গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন? গর্ভবতী মায়ের যত্ন

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন? গর্ভবতী মায়ের যত্ন

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব গর্ভকালীন গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন বা গর্ভবতী মায়ের যত্ন সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন? গর্ভবতী মায়ের যত্ন

  • ভূমিকা
  • গর্ভবতী মায়ের খাবার
  • গর্ভবতী মায়ের মানসিক যত্ন
  • গর্ভবতীর শারীরিক যত্ন
  • গর্ভবতীর মায়ের পরিকল্পিত যত্ন
  • গর্ভবতী মায়ের যত্ন প্রথম তিন মাস
  • গর্ভবতী মায়ের যত্ন শেষের তিন মাস
  • মন্তব্য

ভূমিকা:গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন? গর্ভবতী মায়ের যত্ন

গর্ভবতী মায়ের যত্ন এবং এবং নিরাপদ মাতৃত্ব দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তার ওপর নির্ভর করবে নিরাপদ মাতৃত্ব। একজন নারীর সব থেকে বড় সার্থকতা হল তার মাতৃত্ব। নিরাপদ মাতৃত্ব একজন নারীকে তার সার্থকতা দেয়। প্রথমত গর্ভবতী হওয়া একজন মা গর্ভবতী সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা থাকে। গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত একজন গর্ভবতীকে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমরা জেনে নিই।

ছবি

একজন গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিশ্চিত করনে তার পরিবারের সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু নিজে অসতর্ক থাকলে চলবে না। তাদের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়ের ও অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ সুস্থতা সতর্কতার উপর নির্ভরশীল।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মহিলার বমি হলে করণীয়-গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ

গর্ভবতী মায়ের খাবার

একজন শিশু যখন তার মাতৃগর্ভে থাকে তখন তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। তাই এ সময় গর্ভবতীর খাওয়ার দিকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়। পুষ্টিকর খাবার শিশুর গঠন প্রণালী সাহায্য করে। গর্ভবতীকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিলে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই গর্ভবতী যে খাবার খাচ্ছে সেটি তার সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।

গর্ভবতী মায়ের মানসিক যত্ন

একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের পাশাপাশি মানসিক যত্নটিও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানসিকভাবে সুস্থ না থাকতে পারলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। যা বাচ্চার জন্য ভীষণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গর্ভবতী মা কোন বিষয়ে উদ্বিগ্ন হচ্ছে নাকি সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। কারণ উদ্বিগ্ন থাকলে সেটি শিশু এবং মার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গর্ভবতী মাকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখতে হবে।

গর্ভবতীর শারীরিক যত্ন

একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার দাবার মানসিক যত্নের পাশাপাশি শারীরিক যত্ন বেস গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। গর্ভবতী মায়ের শরীর অসুস্থ থাকলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবে ভেঙে পড়ে। তাই একজন গর্ভবতী মায়ের শারীরিক বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। উঁচু নিচু স্থান এড়িয়ে চলতে হবে। গর্ভবতী মাকে অবশ্যই ভারী কোন জিনিস বহন করতে দেয়া যাবে না।

গর্ভবতীর মায়ের পরিকল্পিত যত্ন

পরিকল্পিত গর্ভধারণ মায়ের এবং শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং নিরাপদ। সন্তান গর্ভধারণের আগে অবশ্যই বিভিন্ন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ডায়াবেটিস হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ থাইরয়েড ইত্যাদি পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। এছাড়াও সন্তান ধরনের অন্তত তিন মাস আগ থেকে নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড সহ অন্যান্য ঔষধ সেবনের প্রয়োজনও হতে পারে। গর্ভবতী মায়ের পোশাক পড়েছেন অবশ্যই সঠিক মাপের হতে হবে। অবশ্যই ঢিলা পোশাক পড়তে হবে এবং উঁচু হিল পরিহার করতে হবে।

একজন আন্তঃসত্ত্ব নারী প্রায় তিন মাস পর পর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি তথ্য মতে, একজন গর্ভবতী না রেখে অন্তত চারবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এই চারবার হল ১৬, ২৮,৩২ এবং ৩৬ সপ্তাহ। তাছাড়াও কোন অন্তসত্তার যদি শারীরিক কোন প্রবলেম দেখা দেয় তাহলে তাৎক্ষণিক অবশ্যই চিৎ যাবে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গর্ভবতী মায়ের যত্ন প্রথম তিন মাস

একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন প্রথম এবং শেষ তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস শিশুর বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রাথমিকভাবে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কারণ এ সময় শিশুর শরীরে লৌহের চাহিদা মেটানোর পর মায়েদের রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এজন্য গর্ভবতী মাকে প্রথম তিন মাস প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো উচিত।

গর্ভবতী মায়ের যত্ন শেষের তিন মাস

গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তান শেষ তিন মাস খুব দ্রুত বাড়ে। যার ফলে প্রসূতি মায়ের পায়ে পানি আসতেও পারে। এছাড়াও গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাস পেট অনেক বড় হয়ে যায় এবং শিশু বহন করতে অনেক কষ্ট হয়। এ সময় অনেক জটিলতা দেখা দেয় গর্ভবতী মায়ের। অস্বাভাবিক পেট ছোট-বড় হওয়া, মাঝে মাঝে রক্ত ভাঙ্গা, জ্বর আসা রক্তচাপ অতিরিক্ত হওয়া ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ নবজাতকের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ২০টি উপায়

মন্তব্য:গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন? গর্ভবতী মায়ের যত্ন

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করলাম গর্ভবতী মায়ের যত্ন সম্পর্কে। গর্ভবতী মা একজন শিশু জন্ম দানের ক্ষেত্রে তার প্রচুর কষ্ট হয়। দশ মাস না পারে খেতে না পারে ঠিকমত ঘুমাতে না পাই কোন সুখ শান্তি। দশ মাস তীব্র কষ্টের পর তীব্র প্রতীক্ষার পর তার গর্ভের সন্তান জন্ম দেয়। তারপর সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সেই কষ্ট মা ভুলে যায় যখন তার বাচ্চার মুখ দেখা তখন। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই সঠিকভাবে যত্ন নিব এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ সুন্দর শিশুর জন্মদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করব।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক আমরা এই আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারলাম বা জানতে পারলাম গর্ভবতী মায়ের পূর্ণাঙ্গ যত্ন সম্পর্কে। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে অবশ্য শেয়ার করবেন। আমাদের বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url