খুশি থাকার উপায়, সুখে থাকার উপায় জেনে নিন

খুশি থাকার উপায়, সুখে থাকার উপায় জেনে নিন 

লোকেরা নিজের দারিদ্রতাকে নিজের অসফলতাকে লোকেদের থেকে পাওয়া চিটিংয়ের কারণ মনে করে এবং চিট ফ্রটকে খুশি না থাকার কারণ ও মনে করে। কিন্তু সত্যিই খুশি আপনার ভাবনা এবং আপনার চয়েস এর উপর ডিপেন্ড করে। always you have the choice, you have to decide or you want to peace and you want to be happy. এই পোস্টটি শেষ হতে হতে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আপনার খুশি থাকার এতদিনের যার উল্লেখ রয়েছে সেটি সম্পূর্ণ বদলে ফেলব। 

আর অবাক করার কথা কী জানেন? এখন আপনার কাছে যা যা আছে 10 মিনিট পরও তাই থাকবে জীবনের সমস্ত সমস্যা একই থাকবে। কিছুই পরিবর্তন হবে না। খুশি থাকার জন্য আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আছে সেটির সাথে কিছু উল্টোপাল্টা করতে চলেছি। পাঁচটি এমন পরিবর্তন যদি আপনি নিজের মধ্যে করে নিতে পারেন তাহলে, আপনি যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় যে কোনো সিচুয়েশনে খারাপ থেকে খারাপ সিচুয়েশনেও খুশি থাকতে পারবেন। এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকার এখন নতুন ধরন শেখাতে পারবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র: খুশি থাকার উপায়, সুখে থাকার উপায় জেনে নিন 

  • মেনে নিন সবকিছুই ঘটার পেছনে একটি কারণ থাকে (everything happens for a reason)
  • সুখে থাকার জন্য অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা বন্ধ করুন
  • খুশি থাকার জন্য নিজেকে ভালোবাসো
  • খুশি থাকার জন্য নেগেটিভ লোকজনের থেকে দূরে থাকুন
  • জীবনে খুশি থাকার জন্য সব কিছুকে সহজ ভাবে নিন

মেনে নিন সবকিছুই ঘটার পেছনে একটি কারণ থাকে (everything happens for a reason)

একটি কথা বলি আমি আপনাকে, আজ আপনি যে পরিস্থিতিতে আছেন, কোনওদিন কি ভেবে দেখেছেন যে, এই পরিস্থিতির থেকেও বেশি খারাপ হতে পারত। পারত কিনা বলুন। একটি ছোট শিশুর আঙুল কেটে গিয়েছিল। তার পিতামাতা খুবই দুঃখ পেল যে আমাদের ছেলের আঙুল কেটে গেল। কয়েক সপ্তাহ পর সেই গ্রামে কিছু ডাকাত এসে গ্রামের সমস্ত বাচ্চাদের কিডন্যাপ করে নিয়ে গেল। 

এই ডাকাতটি একটি কালো জাদু করে তান্ত্রিক এর চক্করে পড়ে গিয়েছিল। আর সেই তান্ত্রিক ডাকাতকে বলেছিল যে, যদি তুমি অমর হতে চাও তাহলে তোমাকে দশটি শিশু বলি দিতে হবে। কিন্তু শর্ত হল, এই যে দশটি শিশুর জন্য প্রতিটি অঙ্গ ঠিক থাকে। সেই আঙুল কেটে যাওয়া শিশুটি বেঁচে গেল। তার পিতামাতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলল যে ভালই হয়েছিল, সেদিন তার আঙুলটি কেটে গিয়েছিল। 

যদি সেদিন তার আঙুলটি না কাটত, তাহলে আজ ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলত। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সবকিছুই ভাটার পেছনে একটি না একটি কারণ অবশ্যই থাকে। আমরা ভাবি যে এরকম কেন হচ্ছে আমার সাথে? এই জীবনটা একটি রহস্যময় সিনেমার মতো। এখানে আপনি সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবেন না যে এটি কেন হচ্ছে। ক্লাইম্যাক্স আসতে দিন। জীবনকে নিজের মতো করে চলতে দিন। 

আপনি প্রতিটি প্লটের শেষে নিজেই জেনে যাবেন যে, কেন আপনার সাথে এমনটা হচ্ছিল? আপনি না ভেবে চিন্তে অনেক কিছুই করতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা না  ভেবেচিন্তে কিছুই করেন না। আপনি নিজের কর্মে বিশ্বাস করুন বা না করুন কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আপনার কর্মে 100% বিশ্বাস করে। আপনি নিজের উপর ভরসা রাখুন বা না রাখুন সৃষ্টিকর্তার ওপর অবশ্যই ভরসা রাখুন। কিছুই বিনা কারণে ঘটে না।এই মাইন্ডসেট টি আপনাকে খুশি রাখতে প্রচুর সাহায্য করবে।

আরো পড়ুনঃ ইচ্ছা শক্তি বাড়ানোর ৫টি উপায় জেনে নিন

সুখে থাকার জন্য অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা বন্ধ করুন

অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করে দিন। আপনার পাশের বাড়ির লোক হয়তো 50,000 টাকার 4k আল্ট্রা এইচডি টিভি নিয়েছে। আর যখন আপনি জানতে পারলেন যে, এত টাকা দিয়ে নিয়েছে বন্ধু, তখনই আপনার মধ্যে আগুন জ্বলে উঠল। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জানতে পারেননি তত ক্ষণ অবধি সব ঠিক ছিল। কিন্তু যখনই আপনার কানে এসে খবরটি পৌঁছাল ঠিক তখনই আপনার মেন্টাল স্টেট চেঞ্জ হয়ে গেল। 

কেউ আইফোন নিল, কার নিল এই কথাগুলি শুনে‌ আপনি নিজেকে হালকা এবং কম মনে করতে শুরু করলেন। মনের মধ্যে দুঃখের কালো মেঘে ছেয়ে গেল। কিন্তু দুঃখের উৎপত্তি হল কোথা থেকে? এটি উৎপত্তি হল তখন, যখন আপনি নিজেকে মনে মনে অন্যের সাথে তুলনা করতে শুরু করলেন। মনে চলতে থাকা চিন্তা এবং এর প্রভাবে ইমোশনগুলো তৈরি হচ্ছে। এগুলির সোর্সকে খুঁজতে পারো। 

বন্ধু, যখন আপনি আপনার মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের উৎস খুঁজতে পারবেন তখন একপ্রকার স্যাটিসফেকশন আসে। যাইহোক যদি আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে বা সোসাইটিতে বা পরিবারের কেউ আপনার থেকে বেশি উন্নতি করছে, তো তাকে দেখে হিংসে বা তুলনা না করে বরং তার উপর গর্বিত হওয়া উচিত। তাই না? যদি আপনি কার কেনেন আর আপনার বন্ধু হিংসে করে আপনার থেকে দূরে হয়ে যায়, তো আপনাকে কী ভালো লাগবে? নিশ্চয়ই না। 

সেই কার কোনও কাজেরই নয়। কার আপনাকে খুশি দিতে পারবে। কিন্তু কতদিন এক মাস এক বছর। টাকা দিয়ে কেনা খুশি বেশি দিন থাকে না। তাই হিংসে করা বন্ধ করুন। তুলনা করা বন্ধ করুন। দেখুন সামনের ব্যক্তির তুলনায় যদি আপনি একটু কম হন তো তার মানে এই নয় যে আপনি তার থেকে কম খুশি হবেন।

খুশি থাকার জন্য নিজেকে ভালোবাসো

নিজেকে সর্বদা ভালোবাসুন। নিজের জীবনের প্রতিটি অংশকে ভালবাসুন। আপনি যে কাজ করছেন সেই কাজকে ভালোবাসুন। নিজের ফ্যামিলি কে ভালবাসুন। ওয়েট আপনি ভালো তো সবাইকেই ভালোবাসেন। কিন্তু পরিবর্তে সেই লোকেরাই আপনাকে হার্ট করে। তো এবার কী করবেন? তাঁদের ঘৃণা করবেন? না, লোকেদের ভুল ত্রুটিগুলিকে দেখে নিজের এবিলিটিও গুণকে ভুললে চলবে না। 

love yourself.আপনি যেমনি আছেন নিজের জায়গায় একদম ভালো আছেন। লোকে কী করছে কে কি বলছে এতে আমার কোনও যায় আসে না। যে সকল লোকেরা অভিযোগ করে, হিংসে করে তাদের থেকে একটু দূরে থাকুন। জীবনে আপনি যা করছেন সেই সিচুয়েশন বা সেই অবস্থাকে ভালোবাসুন। অথবা যে কাজ করতে ভালবাসেন সেই কাজ করতে শিখুন। নিজের প্রতিটি জিনিসকে, প্রতিটি ভালো গুণকে, প্রতিটি ভাল ভাবনাকে ভালোবাসুন।

আরো পড়ুনঃ আসল পুরুষের ৬টি বৈশিষ্ট্য জেনে নিন

খুশি থাকার জন্য নেগেটিভ লোকজনের থেকে দূরে থাকুন

Believe me or not কিছু কিছু লোক জীবনে কালো মেঘের মতো হয। যারা আপনাকে আকাশের উপরের উজ্জ্বল আলো কে দেখতে বাধা দেয়। এই নেগেটিভ লোকেরা আপনার ভিতরে নেগেটিভ এনার্জিকে জাগ্রত করে তোলে। যদি আপনি জীবনে বড় কিছু করতে চান এবং খুশি থাকতে চান তাহলে আপনি আপনার থেকেও ভাল লোকের সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করুন৷ হোক না সে আপনার থেকে বয়সে ছোট, সে আপনার থেকে বেটার হোক 100% আপনি তাদের সাথে থাকুন। 

নেগেটিভ লোকেদেরকে নিজের লাইফ থেকে ডিলিট করে দিন। এসকল লোকেদের কাছে বা এই সকল লোকেদের জন্য এনার্জি নষ্ট করে লাভ নেই। কারণ এই লোকেদের থেকে রিটার্ন হিসেবে আপনি নেগেটিভিটিকে পাবেন। নেগেটিভ লোকেদের দ্বারা ডিসটার্ব না হয়ে নিজের কাজকে পিসফুল করার সব থেকে বেস্ট মাধ্যম হল এই, যে আপনি তাদের ইগ্নোর করুন। এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিন। 

কারণ এরা হল তারা যারা নাত নিজের লাইফে খুশি আছে আর না তো এরা আপনাকে খুশি থাকতে দেবে। আপনি যতই ভালো কাজ করুন না কেন এরা প্রতিটি কাজে ভুল বের করবে। এদের কাজ হল ভালোর মধ্যে থেকে খারাপকে খুঁজে বের করে আপনার সামনে আনা। তারপর আপনার মেন্টাল পিস কে নষ্ট করে দূর থেকে তামাশা দেখা। এরা জীবনে কখনোই আপনাকে মোটিভেট করতে পারবে না।

জীবনে খুশি থাকার জন্য সব কিছুকে সহজ ভাবে নিন

জীবনে যখনই কঠিন পরিস্থিতি আসবে বেঁচে থাকার মন করবে না। মনে দুঃখ থাকবে নিজেকে হতাশ মনে হবে। তো আজ অব্দি খুঁজে পাওয়া সবথেকে কার্যকরী মাধ্যম নিজেকে খুশি রাখার সেটি হল নিজেকে ব্যস্ত করে নেওয়া। এমন হাজার হাজার স্বপ্ন আপনার মনের মধ্যে রয়েছে যেগুলিকে সময়ের অভাবের কারণে আপনি পূরণ করতে পারেন নি৷ 

এমন কত জায়গা আছে যেগুলিকে আপনি সময়ের অভাবের জন্যে দেখতে পাননি। এমন কত প্রিয় লোক আছে যাদের সাথে আপনি অনেক দিন ধরে কথা বলেননি। এমন হাজার হাজার কাজ আছে যা।আজই আপনার করা উচিত। বহু সেল কমিটমেন্ট রয়েছে যেগুলিকে পূরণ করতে বাকি আছে। তো বসে বসে কাঁদার থেকে 100 গুণ ভাল যে আপনি সেই কাজগুলি করুন। যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন always theme and keep it easy. 

দেখুন বন্ধু, খুশি পাওয়ার জন্য কাজ করলে খুশি পাবেন না। খুশি পাওয়ার জন্য টাকা কামালে খুশি পাবেন না।খুশি পাওয়ার জন্য বাইক কিনলে খুশি পাবেন না। বরং খুশি হয়ে এবং খুশি থেকে যদি কাজ করেন টাকা কামাই করেন বা বাইক কেনেন তাহলে খুশি অবশ্যই পাবেন। লোকেদের কাছে বেশি প্রত্যাশা রাখবেন না। নিজের খেয়াল রাখুন এবং এগিয়ে চলুন।

আরো পড়ুনঃ আপনি সবার পছন্দের মানুষ হয়ে ওঠুন, ৫টি উপায়ে

শেষের কথা

পাঠক বন্ধু পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম আরো হেল্পফুল পোস্ট পেতে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আমরা এখানে প্রতিদিন মজার মজার সব তথ্য দিয়ে থাকি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url