বেগুন গাছ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
বেগুন গাছ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আপনার ছাদ বাগানের সব্জি গাছ ফল গাছ এমনকী ফুল গাছের গ্রোথ কি থেমে গেছে? নিয়মিত সার প্রয়োগ কিংবা ওষুধ প্রয়োগের ফলে কোনও রকম গাছের সার্বিক বৃদ্ধি পাচ্ছে না?
তাহলে বলব আপনি সঠিক পোস্ট পড়ছেন।আজকের এই পোস্টেআপনাদের বলবো গাছের কী এমন জিনিস প্রয়োগ করলে এই সকল সমস্যা থেকে আপনাকে আজকে খুব সহজেই মুক্ত করতে পারবেন। গাছের বৃদ্ধি হবে স্বাভাবিক এবং গাছের সঠিক সময়ে ফুল এবং ফল আসবে।
পোস্ট সূচিপত্র: মরিচ, বেগুন গাছ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
- ভূমিকা
- নিমাটোডের আক্রমণ
- নিমাটোডার আক্রমণের সমাধান এবং প্রতিরোধ
- নিম কীটনাশক তৈরি
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমাদের ছাদ বাগানসহ মাঠ পর্যায়ের সকল ফসলি। তখনই গাছগুলো থেমে যায় যখন গাছে নিমাটোডের আক্রমণ শুরু হয়। এখন অনেকেই বলবেন এটা আবার কী? নিমাটোডের সম্পর্কে অনেক ছাদ বাগানে কিংবা মাঠ পর্যায়ের কৃষক ভাইয়ের সম্পর্কে জানেন না। অনেকেই বুঝতে পারেন না। নিমাটোডা আবার কীভাবে গাছের বৃদ্ধি এবং ফুল ফল ধরাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে? আপনি নিশ্চিত থাকুন।
আরো পড়ুনঃ লেবু গাছের পরিচর্যা ও পোকা দমন
নিমাটোডের আক্রমণ
যে সময়ের সাথে সকল প্রকার সার এবং ওষুধ ব্যবহারের ফলেও যদি আপনার কাছে স্বাভাবিক ঠিক না থাকে তাহলে আপনার গাছে নিমাটোডা আক্রমণ হয়েছে। নিমাটোডা আসলে গাছের বাইরে কোনও রকম আক্রমণ করে না। এটি গাছের শিকড়ে আক্রমণ করে। যার ফলে গাছের শিকড়, গুড়ি গুড়ি কিংবা বড় মার্বেলের মতো আকার ধারণ করে। অর্থাৎ গাছের শিকড়কে খাবার গ্রহণে বাধা প্রদান করে। যার ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় না।
নিমাটোডার আক্রমণের সমাধান এবং প্রতিরোধ
আর এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন রকম ওষুধ এবং সার প্রয়োগ করে থাকি। মাঠ পর্যায়ে মাটি থেকে নিমাটোডা দূর করতে অবশ্যই আপনাকে দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। শেষ চাষের সময় ছাদ বাগানে ক্ষেত্রে, তবে মাটি ভরাট করার পূর্বে মাটিকে যতটা সম্ভব শুকিয়ে নেবেন। এবং এই মাটির সঙ্গে যতটা সম্ভব দানাদার কীটনাশক যেমন ফুরাডান ফাইভ জি ৩ জি যে কোনও একটি মিস করতে পারেন। এছাড়াও এই রোগ থেকে গাছকে রক্ষা করতে আপনারা নিমখৈল ব্যবহার করতে পারেন।ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে নিমখোল সর্বোত্তম পন্থা।
ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে রাসায়নিক কোনো দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করতে না চাইলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে নিমখোল বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় নিম খোল কিংবা দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করার ফলেও মাটিতে অধিক পরিমাণে নিমাটোডের আক্রমণ হয়। এর ফলে গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি রহিত হয়। আর এই সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য আপনাকে নিমের বীজ ভেজানো পানি গাছে প্রয়োগ করতে হবে। অবশ্যই 10 দিন পরপর তিনবার প্রয়োগ করতে হবে।
নিম কীটনাশক তৈরি
চলুন সেটাই দেখে নিই। আপনি দর্শক যারা নিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন না, তাঁরা অবশ্যই নিমখোল প্রতি লিটার পানির জন্য পাঁচ গ্রাম হারে মিশিয়ে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তারপরে গাছে প্রয়োগ করতে হবে। কিছু নিমের বীজ আগে থেকে সংগ্রহ করে নিবেন। তারপর একটা হাতুরির সাহায্যে পাখার উপরে রেখে নিমের বীজগুলোকে যতটা সম্ভব থেঁতলে করে নিতে হবে। আপনারা চাইলে যে কোনও কিছু ব্যবহার করে নিমের বীজগুলোকে পেশ করতে পারেন।
অর্থাৎ এই নিয়মের বীজ থেকে আমাদের নির্যাস বের করে নিতে হবে। যেটা আমাদের গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী। নিমের বীজ আপনার খুব সহজেই গ্রামে কিংবা শহরের রাস্তার ধারে গাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এক লিটার পানির জন্য কমপক্ষে 50 গ্রাম পরিমাণ নিমের বীজ থেঁতো করে নিতে হবে। এবার এই পানিকে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা পরিমাণ সময় ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর বেশি রাখলে আরও ভাল।তবে দুই ঘণ্টার উপরে সংরক্ষণ করবেন না। গন্ধ হতে পারে।
এটা ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই গাছের চারপাশে যতটা সম্ভব মাটি আলগা করে নিতে হবে এবং আমরা যেভাবে কাছে রেগুলার পানি ব্যবহার করি ঠিক সেভাবেই গাছে চারদিকে ভাবে প্রয়োগ করবেন। এটি আপনার বাগানে যত রকমের গাছ আছে সকল প্রকার গাছে আপনি প্রয়োগ করবেন।আমরা অনেকেই জানি নে পেস্টিসাইড গাছে বিভিন্ন রকম পোকামাকড় দমনে অত্যন্ত কার্যকরী। আপনারা চাইলে সামান্য পরিমাণ দ্রবণ এ রকম একটি স্প্রে বোতলে ভরে আপনার ছাদ বাগানসহ মাঠ পর্যায়ে যে কোনো সবজি ফল এবং ফুল গাছে এভাবে স্প্রে করে দেবেন।
কতদিন পরপর করবেন চেষ্টা করবেন 10 দিন পর আপনার গাছে প্রয়োগ করবেন। আপনারা ঠিক যে ভাবে নিমিত্তে করে আধঘণ্টা পরিমাণ সময় রেখে 7 দিন অন্তর অন্তর আপনারা আপনাদের চা বাগানের সকল প্রকার কাছে ঠিক যে ভাবে স্প্রে করে দেবেন। এটি সম্পূর্ণ অর্গানিক। এটিএস ট্রেকিং মাটিতে প্রয়োগের ফলে আপনার কাছে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। আপনি নিঃসন্দেহে আপনার কাছে প্রয়োগ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ লাউ গাছের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি
শেষের কথা: বেগুন গাছ শুকিয়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এরকম কৃষি বিষয়ক আরো তথ্য পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url