ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা। ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা। ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম মোটিভেশন আইডির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজ আমরা আলোচনা প্রকল্প ড্রাগন ফল নিয়ে। ড্রাগন ফল খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল। ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা আছে। তবে ড্রাগন ফলের অপকারিতা ও রয়েছে। সে সম্পর্কে আলোচনা করব। অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
পোস্ট সূচীপত্র: ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা। ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
- ড্রাগন ফলের পরিচিতি
- ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
- ড্রাগন ফলের ১০ উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের অপকারিতা
- ড্রাগন ফলে কী কী ভিটামিন থাকে
ড্রাগন ফলের পরিচিতি
ক্যাকটাস জাতীয় ফল হচ্ছে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল দক্ষিণ আমেরিকা মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকোতে প্রচুর পরিমাণে জন্মে। ড্রাগন ফল গোলাপি এবং এত হলুদ হয়। এর ভিতর কালো বীজযুক্ত ও সাদা আঁসযুক্ত হয়। ড্রাগন ফল হালকা মিষ্টি হয়। ড্রাগন ফল কাঁচা খাওয়া যায় আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। ড্রাগন ফল ভিটামিন ও খনিজ গুলির একটি ভালো উৎস।
ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি ই এবং কে। সেই সাথে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার ও থাকে। ড্রাগন ফল এন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত যা কোচের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করা যাক।
আরো পড়ুনঃ রসুন খাওয়ার উপকারিতা। রসুন খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।
ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
১. লাল ড্রাগন, এই ফল লাল এবং এর খোসা রং লাল ও সাস সাদা হয়ে থাকে। লাল ড্রাগন ফলটা বেশি দেখা যায়।
২. কোস্টারিকার ড্রাগন ফল। এই ফলের খোসা ও শাস উভয়ে লাল রঙের হয়ে থাকে।
৩. হলুদ রঙের ড্রাগন ফল। এই ড্রাগন ফলের খোসা বিশেষ করে হলুদ রঙ হয়।
ড্রাগন ফলের ১০ উপকারিতা জানুন
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ড্রাগন ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর রেডিকেলস থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২. ড্রাগন ফল হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী
ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই কার্যকরী।
৩. ড্রাগন ফল হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
ড্রাগন ফল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়। ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রং দূর করে।
৪. ড্রাগন ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ড্রাগন ফলে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল রাখে।
৫. ড্রাগন ফল ত্বক ও চুলের জন্য কার্যকরী
ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের সতেজতা বজায় রাখে এবং বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতি রোধ করে। ড্রাগন ফলের বীজে থাকা Omega-3 ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের জন্য খুবই উপকারী।
৬. ড্রাগন ফল হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী।
ড্রাগন ফল দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী। ড্রাগন ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হারাব দাঁতের মাড়িকে শক্ত করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
৭. এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে
এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে।
৮. ড্রাগন ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে
ড্রাগন ফলে ফাইবার বেশি থাকে এবং ক্যালরি কম থাকে। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৯. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই এনটিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়াও ড্রাগন ফলে রয়েছে লাইকোপেন। লাইফ ওপেন প্রটেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১০. ড্রাগন ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়।
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে। এছাড়াও ভিটামিন এ রয়েছে যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ সজিনা পাতার উপকারিতা/গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিন
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতার পাশাপাশি এর অপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খেলে এলার্জি হতে পারে। তবে এলার্জির লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ড্রাগন ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মেয়েদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ড্রাগন ফলে কী কী ভিটামিন থাকে
ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি1, বি2, বি3, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ড্রাগন ফলে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রা খুবই কম। প্রতিদিন ১-২ টি ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে।
মন্তব্য: ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা। ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা
প্রিয় পাঠক বন্ধু এতক্ষণে অবশ্যই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ড্রাগন ফলে কি কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলটি পরে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। তাই প্রতিদিন এরকম আর্টিকেল করতে আমাদের ওয়েবসাইটে সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url