কম কথা বলার উপকারিতা জেনে নিন

 কম কথা বলার উপকারিতা জেনে নিন

একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি শুধু তখনই বলে যখন তার কাছে কোন কিছু বলার থাকে। কিন্তু অন্যদিকে একজন মূর্খ ব্যক্তি এজন্য বলে কারণ সে বলতে চায়। যদি আপনার মনে হয় যে আপনি কম কথা বলেন আর এই কম কথা বলার অভ্যাসটি আপনার বড়ো একটা দোষ তাহলে আপনি ভূল ভাবছেন। কম কথা বলার অভ্যাসটির দোষের কিছু নয়। কম কথা বলার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা একে একে কম কথা বলার উপকারিতাগুলো জানব। তবে অনুরোধ করবো অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য

পোস্ট সূচীপত্র: কম কথা বলার উপকারিতা 

  •  ১.কম কথা বলা লোকেরা বুদ্ধিমান হয়
  •  ২.কম কথা বলা লোকেরা ইন্টেলিজেন্ট হয়
  • ৩. কম কথা বলা লোকগুলো অনেকটাই ফ্রেন্ডলি হয়।
  • ৪. যারা কম কথা বলে তাদের সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • ৫. কম কথা বলা লোক গুলো অনেকটা বিশ্বাসী হয়
  •  ৬. কম কথা বলা লোকগুলো কারো সাথে তর্ক করে না
  • ৭. কম কথা বলার লোকগুলো একা থাকতে পছন্দ করে
  • ৮. কম কথা বলা লোক গুলো শান্ত প্রকৃতির হয়

 ১.কম কথা বলা লোকেরা বুদ্ধিমান হয়

কম কথা বলার লোকেরা বেশি বুদ্ধিমান হয়। যখন আপনি চুপ থেকে কারও কথা শোনেন,তখন সামনের ব্যক্তি তাঁর কথাকে আপনার সামনে বলার সুযোগ পায়। সামনের ব্যক্তি এটা ভাবে না যে, আপনি একজন মুর্খ ব্যক্তি। আপনি শোনেন এজন্যই আপনার সামনে এসে তারা বলতে ভালবাসে। কারণ পৃথিবীতে ভালো শ্রোতার সংখ্যা খুবই নগণ্য। যেহেতু আপনি একজন ভালো শ্রোতা, তাই সামনের ব্যক্তিটি ভাবে যে আপনি তার কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। কারণ আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি। আর যখন বাইরে থেকে কেউ আপনাকে বুদ্ধিমান ভাবে, তখন আপনার নিজের কনফিডেন্ট বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুন: ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

 ২.কম কথা বলা লোকেরা ইন্টেলিজেন্ট হয়

এই দ্বিতীয় গুণ যা কম কথা বলা লোকের মধ্যে পাওয়া যায়। এটা হল ইন্টেলিজেন্ট এর লক্ষণ। কারণ কম কথা বলা লোকেরা একবারে নিজের সম্পূর্ণ কথা প্রকাশ করতে পারে। এই কম কথা বলা লোক গুলো এক লাইনে নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারে। কারণ কম কথা বলার লোকেরা একেবারে নিজের সম্পূর্ণ কথা বলতে জানে। এক লাইনে নিজের বক্তব্য রাখার কৌশল কম কথা বলার লোকের মধ্যেই থাকে৷ যে কোন শব্দ দিয়ে নিজের বক্তব্য রাখতে পারে। নিজের কথাকে বোঝাতে পারে তাকে ইন্টেলিজেন্স নয় তো আর কী বলবেন।

৩. কম কথা বলা লোকগুলো অনেকটাই ফ্রেন্ডলি হয়।

কম কথা বলার লোকেরা অনেকটাই বন্ধুত্বসূলভ আচরণ করে। এবার আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি খুব কম কথা বলি, আমার সাথে বন্ধুত্ব করবে। কম কথা বলা লোকগুলো অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বলে। যেরকম কথা বলে সে লোমগুলো কারো সময় নষ্ট করে না। লোকেদের সময় নষ্ট করে।

৪. যারা কম কথা বলে তাদের সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে

চতুর্থ গুণ হল এই যে এদের মধ্যে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। যারা কম কথা বলে তাদের মধ্যে ধৈর্য প্রচুর পরিমাণে থাকে। এরা ফালতু কথায় নিজের সময় নষ্ট করে না। এইজন্যেই এদের টাইম ম্যানেজমেন্ট একদম ফার্স্টক্লাস থাকে। এছাড়াও কম কথা বলা লোকেরা শুধু কথাই বিশ্বাসী নয়, বরং কাজ করে দেখিয়ে দেওয়াতে বিশ্বাস করে। তারা যতটা সময় পায় সে সময়টাকে কাজে লাগাতে পছন্দ করে। কম কথা বলার কারণে এরা সহজে কোনও ঝামেলাতেও জড়ায় না। যার ফলে মেন্টাল পিস ও ডিসটার্ব হয় না।যার কারণ এরা নিজের কাজের উপর ভালো ভাবে ফোকাস করতে পারে।

৫. কম কথা বলা লোক গুলো অনেকটা বিশ্বাসী হয়

পঞ্চম গুণ হল অন্যান্য বাকি লোকেদের তুলনায় অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য হয়। কোন গোপন কথা ততক্ষণ অবধি গোপন থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত সেটি মনের মধ্যে থাকবে। কম কথা বলার লোকেদের প্রায়শই খুবই স্ট্রং হয় এদের মনের ভিতর কী চলছে তা জানতে পারা সাধারণ লোকের কাছে বেশ কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায় ৷ যার কারণে এরা কখনোই এমন কোনও কথা কে বলে না, যাতে তাদের প্রাইভেসি‌ নষ্ট হয়ে যায়।

 ৬. কম কথা বলা লোকগুলো কারো সাথে তর্ক করে না

যারা কম কথা বলে তারা কোনও দিনই কারো সাথে তর্ক করে না। এরা নিজের সেলফ রেস্পেক্ট সব সময় মেন্টেন রাখে। তর্ক করা মূর্খের কাজ। তর্ক করা মুর্খতার পরিচয় বহন করে। তাই যারা কম কথা বলে তারা কোনদিনও তর্ক করে না।

৭. কম কথা বলার লোকগুলো একা থাকতে পছন্দ করে

যারা কম কথা বলে তারা একা থাকতে কোনওদিনই ভয় পায় না। আর পার্সোনালিটিতে সবসময় পজিটিভ থাকে। কম কথা বলার লোকেরা মানুষের সাথে বেশি ইন্টারঅ্যাক্ট করে না। মানুষের সাথে বেশি ইন্ট্যারাক্ট না করার কারণে এদের কাছে একটা এক্সট্রা সময় থাকে। তা সম্পূর্ণ এদের নিজেদের জন্য থাকে। এরা এদের ম্যাক্সিমাম টাইম নিজেদের সাথে ব্যায় করে। নিজেকে সময় দেয় মানে এরা একা থেকে নিজের একাকীত্বকে সলিটিউড এ কনভার্ট করে নেয়। 

অর্থাৎ এটা একটা খুশি থাকার কৌশল। একা থেকে সফল হওয়ার কৌশল। একা থেকে স্ট্রং হওয়ার কৌশল। আর এই কৌশলে এতটা মাস্টার হয়ে যায়। যদি আপনি এদেরকে 1000 লোকের মধ্যে ছেড়ে দেন বা একটি নির্জন দ্বীপে ছেড়ে দেন। এদের কোন প্রবলেম নেই। এরা সব সময় নিজেকে কানেক্ট রাখে। এরা সব সময় নিজের অ্যাসিস্ট্যান্স কে জানে। আর এই স্পেশ্যাল কৌশল বা আইডেন্টিটি উপর গর্ব করে। 

৮. কম কথা বলা লোক গুলো শান্ত প্রকৃতির হয়

কম কথা বলা লোকগুলো অনেকটায় শান্ত হয়। এরাও প্রয়োজনীয় কথা বলে না কারো সাথে তর্ক জড়ায় না। এরা সব সময় বুঝে শুনে অল্প কথাই অনেক কথা বলার চেষ্টা করে।

আরো পড়ুন: আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন

মন্তব্য

সুপ্রিয়া পাঠাও বন্ধু, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের পোস্ট প্রতিদিন নিয়মিত করে থাকি। নিয়মিত সকল ধরনের পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url