতে শিখুন।
আরো পড়ুনঃ সব মেয়ের মধ্যে এই পাঁচটি গুণ থাকা উচিত
২. Leave as if is your father word.
এই পয়েন্টটি আমাকে একটু অন্য রকম মনে হল। তবে এর মধ্যেও একটি গভীর মিনিং লুকিয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় আমাদের জন্য কোন জিনিসটি ঠিক এবং কোন জিনিসটি ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের বাবা নেই। কিন্তু এই অভ্যাসটি ভবিষ্যতে গিয়ে এমন হয়ে যায় যে, না চাইতেই আমাদের লাইফের প্রায় সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্যে আমরা আমাদের বাবার ওপর ডিপেন্ডেবল হয়ে যায়।
একজন সুপিরিওর এর সব থেকে বড় শক্তি হল তার ডিসিশন মেকিং স্কিলস। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি লাইফের সমস্ত ডিসিশনের 100% রেসপনসিবিলিটির নিজে নিতে না শিখে যাচ্ছেন ততদিন অবধি আপনার ডিসিশন মেকিং স্কিল স্ট্রং হবে না। এই জন্যেই সুপিরিয়র ম্যান হওয়ার জন্য সবথেকে প্রথমে তো আপনি নিজের সম্পূর্ণ রেসপনসিবিলিটি নিজের কাঁধে নিতে শুরু করুন।
৩. নেভার চেঞ্জার ইউর মাইন্ড
বন্ধু আপনার কি মনে হয় যে কোনও মেয়ে কি সেই ছেলের সাথে থাকতে পছন্দ করবে? যে কিনা নিজে উইসডম নিজে ডিসিশন কে বিশ্বাস করে না? যখন আপনি নিজেই নিজের ডিসিশন কে ট্রাস্ট করেন না, তো কীভাবে অন্য কেউ আপনার উপর ট্রাস্ট করবে? অ্যাকর্ডিং টু কথা যখনই কোনও মেয়ে বা আপনার পার্টনার আপনাকে কিছু বলবে আর তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য আপনি নিজের ডিসিশন চেঞ্জ করবেন।
তো সেই মেয়েটি আপনাকে বিশ্বাস করা তো দূরের কথা, বরং ধীরে ধীরে সে আপনাকে অবিশ্বাস করতে শুরু করবে। এগুলি করে আপনি সেই মেয়েটির মাইন্ডে আপনার ব্যাপারে একটি ইমেজ তৈরি করে দেন। আর জানেন সেই মেয়েটি ফিচারে আপনার ব্যাপারে কী ভাবে? আরে ভাই এত সহজে রাজি হয়ে যাবে এর মাইন্ড চেঞ্জ করা কোনও বড় ব্যাপার নাকি। এবার একবার ভালো করে ভাবুন যে আপনি কেমন ধরনের ইমেজ ক্রিয়েট করতে চান?
যদি আপনি এমনটি করেন তো আপনি একজন উইকম্যান তার সিগন্যাল ক্লিয়ারলি সামনের ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। আপনি এমন একজন ব্যক্তিকে রিপ্রেজ়েন্ট করছেন যে কিনা নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করে না। একজন সুপিরিওর ম্যান কাউকে প্লিজড করার জন্যে কখনও নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে না।
৪.এনজয় ইউর ফ্রেন্ডস ক্রিটিসিজম(enjoy your friends criticism)
এনজয় ইউর ফ্রেন্ডস ক্রিটিসিজম(enjoy your friends criticism) অর্থাৎ এই পয়েন্টটি তে পুরুষদের masculy Nature কে ডিসকাস করেছেন।একজন পুরুষ অন্য পুরুষের মুখ থেকে শোনা ক্রিটিসিজম সহ্য করার ক্যাপাসিটি সোজা ভাষায় বললে অন্যের মুখ থেকে নিজের আলোচনা শোনার ক্ষমতা তার পুরুষ অভাবকে মেজর করার একটি মাধ্যম।
For example যখন একজন গ্রিক মেল নিজের ব্যাপারে কোনো ক্রিটিসিজম কে অন্যের মুখ থেকে শুনে হতে পারে, সেটি তার বাবা মা, ভাই, বন্ধু বা আত্মীয়। তাঁরা বলা তো সে এই ক্রিটিসিজম এর কারণে তৎক্ষণাৎ রি অ্যাকটিভ হয়ে যায়। সে খুবই দুঃখী হয়ে যায়। কোনও ক্রিটিসিজম কে শোনার পর একজন উইকম্যান সঙ্গে সঙ্গে রিঅ্যাক্ট করে বসে।অনেক ক্ষেত্রে তো ফাইটো করে বসে। সে হাজার হাজার পয়েন্ট তুলে ধরবে। সে অফেন্সিভ হয়ে যাবে। এখন সুপারম্যান এগুলি কোনোদিনই করে না।
কোনও কোন কিছুকে শোনার পর সে চট করে রিঅ্যাক্ট করে না। সে সবসময় নিউট্রাল থাকার চেষ্টা করে। লড়াই করার পরিবর্তে শেষে ক্রিটিসিজম কে বোঝার চেষ্টা করে, ডিসকাস করে। ফর এক্সাম্পল সে জিজ্ঞেস করে যে, আপনি আমাকে ক্রিটিসাইজ করলেন এর কারণ কী? আপনার এমন কেন মনে হয় যে আপনি আমাকে ক্রিটিসাইজ করলেন আপনি কি আমাকে বোঝাতে পারবেন সে লড়াই করে না। বরং কথা বলে।
৫.ডোন্ট উই আর ফ্যামিলি ম্যান এক্সকিউস।
এই পয়েন্টকে আপনি হয়তো খুব ভালোভাবে জানেন। চলুন এটিকে আমরা একটি example দ্বারা বোঝার চেষ্টা করি। মনে করুন একজন পুরুষ তার স্ত্রী এবং সন্তানকে খুব ভালবাসে এবং প্রতিদিন সে কাজের পরে সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসে এবং চেষ্টা করে যে সে যেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের সাথে বেশি সময় স্পেন্ড করতে পারে। এই কাজটির জন্যে ব্যক্তির ওয়াইফ খুব রেসপেক্ট করে।
কিন্তু অপরদিকে একজন লোক আছে যে কিনা তার স্ত্রী এবং সন্তানকে এতটাই ভালোবাসে যে কাজে গিয়ে তাঁর কাজের ওপর মনে বসেনা। সে প্রায় কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতেই থেকে যায়। যাতে সে তার স্ত্রী এবং সন্তানের সাথে টাইম স্পেন্ড করতে পারে। এবার আপনিই বলুন যে এতটা ভালোবাসা দেওয়ার সত্ত্বেও এই লোকটির স্ত্রী কী তাকে রেস্পেক্ট করবে?
না, প্রথম যে example টি ছিল তা হল একজন সুপারম্যানের এবং দ্বিতীয় example টি একজন উইক ম্যানের। বিজ্ঞানের কথার হিসেবে একজন সুপারম্যান কখনও জীবনের উদ্দেশ্যের মাঝে তার পরিবারকে আনে না। তার কাছে তার ফ্যামিলি অবশ্যই ইম্পরট্যান্ট তার জীবনের উদ্দেশ্য ততটা ইম্পর্ট্যান্ট বটেই। অপরদিকে একজন লিখেছেন, যারা লাইফে না তো কোনো পথ থাকে আর না তো সে নিজের রিলেশনশিপে রেসপেক্ট পায়।
৬.প্রেশার(presure)
যদি আপনি কোনও ফিমেল এর সাথে ডিল করার সবথেকে কার্যকরী মাধ্যমকে জানতে চান তাহলে এই পয়েনটি আপনার জন্য। দেখুন। বন্ধু ছেলেদের ম্যাসকিউলিন এনার্জি তাদের নেচারের কোর এলিমেন্ট হয়। আট মেয়েদের natuere কোর এলিমেন্ট হল তাদের ফেমিনিন এনার্জি। আর এই কারণের জন্যই মেল এবং ফিমেল একেবারেই আলাদা হয়।
একজন পুরুষ নিজেকে সব থেকে বেশি ইনস্পায়ার তখন ফিল করে যখন তাকে কোনও চ্যালেঞ্জিং কাজ দেওয়া হয়। আর শেষে চ্যালেঞ্জিং কাজ থেকে সাকসেসফুল কমপ্লিট করে নেয়। কিন্তু একজন মহিলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। একজন মহিলার ফেমিনিন আর্জি তখন স্পেনের ফিল করে যখন তাকে পেশ করা হয়।
for example মনে করুন আপনি আমার গার্লফ্রেন্ডকে বলতে চান তার হাসিটা খুব সুন্দর। কিন্তু যখন সে রেগে যায় তখন তো আপনাকে একেবারেই ভালো লাগে না। তো রেগে যাওয়ার পর তোমাকে দেখতে ভাল লাগে না। এটা বলার পরিবর্তে আপনার এটি বলা উচিত যে তোমার স্মাইল খুব সুন্দর সব সময় যেন সে এইভাবে থাকে। তাহলে দেখবেন সে ওই ভাবেই থাকবে সব সময়।
আরো পড়ুনঃ আপনি সবার পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠুন, ৫টি উপায়ে
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url