সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আমরা আজকে আলোচনা করব সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ফজিলত নিয়ে। আর কদিন পরে রমজান মাস। সেহেরি খেয়ে রোজা ধরতে হয় এবং ইফতারের মাধ্যমে রোজা ছাড়তে হয়। এই আর্টিকেলে আলোচনা করব সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়বেন।
পোস্ট সূচীপত্র: সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
- ভূমিকা
- সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
- মন্তব্য
ভূমিকা: সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
সময় মত সেহেরী খাওয়া সুন্নত। সেহরিতে মহান আল্লাহ তায়ালা বরকত ও কল্যাণ দিয়ে রেখেছেন। ইহুদি খ্রিস্টানরা রোজা পালন করত ভোররাতে সেহরি খেয়ে। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোররাতে সেহরি খাওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
১.হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, ‘সেহরি খাওয়া বরকতময় কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহরি কর। কারণ যারা সেহরি খায়, আল্লাহ তাআলা তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, ইবনে হিব্বান)
ইফতার যেমন তাড়াতাড়ি করা নেকির কাজ, তেমনি সেহরি দেরী দেখাও মেয়েটির কাজ। আর ভোর রাতের শেষ সময়ে সেহরি খাওয়া উত্তম। তবে অবশ্যই সময়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যেন ফজরের আজানের সময় না হয়ে যায়।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ সকল আম্বিয়ায়ে কেরামকে তাড়াতাড়ি ইফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেহরি দেরি করে খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাইতো ‘সাহাবায়ে কেরাম আজমাঈন ‘সময় হওয়ার সাথে সাথে (দেরি না করে) ইফতার করতেন এবং সেহরির শেষ সময়ে খাবার খেতেন।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)১
২.পেট ভরে সেহরি খাওয়া জরুরী নয়। এক ঢোক পানি বা এক গ্লাস পানি খেলেও সেহরি আদায় হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بركَة অর্থাৎ ‘তোমরা সেহরি খাও। কেননা, সেহরিতে বরকত রয়েছে। (মুসলিম)
সেহরিতে রয়েছে কল্যাণ ও বরকত। তাই আপনার ক্ষুধা লাগুক আর নাই লাগূক, খেতে ইচ্ছা করুক আর নাই করুক, সামান্য হলেও রাতের শেষ অংশে কিছু খেয়ে নেওয়া বরকতের কাজ। কেউ যদি এক গ্লাস শরবত একটি খেজুর ও খায় তাও সে আল্লাহর রহমত বরকত থেকে বঞ্চিত হবে না।
৩.হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমাদের রোজা এবং আহলে কিতাব তথা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া। (অর্থাৎ মুসলিমরা সেহরি খায় আর ইহুদি ও খ্রিস্টানরা সেহরি খায় না)।’ (মুসলিম, নাসাঈ)
মন্তব্য: সেহরি খাওয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নিন
হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত, বরকত ও কল্যাণ পেতে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে, সেহরি খাওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সেহরি খাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আরো পড়ুনঃ রমজান মাসের আমলসমূহ-রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আমল
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু, আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি সেহরি খাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url