পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এই আর্টিকেল আলোচনা করব। আজকে আমরা আলোচনা করব পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে। পবিত্র মাহে রমজানের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। যেগুলো আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করব। অনুরোধ করব পুরো আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
পোস্ট সূচীপত্র: পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
- ভূমিকা
- রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য দুটি আনন্দ
- লাইলাতুল ক্বদর
- রমজান মাসে তারাবির নামাজ
- পবিত্র মাহে রমজানে ইতিকাফ করা
- মন্তব্য
ভূমিকা: পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য নিয়ামত স্বরূপ। মহান আল্লাহ তায়ালা এই মাহে রমজানকে মানবজাতির জন্য প্রেরণ করেছেন। এই মাহে রমজানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। নিম্নে মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য দুটি আনন্দ
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল পাক (সা.) এরশাদ করেন, রোজাদারদের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। একটি হচ্ছে ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহ্ তাআলার সাথে দিদার বা সাক্ষাতের সময়। হাদিসে আরও উল্লেখ রয়েছে, ইফতারের সময়টা হচ্ছে দোয়া কবুলের সময়। ইফতারের সময় আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর বান্দার দোয়া কবুল করেন। ইফতারের সময়ের দোয়া হচ্ছে সময়ের দোয়া হচ্ছে- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিয়াত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরা লি জুনুবি।’
আরো পড়ুনঃ রোজার নিয়ত। রোজা ভাঙ্গার ১৮ টি কারণ জেনে নিন
লাইলাতুল ক্বদর
লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। লাইলাতুল কদরের রাত জেগে কেউ যদি আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকে তাহলে, এক হাজার রাতের চেয়েও বেশি সব পাবে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, এক হাজার মাসের হিসাব করলে কদরের এক রাতের ইবাদত ৮৬ বছর ৪ মাসের সমান। কিন্তু মহান আল্লাহ্ তাআলা তার চেয়েও উত্তম বলেছেন। কোন ব্যক্তি যদি ক্বদরের রাতে সওয়ারের আশায় ইবাদত করে, তাহলে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) আমি যদি ক্বদরের রাত্রি পাই, তাহলে আমি কী দোয়া পড়ব? তাঁর প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’ এই দোয়া পড়বে। হাদিসে আছে, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রিতে (২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখ) শবে কদর তালাশ করবে।
রমজান মাসে তারাবির নামাজ
এশার সালাতের ফরজ ও সুন্নতের পর এবং বিতরের আগে দুই রাকাত করে মোট ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। সম্ভব হলে খতম তারাবি আদায় করতে হবে।
পবিত্র মাহে রমজানে ইতিকাফ করা
মহান আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘ওয়া আনতুম আকিফুনা ফিল মাসজিদ’ তোমরা মসজিদে ইতিকাফ করো। ইতিকাফ শব্দের অর্থ নিজেকে আবদ্ধ রাখা। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের আশাই, শর্ত সাপেক্ষে পুরুষেরা মসজিদে ও নারীরা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশক (২০ রমজান থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত) ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। গোসল, খাবার, প্রস্রাব,পায়খানা ব্যতীত অন্য কোনো প্রয়োজনে ইতিকাফের স্থান ত্যাগ করতে পারবে না। ইতিকাফ অবস্থায় কোরআন তিলাওয়াত করবে, নফল নামাজ আদায় করবে আর জিকির করতে থাকবে।
খুতবায় তিনি বলেন ‘‘হে মানুষ তোমাদের উপর ছায়া বিস্তার করেছে এক মহান প্রাচুর্য মাস, এই মাসেই এমন একটি রজনী রয়েছে, যে রজনী হাজার মাসের চেয়েও উক্তম। রমজান মাসে সিয়ামকে মহান আল্লাহ্ তায়ালা ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্য রমজান মাসে একটি নফল আদায় করবে, সে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করার সমান সওয়াব পাবে।
আর যে ব্যক্তি এই রমজান মাসে একটি ফরজ আদায় করবে, সে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান সওয়াব পাবে। রমজান মাস হচ্ছে ধৈর্যের মাস। আর এই ধৈর্যের প্রতিদান হচ্ছে জান্নাত। রমজান মাস হচ্ছে সহমর্মিতার মাস। এ রমজান মাস এমন একটি মাস,যে মাসে মুমিনদের রিজিক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রমজান মাসে কোন ব্যাক্তি রোজাদারকে ইফতার করালে সে ব্যক্তির গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেয়।
এবং জাহান্নামের আগুন থেকে সে মুক্তি পাবে। রমজান মাসে কোন মুমিন ব্যক্তি কোন রোজাদার ব্যক্তিকে এক টুকরা খেজুর কিংবা এক ঢোক যদি পানি দারাও ইফতার করায় আল্লাহ তাআলা তাকে তবুও সব দান করবে। ব্যক্তিকে কোন মুমিন বান্দা যদি পেট ভরে খাওয়ায়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন।
মন্তব্য: পবিত্র মাহে রমজানের গুরুত্ব ফজিলত জেনে নিন
সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোন রমজান মাস মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র মাস। রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। রমজান মাস সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আল্লাহ নির্দেশ মতো চললে রমজান মাসে হাজার পাপ করে থাকলেও রমজান মাসে সে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আল্লাহ পাক মুসলিম বিশ্বকে এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব উপলদ্ধি করার তৌফিক দান করুন। এটাই আমাদের একান্ত কামনা ও প্রত্যাশা।
আরো পড়ুনঃ কোন সময় দোয়া কবুল হয়, দোয়া কবুলের ১৭টি বিশেষ সময়
শেষের কথা
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধু পোস্টটি পরে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইটে ইসলামিক পোস্ট লিখে থাকি। তাই প্রতিদিন ইসলামিক পোস্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url