পড়া মনে রাখার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন

পড়া মনে রাখার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন

কেমন হবে যদি আপনি কোনও টপিক একবার পড়েই সারাজীবন মনে রাখতে পারেন? একবার কোনও টপিক কে পড়েই যদি আপনি সেটিকে সারাজীবন মনে রাখতে পারতেন তাহলে কেমন হতো নিশ্চয়ই ভালো হত তাই না? আজকের এই পোষ্টটি স্টুডেন্টদের জন্য ডেডিকেটেড। আজ এই পোস্টটিতে আপনি দুটি এমন টেকনিককে জানতে চলেছেন যেটা আপনার স্টাডি লাইফকে একেবারে চেঞ্জ করে দেবে। 

আজ আপনি এমন দুটি প্রবলেম কেও জানাতে চলেছেন যার কারণে আপনার পড়া ভালো মতো মনে থাকে না। আর এই দু টি পয়েন্টকে যদি আপনি একবার বুঝে যান এবং তার According a যদি আপনি আপনার পড়াশোনায় চেঞ্জকে আনেন তাহলে 200% গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আপনি এখনকার তুলনায় অনেক গুণ ভালো ভাবে এবং বহুদিন পর্যন্ত আপনার পড়াকে বা কোনও টপিক কে মনে রাখতে পারবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র: পড়া মনে রাখার সহজ উপায়গুলো জেনে নিন

  • পড়াশোনায় ইন্টারেস্ট (interest) তৈরি করা
  • কীভাবে পড়াশোনাকে ইন্টারেস্টেড বানাবো?
  • ভিজ্যুয়ালস
  •  শেষের কথা

পড়াশোনায় ইন্টারেস্ট (interest) তৈরি করা

আচ্ছা সব থেকে প্রথমে আপনি আমাকে এটা বলুন যে যখন আপনি কোনও মুহূর্তে দেখেন যখন আপনি একটি সুন্দর ব্যাক্তিকে দেখেন বা কোন ফাংশন বা কোনও প্রোগ্রামে হঠাৎ কোনও আপনি আপনার ফেভারিট পার্সেন্টকে বা কোনও সেলিব্রিটি বা কোনও সাকসেসফুল ব্যক্তিকে দেখতে পান। আর তার সাথে যদি আপনি একটি সেলফি নিয়ে নেন, তো এই সকল ইভেন্টগুলি আপনার সারা জীবন মনে থাকে তাই না? 

যখন আপনি কোনও মুহূর্তে দেখেন তো সেই মুভিকে দেখার পর বহুদিন পর্যন্ত আপনার সেটা মনে থাকে। একজন সুন্দর কোনও ব্যক্তিকে একবার দেখলেই বহুদিন পর্যন্ত আপনার তাঁর মুখটিকে মনে থাকে তাই না? তো আপনার ব্রেন বা আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু আপনাকে এখানে বোকা বানাচ্ছে। আপনি তাকে যেটা মনে রাখতে বলছেন সেটাকে সে বারবার ভুলে যাচ্ছে। আর যে জিনিসটিকে তার ভালো লাগছে সেই জিনিসটিকে সারা জীবন মনে রাখছে। 

তো একবার ভেবে দেখুন যে ব্রেন পাওয়ার যদি আপনার লাইফের প্রতি ফিল্ডে ব্যবহার হতো তাহলে কেমন হত? যদি আপনি একবার কোনও টপিক পড়ে কোন সাল, কোনও কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের ফর্মুলাকে পড়ে যদি সারা জীবন সেটিকে মনে রাখতে পারতেন তাহলে কেমন হতো? তো আগে যে এক্সাম্পল গুলিকে আমরা জানলাম সেখানে এই বিষয়টি একেবারেই পরিষ্কার যে জিনিসগুলি আমাদের ভালো লাগে বাজে জিনিসগুলিকে আমাদের ব্রেন মেনে নিচ্ছে, যেগুলো ভালো জিনিস এগুলিতে কিছু স্পেশাল রয়েছে। 

এগুলি ইন্টারেস্টেড রয়েছে সেই জিনিসগুলি আমাদের সারা জীবন মনে থেকে যায়। অর্থাৎ মোট কথা হল ইন্টারেস্ট অর্থাৎ যে কাজে আমাদের ব্রেন এর ইন্টারেস্ট রয়েছে সেই কাজকে আমাদের ব্রেন সারাজীবন মনে রাখে ব্রেন এই কাজগুলি।ব্রেন এই কাজগুলিকে ইন্সট্যান্টলি পার্মানেন্ট স্টোরেজে স্টোর করে নেয়। তো প্রথম যে পয়েন্টকে আমরা বুঝলাম সেটা হল ইন্টারেস্ট। যদি আপনি পড়াশোনা করেন কিন্তু ইন্টারেস্ট নেই। যদি আপনি কোনও কাজ করেন। 

কিন্তু ইন্টারেস্ট নেই আপনি জোর করে পড়ছেন। কারণ বাড়ির লোক পড়তে বলেছে, না হলে ফেল হয়ে যাব তো ইন্টারেস্ট নেই। কিন্তু তবুও যদি আপনি সেই কাজকে করেন বা পড়াশোনা করেন তো জেনে রাখুন যে ১বার নয়, ১০বার নয়, ১০০বার পড়েও সেই পোড়া আপনার মনে থাকবে না। এর পরিবর্তে যদি কোনো মেয়ে আপনাকে তার ফোন নম্বর দেয় বা আপনার বন্ধু যদি আপনাকে কোনও সিক্রেট কথা বলে দেয় তো, এই সিচুয়েশনে আপনার ব্রেন ফুল পাওয়ার মোডে চলে আসে। 10 ডিজিটের সেই নম্বরই হোক বা বন্ধুর সেই সিক্রেটই হোক না কেন। 

যেমন করেই হোক আপনার ব্রেন সেটাকে মনে রেখে দেবে। পেন থাকুক বা না থাকুক প্রেপার থাকুক বা না থাকুক না কেন? আপনার ব্রেন খুব ভাল ভাবে সেই নম্বরটি কে মনে রেখে দেবে, জাস্ট এগজাম্পল দিলাম। আর এটা শুধু ছেলেদের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেবল নয় ইন ফ্যাক্ট মেয়েদের ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেবল। কোনও বিয়েবাড়িতে বা কোনও ফাংশনে যদি কেউ তাঁর হেয়ারস্টাইলকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে দেয় তো এক্ষেত্রে তারা এই ঘটনাটি লং টার্মে মনে থাকে। কারণ অ্যাপ্রিসিয়েশন সবাইকে ভাল লাগে। 

যে Example দিলাম তো ব্রেনের যে বিষয় ইন্টারেস্ট থাকে এবং ব্রেনকে যে জিনিস ভালো লাগে সে জিনিসকে আমরা খুব তাড়াতাড়ি মনে রাখতে পারি। এবং বহুদিন পর্যন্ত সেই জিনিস আমাদের মনে থাকে। আর আপনার পড়াশোনা মনে না থাকার সব থেকে বড় প্রথম কারণ হল এই ইন্টারেস্ট। তো প্রথম প্রবলেম থেকে আমরা জেনে নিলাম যে অন্যান্য ইন্টারেস্টেড জিনিসগুলির মতই পড়াশোনা কেউ ইন্টারেস্টেড বানাতে হবে।

আরো পড়ুনঃ পড়াশোনা করার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন

কীভাবে পড়াশোনাকে ইন্টারেস্টেড বানাবো?

যেদিন আপনি আপনার লাইফ এর একটি গোল কে ডিসাইড করে নেবেন, সেই দিন থেকে সেই গোলে পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করা প্রতিটি জিনিসেই আপনার ইন্টারেস্ট চলে আসবে। আর পড়াশোনায় ইন্টারেস্ট না থাকার এটাই হল সবথেকে বড় কারণ যে আমাদের লক্ষ্য বা টার্গেট ফিক্স থাকে না এবং আমাদের কনফিডেন্সের অভাব যে আমি লাইফে এটাই অ্যাচিভ করব। আর আমি এটা অর্জন করেই ছাড়বো। একবার আপনি লাইফে এটা ডিসাইড করে নিন যে আপনি পড়াশোনা করে ফিউচার এই কাজটি করবেন। 

আর একবার ডিসাইড করার পর যখন পড়তে বসবেন। নিজের সেই লক্ষ্য বা ড্রিম এর ব্যাপারে ভাবুন যেটিকে কিনা আপনি পড়াশোনা করে অ্যাচিভ করবেন৷ তার পর দেখুন তো যে পড়াশোনা ইন্টারেস্ট আসে কিনা। তারপর দেখুন যে পড়াশোনায় মন বসে কি না। তো তাড়াতাড়ি পড়াকে মনে রাখতে পারার প্রথম পাওয়ারফুল টিপটি হল ইন্টারেস্ট।

ভিজ্যুয়ালস

দ্বিতীয় পাওয়ারফুল টিপটি হল ভিজ্যুয়ালস। দেখুন এই পোস্টের প্রথম থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত যতগুলি এক্সাম্পল আমি আপনাকে দিলাম সেই সকল এক্সাম্পল গুলির মধ্যে একটি কমন জিনিস ছিল যা হলো সেই সকল ইভেন্টগুলি। সেই সকল মোমেন্ট গুলি আমাদের চোখের সামনে হয়েছিল তাই না? যেমন মুভি দেখা সুন্দর ব্যক্তিকে দেখা অ্যাপ্রিসিয়েশন। এই সকল ইভেন্টগুলি আমাদের চোখের সামনে ঘটেছিল। অর্থাৎ যে ঘটনা বা বিষয় বা জিনিসগুলিকে আমাদের ব্রেন চোখ যা দেখে সেই বিষয়ে ঘটনা বা জিনিসগুলিকে আমাদের ব্রেন মনে রাখতে পারে। 

ভাবুন তো যে আপনি কোনও ভয়ানক একটি ঘটনাকে স্বচক্ষে দেখলেন। তো এক্ষেত্রে সেই ঘটনা কতদিন আপনার মনে থাকবে বা কোনও সুন্দর একটি ঘটনা আপনার চোখের সামনে ঘটল তো সেই ঘটনাটিকে আপনি কতদিন মনে রাখতে পারবেন। তো ঠিক একই রকম ভাবে যখন পড়তে বসবেন তখন নিজের

তো ঠিক একই রকম ভাবে যখন পড়তে বসবেন তখন নিজের ব্রেনে সেই পরার অ্যাকোরডিয়ানে সিন ক্রিয়েট করুন। শুধুমাত্র অনর্গলভাবে না পরে বরং সেই পড়াটির একটি মুভি তৈরি করুন। সেই মুভিতে পড়া হিসাবে আপনি ক্যারেক্টারকে অ্যাড করুন। কোন কোন ক্যারেক্টার কী করল সেগুলিকে একটি মুভির মতো মাইন্ডে ইম্যাজিন করুন। 

হ্যাঁ আমি জানি যে এটা সকল সাবজেক্টে অ্যাপ্লিকেবল নয়, যেমন ম্যাথ। কারন ম্যাথ ফিজিক্স এগুলিতে বোঝার ব্যাপার রয়েছে। কিন্তু বাকি যে অন্যান্য সাবজেক্ট গুলো আপনার রয়েছে সেই সাবজেক্ট গুলোতে আপনি এই visualization টেকনিককে অ্যাপ্লাই করে ইজিলি আপনার পক্ষে খুব তাড়াতাড়ি এবং বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ রাত জেগে পড়াশোনা করার পাঁচটি গোপন টিপস 

 শেষের কথা

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে আমাদের মোটিভেশন আইটির সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url