কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন? কিডনি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন
কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন? কিডনি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন
সম্মানিত পাঠ্য আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আমরা আজকে আলোচনা করব কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন সে সম্পর্কে। কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই এই কিডনিকে ভালো রাখা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।
আমরা অনেকে জানি না কিডনি কিভাবে ভালো রাখতে হয় বা কি করলে কি আপনি ভালো থাকে এই বিষয়ে। তাই আমরা এই আর্টিকেলে জানবো কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন সেই সম্পর্কে। অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচিপত্র: কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন? কিডনি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন
- ভূমিকা
- কিডনি ভালো রাখার জন্য কী করবেন??
- কিডনির রোগের লক্ষণগুলোকে জানুন।
- কিডনি ভালো রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু কথা
- কিডনি সম্পর্কে আরো জানতে হবে
ভূমিকা: কিডনি কিভাবে ভালো রাখবেন? কিডনি ভালো রাখার উপায় জেনে নিন
কিডনি রোগ নিয়ে কেবল কিডনি রোগীরা যে সচেতন হবে এমন কথা নয়। যাদের কিডনি ভালো আছে তাদেরকেও সচেতন হওয়া দরকার। কিডনি রোগ একটি নীরবঘাতী রোগ। এই রোগের লক্ষণ সচারচর বছর প্রকাশ পায় না। নীরবে কিডনি বিকল হয়ে গেল তেমন শারীরিক কোনো সমস্যা অনুভূত হয় না। নিরবে অচল অবস্থায় চলে যায়। তাই যেকোনো সুস্থ মানুষকে জানতে হবে কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। তাই আমরা এই আর্টিকেলে জানব কিডনি কিভাবে ভালো রাখা যায় সেই বিষয়ে। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ জেনে নিন
কিডনি ভালো রাখার জন্য কী করবেন??
* কিডনি ভালো রাখতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কারণ কিডনি পানির উপরে ভেসে থাকে। কিডনির গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে পানি। তাই অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তবে পানি অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। অসুস্থতার কারণে এবং ব্যায়ামের পর শরীরে পানি চাহিদা বাড়ে। তাই পানি চাহিদা পূরণ করতে নিরাপদ পানি, খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য খাবার অবশ্যই খেতে হবে। গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়ের জন্য পানির চাহিদা বেশি থাকে।
* কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
*কিডনি ভালো রাখার জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে।
* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন না পারলেও সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে হাটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম ভালো।
* কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই ধূমপান পান-জর্দা অ্যালকোহল বর্জনীয়। যদি আপনার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই ত্যাগ করা জরুরী। এগুলো খেলে কিডনি দুর্বল হয়ে যায়, তাছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে।
* কিডনি ভালো রাখার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
*চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। যে কোন সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। এছাড়াও চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবেনা। বিশেষ ব্যথার ওষুধ সেবন করা একেবারে উচিত নয়।
* বয়স ৪০ হওয়ার পর যে কোন সমস্যা না থাকলেও বছরে অন্তত একবার হলেও ডায়াবেটিস রক্তের চর্বি এবং প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা করা উচিত। তাছাড়াও কিডনির কর্মক্ষতা পরীক্ষা করা উচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের ৩২ শতাংশ জানেনই না যে, তারা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। আবার জানার পরও অর্ধেক মানুষেরই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। মোট রোগীর মাত্র ২৫ শতাংশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। একই কথা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য। প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ জানেনই না তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কিন্তু এই রোগগুলো থাকার কারণে রোগীর কিডনি ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা নিরবে হারাচ্ছে। রক্তে চর্বি বেড়ে গেলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কারণ একটি অন্যতম কারণ হলো রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া।
কিডনির রোগের লক্ষণগুলোকে জানুন।
কিডনি রোগের বেশ কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। যে লক্ষণ গুলো আপনার মাঝে প্রকাশ পেলে আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনার কিডনির কোন সমস্যা হয়েছে। লক্ষণগুলো হল- ক্ষুধামান্দ্য, বমিভাব, প্রস্রাব কম হওয়া, পায়ে পানি আসা প্রভৃতি। এসব লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
কিডনি ভালো রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কিছু কথা
* কিডনির জন্য একটি ক্ষতিকর বিষয় হলো মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া। মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। একজন সুস্থ ব্যক্তি দৈনিক ৫-৬ গ্রাম লবণ গ্রহণ করতে পারবে। সালায বা ফলের সঙ্গে লবণ খাওয়া উচিত। রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে বেশি লবণ ব্যবহারের পরিবর্তে বিভিন্ন রকম মসলা ব্যবহার করতে পারেন।
* ভাজা খাবারের চেয়ে সেদ্ধ করে খাবার খাওয়া ভালো। তেল চর্বিওয়ালা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
* ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ননিবিহীন দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
*চিনি ছাড়া বা কম চিনি দেওয়া খাবার খেতে হবে।
* খাবার খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খাবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়
কিডনি সম্পর্কে আরো জানতে হবে
কিডনি রোগের বিভিন্ন লক্ষণ এবং এর জটিলতা সম্পর্কে প্রত্যেকেরই জানা উচিত। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে জানে না। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা কম তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে।
শেষের কথা
সম্মানিত পাঠক বন্ধু, আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পেরেছেন কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল লিখে থাকি। তাই প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। বন্ধুদের জানানোর স্বার্থে পোস্টটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url