তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম- তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময়
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম- তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময়
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমরা এমন একটি নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব যে নামাজটি সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা নীরব নিভৃতে এবং গভীর রাত্রে পড়ার আদেশ দিয়েছেন। সে নামাজটি হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ। আমরা অনেকে আছি যারা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানিনা। আমি আজকে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব তাই অনুরোধ করবো পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচীপত্র: তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম- তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময়
- ভূমিকা
- তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
- তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
ভূমিকা: তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম- তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময়
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ তথা রাতের নামাজ।’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)
মহান আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে চাদর আবৃত, রাতের সালাতে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া।’ (সুরা মুজাম্মিল : আয়াত ১-২)
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রতি ইসলামের প্রাথমিক যুগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা যদি নামাজের নির্দেশ দেন। প্রিয় নবীর প্রতি কিছু সময় নামাজ পড়া নির্দেশ ছিল না বরং রাতের কিছু অংশ ছাড়া রাত জেগে তাহাজ্জুদের আদায়ের নির্দেশ ছিল।
একদল মানুষ যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন তারা হচ্ছেন যারা যত্নের সাথে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবেন। পবিত্র কুরআনে বিভিন্ন সূরাই তাহাজ্জুদের নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাই বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পর সাহাবায়ে কেরাম, তায়েবী সহ সব যুগের অলিরা, বৃদ্বানরা তাহাজ্জুদের নামাজে রাত কাটিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত জেনে নিন
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে ফজরের নামাজের আগ সময় পর্যন্ত তাহাজ্জুদ পড়ার সময়। তবে মাঝরাতের পর থেকে তার জন্য নামাজ পড়া উত্তম।
তাহাজ্জুদের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়
তাহাজ্জুদের নামাজ ২ থেকে ১২ রাকাআত পর্যন্ত পড়া বর্ণনা পাওযা যায়। সর্ব নিম্ন ২ রাকাআত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়তেন। তাই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ পড়া উত্তম। তবে আবশ্যক নয়।
সম্ভব হলে ১২ রাকাআত তাহাজ্জুদ আদায় করা যায়। তবে ৮ রাকাআত আদায় করা উত্তম। সম্ভব না হলে ৪ রাকাআত আদায় করতে হবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে ২ রাকাআত হলেও তাহাজ্জুদ আদায় করা ভালো। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের কোনো কাজা নেই।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ - اَللهُ اَكْبَر
অর্থ : দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি.. অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাআত দুই রাকাত করে এ নামাজ আদায় করতেন। যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।- তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধা।- অতঃপর ছানা পড়া।- সুরা ফাতেহা পড়া।- সুরা মিলানো তথা কেরাত পড়া।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লম্বা লম্বা কেরাত পড়তেন। অতঃপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় রুকু, সেজদা আদায় করা। এভাবেই দ্বিতীয় রাকাআত আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা। তাহাজ্জুদের নামাজ অন্যান্য নামাজ পড়ার মতোই তবে অনেক লম্বা লম্বা কেরাত করা উত্তম।
এভাবে দুই রাকাত দুই রাকাআত করে ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম।
মন্তব্য: তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ম- তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সময়
মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে রাতের শেষ প্রহরে, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আরো পড়ুনঃ কোন সময় দোয়া কবুল হয়, দোয়া কবুলের ১৭টি বিশেষ সময়
শেষের কথা
সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা, এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। তারাও যেন তাহাজ্জুদের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ইসলামিক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। তাই প্রতিদিন ইসলামিক আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url