ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। মোটিভেশন আইটির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে। ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায়? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার বেশ কিছু উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সম্মানিত পাঠক পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

ছবি


পোস্ট সূচিপত্র: ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

  • ভূমিকা
  •  ফ্রিল্যান্সিং কি? 
  • ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম
  • ব্লগার সাইড তৈরি করে ইনকাম 
  • মন্তব্য

ভূমিকা: ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

সম্মানিত পাঠক বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং একটি ট্রেন্ডিং বিষয় বর্তমান সময়ে। বর্তমান সময়ে যুবকরা সব ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে ঢুকে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং আয় করার একটি বেস্ট মাধ্যম। বর্তমানে যুবকরা ফ্রিল্যান্সিং পেশায় তাদের ক্যারিয়ার গঠন করছে। ফ্রিল্যান্সিং করে বিভিন্নভাবে আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মাধ্যম আছে যে মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ডলার ইনকাম করা যায়। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠা সম্ভব। তেমনি বেশ কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং এর সাইট নিয়ে আলোচনা করব।

 ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি মুক্ত পেশা। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। বিভিন্ন বৈদেশিক সংস্থা তাদের কাজ বায়ার দিয়ে করিয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রজেক্ট এর কাজ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কাজ করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। এক এক সেক্টর এক এক রকম। ফ্রিল্যান্সিং এর একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নিজের ইচ্ছামত পছন্দের সেক্টর নিয়ে পছন্দের সময় অনুযায়ী কতটুকু আয় করবে তার নিজের উপর নির্ভরশীল। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর থেকে আয় করা যায়। কোন কোন সাইট থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় নিম্ন আলোচনা করা হলো:-

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো জেনে নিন

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

স্টোক ইমেজ সেল করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং এর একটি সেক্টর হচ্ছে স্টক ইমেজ সেল। স্টক ইমেজ সেল করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। আপনি যদি একজন ছবি তোলার বিষয়ে প্রফেশনাল হয়ে থাকেন তবে আপনার সেই ছবিগুলো স্টক সাইট গুলোতে সেন্ড করতে পারবেন।

ব্লগার সাইড তৈরি করে ইনকাম 

ফ্রিল্যান্সিং এর একটি মাধ্যম হচ্ছে ব্লগার। আপনি যদি টুকটাক লিখতে পারেন তাহলে আপনি ব্লগার সাইট তৈরি করে সেটিতে আর্টিকেল প্রকাশ করে গুগলের এডসেন্স নিয়ে আর্নিং করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে অনেক যুবকরা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আর্নিং করছে। তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে প্রচুর ধৈর্যের প্রয়োজন এবং আপনার একটি ওয়েবসাইট গ্রো করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্ট সেল এর মার্কেটিং। আপনার যদি ধৈর্য থাকে তাহলে আপনি এই সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারেন।

অনলাইনের মাধ্যমে ডিজাইন বিক্রয় করে আয়

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে আপনি বিভিন্ন সাইডে মাইক্রো স্ট্রোক সাইট গুলোতে কাজ করতে পারবেন। প্রথমে আপনাকে মাইক্রো স্টক সাইট গুলোতে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। এ সাইটগুলোতে একাউন্ট করার পরে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হবে। এই সেক্টর মূলত প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। বর্তমানে এধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে প্রত্যাশা মূলক আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

ই-বুক রাইটিং করে ইনকাম

বর্তমানে ই-বুক রাইটিং করে অনেকে ইনকাম করছে। ই বুক বর্তমানে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ সেক্টরে দক্ষিন ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব।

বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করার বিষয় দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন রকম মোবাইলে অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। আপনার অ্যাপটি যদি জনপ্রিয়তা অর্জন করে তাহলে আপনি এখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

বই লিখে এবং বই প্রকাশ করে আয়

বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় ইনকামের পথ হচ্ছে বই লিখা। বই লিখা এবং বই প্রকাশ করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একজন ভালো লেখক হতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। বর্তমানে যুবকরা ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করে থাকছে। youtube একটি প্যাসিভ ইনকাম এর মাধ্যম। আপনি যদি ব্লগিং ভালবাসেন তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার কথা ভাবতে পারেন। নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর দক্ষ হয়ে সেই বিচার উপর ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

ড্রপশিপিং করে আয়

ড্রপ শিপিং করে বর্তমানে প্রাচীর ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব হচ্ছে। ড্রাফ শিপিং বলতে মূলত একটি পণ্য নির্দিষ্ট স্থানে স্বল্পমূল্যে ক্রয় করে নিজের সাইডে বেছে নিলে বিক্রয় করার পদ্ধতি।

অনলাইন সার্ভে থেকে আয়

অনলাইন সার্ভে মূলত বিভিন্ন কোম্পানি কে বুঝায়। বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে অনলাইন সার্ভে করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ফিডব্যাক গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো কিছু মানুষকে অনলাইনে নিয়োগ করে সুতরাং এটি আপনার জন্য হতে পারে আয়ের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম।

3D অ্যানিমেশন শেখার মাধ্যমে আয়

আপনি একজন থ্রিডি এনিমেশন এ পেশাদার ভাবে কাজ করতে পারেন। থ্রিডি এনিমেশন সিস্টেম অন্যান্য সাধারণ পেশার মতো নয়। এটি একটি ব্যতিক্রম ধর্মী সিস্টেম। থ্রিডি এনিমেটেড হয়ে ওঠা এক সপ্তাহে বা এক মাস বা এক বছরের সম্ভব নয়। বছরের পর বছর আপনার ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনার মাধ্যমে সৃজনশীল শিল্পের মত প্রচুর ভালোবাসা উৎসর্গ ছাড়া ভালো অবস্থায় যাওয়া যায় না। আপনি এটি করতে পারলে আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। সুতরাং এনিমেশন শিখে বাংলাদেশে বসে ও দারুন একটা ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ অ্যানিমেশন কি ও অ্যানিমেশন শিখতে কিসের প্রয়োজন

ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আয় করা

আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন একাউন্ট করে থাকেন এবং আপনার যদি প্রচুর ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি করে আয়

ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন আয়ের মধ্যে একটি জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি। মোবাইলের মাধ্যমে আপনি ডাটা এন্ট্রি করে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে মোবাইল ব্যবহার করতে হবে। মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল রাইটিং কাজ পাবেন এবং খুব সহজে এগুলো পাওয়া যায়।

মন্তব্য: ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জনপ্রিয় ১৩টি প্ল্যাটফর্ম

সময় তো পাঠাও বন্ধু আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করলাম ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন সেক্টর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সাইড রয়েছে বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে যে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনি জনপ্রিয় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।

শেষের কথা

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করলাম ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে। পোস্টটি পড়ে ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url