ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

 ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুআলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকের এই পোস্টটি শেষ অব্দি অবশ্যই দেখবেন। কারণ আজ আপনি এমন পাঁচটি জিনিসকে জানতে চলেছেন যা আপনার উইল পাওয়ার অর্থাৎ আপনার ইচ্ছে শক্তিকে কয়েক শো গুণ বাড়িয়ে দেবে। বহু রিসার্চে পাওয়া গেছে যে সকল লোকেদের বিল পাওয়ার স্ট্রং হয় সেই সকল লোকেরা নিজের লাইফে অনেক হ্যাপি, অনেক হেলদি এবং অনেক সাকসেসফুল হয়ে থাকে। 

আপনি কি জানেন যে স্ট্রং হওয়ার এবং মোটিভেশন এর জন্য আপনার মস্তিষ্ক 70% ভূমিকা পালন করে? বিল পাশ হল এমন একটি মানসিক শক্তি যাকে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে স্ট্রং বানানো যায়। আর আজ এই পোস্টটিতে আপনি এমন পাঁচটি টেকনিককে জানাতে চলেছেন যেগুলির সাহায্যে আপনি আপনার মস্তিষ্ককে এখনকার তুলনায় কয়েকশো গুণ বেশি শক্তিশালী বানিয়ে তুলতে পারবেন। 

আর শুধু তাই নয়, আপনার বিল পাওয়ার স্ট্রং হয়ে যাবে। আপনি কঠিন কাজ এবং কঠিন পরিস্থিতি গুলিকে সহজেই সামলে নেওয়ার শক্তিকে পেয়ে যাবেন। এই পাঁচটি টেকনিক শুধু স্টুডেন্টদের জন্য না বরং যে কোনও ফিল্ডের সাথে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি শেষ অব্দি অবশ্যই পড়বেন। 

পোস্ট সূচীপত্র: ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

  1. হাই লেভেল থিঙ্কিং(High lebel thinking)
  2. বিল্ড ইওর কনফিডেন্স(Build your confidence )
  3. ব্রেকডাউন টাস্ক করুন(breckdown Task)
  4. চেঞ্জ(change )
  5. মেডিটেশন উইল পাওয়ার(Meditation wil power)

১.হাই লেভেল থিঙ্কিং(High lebel thinking)

হাই লেভেল thinking এর জন্য প্রয়োজন focus on your wild. জাপানের এক প্রফেসর পূজিত একটি এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমে পেলেন যে সকল লোকেদের হাই লেভেল থিঙ্কিং রয়েছে সেই সকল লোকেদের will পাওয়ার অনেক high হয়। আর হাই লেভেল থেকে এর জন্য প্রয়োজন আপনি যা করতে চান সেই কাজটা করার জন্য আপনার কাছে একটা স্ট্রং কারণ, একটি স্ট্রং কেন অবশ্যই থাকতে হবে।For example যদি আপনি ওয়েট লস করতে চান তো আপনার কাছে একটি স্ট্রং কারণ থাকা উচিত। 

যে কেন আপনি ওজন কমাতে চান? যদি আপনি জিমে যেতে চান তাহলে আপনার কাছে এমন একটি কেন থাকা উচিত যে আপনি কেন জিমে যেতে চাইছেন? যদি আপনি গ্রামে টপ হতে চান তো আপনার কাছে একটি স্ট্রং কেন থাকা উচিত যে, কেন আপনি টপ হতে চান? আপনার goal হলো একটি রাস্তা যে রাস্তায় আপনাকে চলে সেই গোলে পৌঁছাতে হবে। আর এই কেন টি আপনার সেই রাস্তায় কন্টিনিউ চলতে থাকার জন্যই inspiration হিসাবে কাজ করে।  

আপনার কেন আপনার উইল পাওয়ারকে বাড়িয়ে সমস্ত প্রকার কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করার শক্তি দেয়। লোকেদের নেগেটিভ কথায় কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে চলার শক্তি দেয়। পৃথিবীর প্রতিটি সফল ব্যক্তির সফলতার পেছনে তাদের এই কেন টির একটি বড় রোল থাকে। আপনার এই কেন টি আপনার বাবা মায়ের স্বপ্ন আপনার কেন হতে পারে? 

সেই সকল লোকেরা যারা কথায় কথায় আপনাকে শোনায় আপনাকে ঠাট্টা করে আপনাকে বলে যে তুমি করতে পারবে না সেটিও আপনার কোনো হতে পারে যে কেন আমি পারবো না? তো খুঁজুন নিজস্ব কেন টিকে। যদি আপনার সেই কেন থাকে তাহলে নীচের কমেন্ট বক্সে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। 

আরো পড়ুনঃ আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন

২.বিল্ড ইওর কনফিডেন্স(Build your confidence )

অর্থাৎ নিজের আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলুন আত্মবিশ্বাস অর্থাৎ কনফিডেন্স  হল এমন একটি জিনিস যা আপনার মোটিভেশন কে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। একবার ভেবে দেখুন যে, যখন মনে ডাউট কে নিয়ে কোনও কাজ আপনি করেন, তখন সেই কাজটিতে আপনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কত পার্সেন্ট থাকে? আর ভাবুন যে সেই কাজটি করার সময় যদি আপনার নিজের এবিলিটি র ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস থাকে, তবে সেই কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কত থাকে? 

অবভিয়াসলি সেকেন্ড সিচুয়েশনে আপনার success হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অর্থাৎ এই কনফিডেন্স আপনার পক্ষে ভোট করতে সাহায্য করে। আর কনফিডেন্স বানানোর একটি সহজ মাধ্যম হল আপনার পশ্চার। একটি এক্সপেরিমেন্ট কালীন কিছু রিসার্চাররা কিছু পার্টিসিপেন্টদের দু সপ্তাহ ধরে নিজের পশ্চার ঠিক করে রাখতে বললেন এবং তাদের বলা হল যে যখনই তাদের মনে হবে যে তাঁদের মেরুদণ্ড সোজা নেই, তখনই যেন তারা নিজের মেরুদণ্ডকে সোজা করে নেয়। 

নিজের পিঠকে যেন একদম সোজা রাখে এই এক্সপেরিমেন্ট কালীন তাদের কনফিডেন্স এবং শিল্প কে চেক করার জন্য তাদের কিছু টাস্ক দেওয়া হল। দু সপ্তাহ পর রিসার্চাররা পেলেন যে সিম্পল টেকনিক এর কারণে সেই গ্রুপটির মধ্যে কনফিডেন্স এবং এর পরের অনেকটা ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে। তো আজ থেকে আপনিও দাঁড়িয়ে থাকুন বা বসে থাকুন সব সময় চেষ্টা করবেন যে আপনার মেরুদণ্ড যেন সোজা থাকে। ঝোকে হাঁটা বা ঝুঁকে বসার অভ্যাসকে ত্যাগ করে দিন এফেক্ট আপনি এক থেকে দুদিনের মধ্যেই নিজের মধ্যে দেখতে পাবেন।

৩. ব্রেকডাউন টাস্ক করুন

মানে নিজের কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিয়ে করুন। কোনও কাজ বা টাস্ককে ম্যানেজেবল টুকরোতে ভাগ করে দেওয়া হয়।  আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই ইনফিনিটি ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। আর এই ইচ্ছাশক্তিকে প্র্যাকটিসের দ্বারা বাড়ানো সম্ভব। এই ব্রেনটি ঠিক এমনভাবে ডিজাইন রয়েছে যে শারীরিক শক্তি যেন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার হয়। 

যখন আপনি কোনও বড় কাজ করেন তখন ব্রেন জানে যে এই কাজটিতে প্রচুর এনার্জি প্রচুর শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। আর এই কারণের জন্যই এই সময়ে আপনার ব্রেন আপনাকে বলবে যে কাজটা তুমি করতে পারবে না। এর পরিবর্তে যখন আপনি কোনও ছোট কাজ করেন তখন ব্রেন ভাবে যে কাজটি হয়তো করা সম্ভব হয়তো আমি এটা করতে পারব। 

For example যদি কোনও ব্যক্তি ২০ কেজি ওজন কমাতে চায় তাহলে এই কাজটি তাঁর কাছে কঠিন মনে হবে বটে। কিন্তু যদি সেই ব্যক্তি প্রতি সপ্তাহে কেবলমাত্র এক কেজি ওজন কমানোর চেষ্টা করে এর ব্যাপার এভাবে তো এই কাজটিকে খুব সহজেই ফুল কনফিডেন্সের সাথে করতে পারবে। আর প্রতি সপ্তাহে প্রোগ্রেস কে দেখে তার উইল পাওয়ার এবং কনফিডেন্সও বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

৪. চেঞ্জ(change )

একটি স্টাডি হিসাবে আপনার মধ্যে অবস্থিত উইল পাওয়ার অনেকটা নির্ভর করে বিষয়টির উপর যে, আপনি সেটিকে কী ভাবে ফেল করেন। অর্থাৎ যদি আপনার মনে হয় যে আপনার ইচ্ছাশক্তি কম আছে সেটি সত্যি সত্যিই কম হয়ে যাবে। আর যদি আপনার বিশ্বাস থাকে যে আপনার মধ্যে ইচ্ছে শক্তির ভাণ্ডার রয়েছে তো সত্যি সত্যি তো আপনার মধ্যে বাড়তে শুরু করবে। 

অর্থাৎ যেমন আপনি ভাবেন তেমন ধরনেরই আপনি হবেন। আর এই জন্যই আপনাকে নিজের মধ্যে অটুট বিশ্বাস রাখতে হবে। যে আমার মধ্যে ইনফিনিটি উইল পাওয়ার রয়েছে। আর এর জন্য আপনি প্রতিদিন সকালে ঐ ফর্মেশনের এই একটি লাইন নিজেকে বলতে পারেন, যে আমার মধ্যে সমস্ত কাজ পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে কমপ্লিট করার ক্ষমতা রয়েছে।

৫. মেডিটেশন উইল পাওয়ার(Meditation wil power)

উইল পাওয়ার কে বৃদ্ধি করার জন্য মেডিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক রিসার্চ এ পাওয়া গেছে কেবল দুই থেকে তিন দিন দশ মিনিট বসে ধ্যান করলে আপনার ফোকাস এবং কনসাল্টেশন বৃদ্ধি হতে শুরু করে। আপনার স্ট্রেস লেভেল কমতে শুরু করে। এবং আপনার হ্যাপিনেসও বাড়তে শুরু করে। মেডিটেশন করলে আপনার কনফিডেন্স ও উইল পাওয়ার বাড়তে শুরু করে। তো এই পাঁচটি উপায় ছিল যে উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনার মেডিটেশন ও উইল পার্কের বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন নিজেকে এই পাঁচটি প্রশ্ন করুন

শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url