কেন ঘনঘন জ্বর হয়-ঘনঘন জ্বরের ১৫টি কারণ জেনে নিন
কেন ঘনঘন জ্বর হয়-ঘনঘন জ্বরের ১৫টি কারণ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বন্ধু আসসালামু আলাইকুম। আমরা এই আর্টিকেলে আজকে আলোচনা করব ঘনঘন জ্বরের কারণ সম্পর্কে। ঘনঘন জ্বর আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কেন আমাদের ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। ঘনঘন জ্বরের কারণ বা ঘনঘন জ্বরের কি লক্ষণ এ সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাই জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র:কেন ঘনঘন জ্বর হয়-ঘনঘন জ্বরের ১৫টি কারণ জেনে নিন
- ভূমিকা
- ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ
- ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষণ
- ঘন ঘন জ্বরের চিকিৎসা
- মন্তব্য
ভূমিকা: কেন ঘনঘন জ্বর হয়-ঘনঘন জ্বরের ১৫টি কারণ জেনে নিন
জ্বর হলো একটি উপসর্গ। জ্বর কোন রোগ নয়। যখন বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হয় তখন তার উপসর্গ হিসেবে জ্বর হয়ে থাকে। তাই জ্বর হলো বিভিন্ন সংক্রমনের উপসর্গ। ডেঙ্গু সহ নানা জরে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই জ্বর হলে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জ্বরের বিভিন্ন ধরনের ভাগ রয়েছে। কোন কোন জ্বর সাত দিন স্থায়ী হয়। কোন কোন জ্বর ১৪ দিন পর্যন্ত থাকে আবার কোন কোন জ্বর ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হয়ে থাকে। এ জ্বরগুলোকে স্থায়িত্ব ভেদে ভাগ করা হয়। সাত দিন হলে অ্যাকিউট জ্বর, ১৪ দিন থাকলে সাব- অ্যাকিউট জ্বর এবং ১৪ দিনের বেশি থাকলে পারসিস্ট্যান্ডস জ্বর বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ
১.ঠান্ডা লাগলে
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো ঠান্ডা লাগা। ঠান্ডা লাগার কারণে ঘনঘন জ্বর হয়ে থাকে।
২, পেটে কোন সংক্রমণ হলে
পেটে কোন ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে থাকে। যেমন পেট ফুলে যাওয়া, পেটে ভাব ধরা পাতলা পায়খানা হয় এরকম।
৩, ফুসফুসের সংক্রমণ হলে
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হলো ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়া। ফুসফুসে যদি কোন ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।
৪, শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে ঘন ঘন জ্বর হয়
শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম কারণ শরীরের রক্তস্বল্পতা। তাই ঘন ঘন জ্বর হলে অবশ্যই চিকিত্সা হওয়ার পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
৫। ঋতু পরিবর্তন হলে
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম আবহাওয়া ভিত্তিক কারণ হচ্ছে ঋতু পরিবর্তন। ঋতু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া চেঞ্জ হয়। ফলে শরীর এক আবহাওয়া থেকে অন্য আবহাওয়াতে খারাপ খাওয়াতে সময় নিয়ে থাকে। তাই এই সময়ে অ্যাডজাস্টমেন্ট না করতে পারলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে ঋতু পরিবর্তনের সময়।
৬, ভাইরাস বা ইনফেকশন
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে ভাইরাস বা ইনফেকশন। কোন ধরনের ভাইরাস শরীর এটাক করলে ঘন ঘন জ্বর হয়ে তার উপসর্গ বা লক্ষণ প্রকাশ পায়। ভাইরাস বা অন্য কোন বড় রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কারো কারো জ্বর হয়ে থাকে। এর ফলে মানুষের শরীরে মেটাবলিজম এর ক্রিয়া বিক্রিয়া চলতে থাকে এবং এর ফলে শরীরে তাপমাত্রা কম বেশি হয়।
৭. হিট স্ট্রোক
হিট স্ট্রোকের কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে। ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষণ হিট স্ট্রোক হওয়া।
৮. ডেঙ্গুর কারণে ঘনঘন জ্বর হয়ে থাকে
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটু উন্নতম কারণ হচ্ছে ডেঙ্গু। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়ে থাকে। তাই ডেঙ্গু হলে জ্বর হয়ে থাকে।
৯. নিউমোনিয়া হলে ঘন ঘন জ্বর হয়। ঠান্ডার কারণে মূলত নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। আর এই নিউমোনিয়ার কারণে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।
১০. চিকেন পক্সের কারনে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।
১১. ফ্লোর কারনে ঘন ঘন জ্বর হয়ে থাকে।
১২. ঘন ঘন জ্বর হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে রিউমাটয়েড আর্থাইটিস।
১৩. টাইফয়েড থেকে শুরু করে নানা কারণে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
১৪. ম্যালেরিয়ার কারণে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।
১৫. এছাড়াও অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস পান করলে জ্বর হতে পারে।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষণ
জ্বর হওয়ার কারণে শরীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে শরীরে কাঁপুনি সৃষ্টি হয় খিদের ভাব তৈরি হয়। ডিহাইড্রেশন ছাড়াও ডিপ্রেশন, মাথা ব্যথা ঘুম ঘুম রেস থাকে, বা শরীর ক্লান্ত হয়। জ্বরের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক অন্য লক্ষণ গুলো বলে দিবে আপনার কেন জ্বর হয়েছে।
ঘন ঘন জ্বরের চিকিৎসা
ভালো ভালো জ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তাপমাত্রা প্রমাবত বাড়তে থাকলে বা তাপমাত্রা কম বেশি হতে থাকলে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসলে এটা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জ্বরকে যেহেতু অন্য কোন রোগের উপসর্গ হিসেবে ধরা হয়, তাই চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করতে রক্ত পরীক্ষা ইউরিন টেস্ট বা এক্স-রে করতে পারেন।
জ্বর হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় জ্বরের ওষুধ খেতে পারেন। জ্বর কমাতে চার থেকে ছয় ঘন্টা পর পর প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। তবে তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে অন্য কোন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। তবে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়।
কারণ যেহেতু জ্বর একটি উপসর্গ মাত্র। তাহলে অবশ্যই অন্য কোন রোগ হয়েছে তাই চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের টেস্টের মাধ্যমে নির্ণয় করবে আপনার কি সমস্যা হয়েছে। এবং পরে সে অনুযায়ী চিকিৎসক ওষুধ দিবেন। ভালো খানা জ্বর হতে থাকলে প্রচুর পরিমাণে পানি বা পান জাতীয় খাবার খেতে হবে। কারণ জ্বর হলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ সমূহ জেনে নিন
মন্তব্য: কেন ঘনঘন জ্বর হয়-ঘনঘন জ্বরের ১৫টি কারণ জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করলাম ঘন ঘন জ্বর হওয়ার কারণ সম্পর্কে। এছাড়াও আরো আলোচনা করলাম ঘন ঘন জ্বর হওয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। সম্মানিত পাঠক বন্ধু জ্বর আমাদের একটি কমন প্রবলেম। উপরোক্ত কারণগুলো কারণে জ্বর হয়। তাই জ্বর হলে আমাদের প্রথম দিন থেকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। জ্বর হলে আমাদের পরীক্ষা করা উচিত যে কোন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হয়েছে। এবং সে অনুযায়ী ওষুধ কিনে ওষুধ খাওয়া।
শেষের কথা
সময় তো পাঠাও বন্ধু, আমরা আমাদের আর্টিকেলে ঘনঘন জ্বরের কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করলাম। পোস্টটি বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন, যাতে বন্ধুরা এ সম্পর্কে সচেতন হয়। সম্মানিত পাঠক আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাই নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url