ব্যবসা করার নিয়ম। ব্যবসা করার ১০ টি নিয়ম জেনে নিন
ব্যবসা করার নিয়ম। ব্যবসা করার ১০ টি নিয়ম জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি, যেটা নিয়ে আপনারা চিন্তিত থাকেন। ব্যবসা কিভাবে করব?বর্তমান বর্তমান সময়ের একটি ট্রেনিং বিষয় হচ্ছে ব্যবসা। ব্যবসার কিছু নিয়মকানুন আছে। নিয়ম না জানলে ব্যবসা করা উচিত নয়, বা ব্যবসা করতে পারবেন না। ব্যবসা করার নিয়ম এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে আমি আজকে হাজির হয়েছি। ব্যবসা করার দশটি কৌশল আপনাদের সাথে আলোচনা করব। পোস্টটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচীপত্র: ব্যবসা করার নিয়ম। ব্যবসা করার ১০ টি নিয়ম জেনে নিন
- ভূমিকা
- ব্যবসা করার ১০টি টিপস, কৌশল এবং নিয়ম।
- ব্যবসা করার টিপস বোনাস
- মন্তব্য
ভূমিকা: ব্যবসা করার নিয়ম। ব্যবসা করার ১০ টি নিয়ম জেনে নিন
আপনি কি অন্যদের মতো ব্যবসার করার টিপস কৌশল এবং নিয়মকানুন নিয়ে চিন্তিত? ব্যবসা করতে ভয় পাচ্ছেন? ব্যবসাতে কিভাবে লাভ করা যাবে এই নিয়ে ভাবছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে। এ আর্টিকেলে আজকে এমন দশটি ব্যবসা করার নিয়ম বা কৌশল আপনাকে বলব।
যেগুলো ভালো করে আপনি আপনার ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন। এই আর্টিকেল এর লেখা সমস্ত টিপসগুলি আপনাকে ব্যবসা করার উপযুক্ত বুদ্ধি কৌশল দেবে। এই নিয়মগুলো আপনার ব্যবসায় প্রয়োগ করলে আপনার ব্যবসার সাথে উন্নতি হবে এবং আপনি অনেক লাভবান হবেন। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আরো পড়ুনঃ ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন
ব্যবসা করার ১০টি টিপস, কৌশল এবং নিয়ম।
সম্মানিত পাঠক বন্ধু, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে চলেছেন ব্যবসা করার সেরা দশটি টিপস বা নিয়ম সম্পর্কে যা আপনাকে ব্যবসা সিন্ধান্ত অনেকটাই সহযোগিতা করবে। চলুন এবার আমরা জেনে নিই ব্যবসা করার সেরা ১০ টি কৌশল বা সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
১: ব্যবসায়ী সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ
সম্মানিত পাঠক বন্ধু একটি স্বাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করার আর যুদ্ধের ময়দানে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় সমান। আর এই দুটো ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের সাথে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। তাই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কোন পুরুষের সাফল্যের পিছনে যেমন মহিলার হাত থাকে তেমনি একটি ব্যবসা সাফল্যের পিছনে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে যেকোনো ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
২: ব্যবসা করার জন্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে
আপনার সমতুল্য ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে কি কি কৌশল অবলম্বন করছে, তাদের কাছ থেকে সেগুলো শিক্ষা নিয়ে তাদের মত করে ভালোভাবে, আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সেটিকে প্রয়োগ করতে হবে। বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকলে সেই ব্যবসার বাস্তব অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
৩: ব্যবসায় ধৈর্য ধারণ করতে হবে
একটি গাছ লাগানোর পর প্রথমবারেই ফল পাওয়া যেমন সম্ভব নয়। তেমনি ব্যবসা করতে গেলে প্রথমে সেই রকম ফলের আশা করা ঠিক নয়। এই পৃথিবীতে আপনি যাই করতে যান না কেন সব কিছুর জন্য ধৈর্য লাগে। আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে কয়েকটা বছর অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ব্যবসা অনেকটাই চাষীর শস্য ক্ষেত্রের মত। আপনাকে প্রথমে মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। তারপর ফসলের মত আপনার ব্যবসায় আপনি ফল পাবেন। ব্যবসাতে লাভ লোকসান দুটোই থাকবে। তবে সেই অনুকূল প্রতিকূল পরিবেশ গুলোতে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
৪: ব্যবসায় বাজার নির্ধারণ হবে
সম্মানিত পাঠক বন্ধু ব্যবসা দুইভাবে করা যায় প্রথমত পণ্য বিক্রি করে অথবা সেবা প্রদান করে। আর তাই আপনাকে প্রথমে ই পণ্য বিক্রি অথবা পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাজার নির্ধারণ করতে হবে। কারণ যদি কোন ক্রেতা না থাকে আপনার পণ্য ভোগ করার জন্য তাহলে আপনার ব্যবসা চলবে না। আর এজন্যই আপনার পণ্য পরিষেবার বাজার ঠিক করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার ক্রেতার চাহিদা বয়স পেশা ইচ্ছা রুচি রুচির দিকে খেয়াল করে সঠিক পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ এগুলোই তাদের জীবনে চাহিদা থাকবে।
৫: ব্যবসায় মূলধন যোগান দিতে হবে
আপনি যাই করতে যান না কেন আপনার মূলধন প্রয়োজন হবে। আপনার ব্যবসা ছোট হোক বা বড় হোক মূলধন প্রয়োজন। মূলধন ছাড়া কোন ব্যবসা হয় না। ব্যবসা করতে গেলে মূলধন প্রয়োজন। কেউ নিজের জমানো পূঁজি নিয়ে ব্যবসা করে। আবার কেউ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করে। তবে আপনার অবশ্যই ব্যবসা শুরু করার আগে ইনকামের একটি অন্য সোর্স থাকা উচিত। কারণ কোন কারণবশত যদি আপনার ব্যবসায় দুরবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে আপনার সেকেন্ড ইনকামের সোর্স থেকে আপনার পরিবার চলবে।
৬: ব্যবসায় অর্থ ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ব্যবসার প্রথম পর্যায়ে আপনার ব্যবসায় আয়ের থেকে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হবে। তাই আপনাকে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। এতে ন্যায় সঙ্গত বিনিয়োগ করা সহজে পর্যালোচনা করতে পারবেন। সব সময় আপনার পুঁজির কিছু অংশ অতিরিক্ত টাকা হিসেবে সরিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে বিপদের সময় সেই টাকা আপনি কাজে লাগিয়ে বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
৭: ব্যবসায় ঝুঁকি নেওয়ার কৌশল থাকতে হবে
ব্যবসার শুরুতে লাভের আশা করা ঠিক নয়। কারণ যারা অশিক্ষিত তারাই যেকোনো ব্যবসা শুরুতে লাভের আশা করে। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় ভুল হয়ে থাকবে তবে এক্ষেত্রে আপনার ক্ষতি হতে পারে। তবে আপনি যদি ক্ষতির ভয়ে ব্যবসায় আর বিনিয়োগ করতে ভয় পান তবে চলবে না। ক্ষতির ভয়ে যদি আপনি বিনিয়োগ করতে ভয় পান তাহলে আপনার ব্যবসায় সাফল্য পাবেন না। ব্যবসায় সফলতা পেতে গেলে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ একজন ভালো Salesman হওয়ার জন্য এই দশটি নির্দেশনা পালন করুন।
৮: ব্যবসায় প্রচার প্রক্রিয়া ব্যাপক হতে হবে
বর্তমান ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীরা বাংলা ভাষাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে ইংলিশ ভাষা বা ইংলিশ ওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসারের উপর বেশি জোর দিয়ে থাকেন। বর্তমান বিশ্বে যেগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্ম রয়েছে সে প্লাটফর্ম গুলোতে জনগণের কথা মাথায় রেখো ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর বেশি জোর দিচ্ছেন। কারণ ডিজিটাল প্রচারের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন খরচ কম হয়। এবং কম খরচে প্রচুর লোকের কাছে সেকেন্ডের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। তাই একজন আধুনিক ব্যবসায়ী হয়ে উঠার জন্য আপনাকে অবশ্যই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক যোগ দিতে হবে। এবং ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
৯: ব্যবসার ক্ষেত্রে পন্যের গুণগত মান, সরবরাহ ও সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে
ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় তাদের পণ্য পরিষেবা গুণগত মান খারাপ হয় তারা তাদের চাহিদা মতো করে থাকে হারিয়ে ফেলেন। অনেক সময় অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে দেখা যায়, চাহিদা মত পরিসেবা দিতে না পারায় অনেক ক্রেতা সেই কোম্পানি থেকে আর মাল ক্রয় করতে চায় না। তাই পণ্যের গুণগত মান ও সরবরাহ ব্যবস্থা এবং সঠিক মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সঠিক থাকতে হবে। পণ্য পরিষেবা যোগ দিতে হবে যাতে করে কাস্টমার তার চাহিদা মত সেবা পাই।
১০: ব্যবসা করার কৌশল
বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। যুগের সাথে ব্যবসার পরিবর্তন না হলে ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। সবসময় চেষ্টা করা উচিত নিচের ব্যবসায়িক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মার্কেট নিয়ে সবসময় নাড়াচাড়া করা। ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেকে কৌশলী করে গড়ে তুলতে হবে।
ব্যবসা করার টিপস বোনাস
একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো সহজ কথা নয়। আপনাকে সব সময় মনে রাখতে হবে যে পরিস্থিতি আসুক না কেন, আপনাকে আত্মবিশ্বাসের সহিত সমস্ত প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে আপনার ব্যবসাকে দাঁড় করাতে হবে। কঠোর পরিশ্রম ও অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আপনাকে ব্যবসার পিছনে লেগে থাকতে হবে। আমরা সকলেই জানি আত্মবিশ্বাসের মত শক্তি আর কিছুই নেই। যে কোন মুহূর্তে যেকোনো পরিস্থিতি আসুক না কেন, আত্মবিশ্বাস কে ভেঙে পড়তে দেবেন না।
মন্তব্য: ব্যবসা করার নিয়ম। ব্যবসা করার ১০ টি নিয়ম জেনে নিন
এ ডিজিটাল যুগে উন্নত গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেক মানুষ ছোট ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে এই প্রতিযোগিতার যুগে নিজের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবং লাভের মুখ দেখাটা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। তাই নিজের ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখতে এবং নিজের ব্যবসাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে, একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী হতে আপনাকে ব্যবসার কৌশল গুলো অবশ্যই জেনে রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সাফলতার জন্য আপনাকে এই কাজগুলো করতেই হবে।
শেষের কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধু, আজকের এই পোস্ট পড়ে কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের টিপস ট্রিকস শেয়ার করে থাকি। তাই সবকিছু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url