কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
সম্মানিত পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগতম। আজকে আমরা এ আর্টিকেল আলোচনা করব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। যেটি হচ্ছে কিডনি। কিডনি হচ্ছে মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের অনেকেরই কিডনি সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকে জানি না কিডনি কিভাবে ভালো রাখতে হয় বা কিডনি রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে। তাই এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিডনি রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই বিষয়ে। অনুরোধ করবো পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচীপত্র: কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
- ভূমিকা
- কিডনি রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ গুলো কি কি
- কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ সমূহ জেনে নিন
- কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় পদক্ষেপ
- মন্তব্য
ভূমিকা:কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ হচ্ছে নিরব মরণঘাতী রোগ। এই রোগ গুলো লক্ষণ সচরাচর পরিলক্ষিত হয় না। ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগ যাদের কোন একটি সমস্যা দেখা দেয় তাদের কষ্টের শেষ নেই। চলাফেরা খাত্যাভ্যাস এবং জীবন যাপনের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। বিভিন্ন কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
কিডনি একেবারে অকার্যকর হয়ে গেলে ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় গুলো জানা থাকলে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। আজকের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। যাকে বাংলায় বৃক্ষ বলা হয়।
কিডনি রক্তে উপস্থিত থাকা দূষিত পদার্থ গুলোকে পরিশোধন করে। পরিশোধন করার পর মুত্র হিসেবে দেহ থেকে তা বের করে দেয়। অসুস্থ এবং অকার্যকর কিডনি কারণে একজন ব্যক্তি সারা জীবনের কর্ম ক্ষমতা হারায় এবং ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ে। তাই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সাথে সাথে কিডনি র সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ জেনে নিন
কিডনি রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ গুলো কি কি
কিডনির সাধারণ কোন সমস্যা হলে প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায় না। ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। লক্ষণগুলো হলো যেমন- ক্ষুধামন্দা, শরীরে ওজন হ্রাস পাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশ (হাত, পা, মুখ) পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হয়ে যাওয়া। এছাড়াও শরীরে ক্লান্তিভাব আসা, ঘুম কম হওয়া, অসুস্থতা বোধ করা, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া, মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি কার্যকর হয়ে গেলে তা প্রকাশ।
কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ সমূহ জেনে নিন
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শরীরের ওজন বৃদ্ধি ধূমপান কিডনির ক্ষতি হয় এমন ওষুধ সেবন জন্মগত কিডনির সমস্যা ষাট বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তি। প্রভৃতি ক কিডনি রোগের ঝুকির অন্যতম কারণ।
কিডনি রোগ প্রতিরোধে করণীয় পদক্ষেপ
কিডনি রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস। তাই যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং কিডনি চেকআপ করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক জীবন যাপন করা এবং ওষুধ সেবন করা আবশ্যকীয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে দ্রুত শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলতে হবে।
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ কিডনি রোগের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। রক্তে যেন সব সময় কোলেস্টরেলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতিদিন পরিমাণ মতো শাকসবজির ফলমূল খেতে হবে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং রুটিন চেকআপ করা আবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ ফুসফুস সুস্থ রাখতে যা করবেন। ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়।
মন্তব্য: কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
সম্মানিত পাঠক, আমরা এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারলাম কিডনি রোগের লক্ষণগুলো কিডনি রোগের প্রতিরোধ করার ব্যবস্থাসমূহ সম্পর্কে। আপনি পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন কিডনি রোগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। বন্ধুদের জানাতে পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url