শিরক কি? সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক সম্পর্কে জানুন
শিরক কি? সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক সম্পর্কে জানুন
পোস্ট সূচিপত্র: শিরক কি? সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক সম্পর্কে জানুন
- শিরক কি?
- শিরক এর আরবি অর্থ
- শিরক কত প্রকার ও কি কি?
- সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক
- শিরকের ভয়াবহ শাস্তি
- শিরক থেকে বাঁচার উপায়
- মন্তব্য
শিরক কী?
যুগে যুগে মহান আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে অনেক নবী ও রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। বিভিন্ন ধরনের আসমানী কিতাব অবতরণ করেছেন মানবজাতির উপর। মহান আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ধরনের কিতাবের মাধ্যমে মানবজাতির স্পষ্ট পরিচয় লাভ করতে সক্ষম এবং ইবাদত করতে সক্ষম হয় এমন একা করতে স্বীকৃতি ও ইবাদত করে তার একা করতে বিধান যেন বাস্তবায়িত হয় সেজন্য পাঠিয়েছেন।
সমস্ত প্রার্থনা যেন তারই উদ্দেশ্য হয় এবং এর বিপরীত মুখে কোন কর্মকাণ্ড যেন না হয় এজন্য যুগে যুগে নবীর আসল ও আসমানী কিতাব নাযিল করা হয়েছে। কারণ এগুলোর বিপরীত বিশ্বাস ও কর্মকান্ড করাই হলো শিরক। অন্য কথায়, আললাহর সাথে অন্য কাউকে ইলাহ বা মা‘বূদ সাব্যস্ত করা শিরক। মূলতঃ শিরক হচ্ছে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ করা।
সৃষ্টিকর্তার জন্য সমস্ত গুণাবলী প্রয়োজন। সেগুলো ক্ষেত্রে স্রষ্টাকে অন্য কারোর সাথে তুলনা যে করবে সে মুশরিক হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ তাআলার সাথে অন্য কারোর তুলনা করা অন্য কাউকে আল্লাহ তাআলার কর্মকাণ্ড করা হলো শিরক। মহান আল্লাহতালা শিরককে সবচেয়ে বড় পাপ বলে আখ্যা দিয়েছেন। শিরকের জন্য অনেক ভয়াবহ শাস্তি রেখেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। আমাদের সমাজে প্রচলিত অনেক শিরক বা বিদআত কাজ রয়েছে যেগুলো হামেশাই ঘটে থাকে।
আরো পড়ুনঃ গীবত করার শাস্তি জানলে অবাক হবেন
শিরকের আরবি অর্থ
আরবী অভিধানে শিরক (شرك) শব্দটি বহুবিধ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, شرك (شرك وشركة)
অর্থ: অংশ নেওয়া, অংশগ্রহণ করা, অংশীদার হওয়া, শরীক হওয়া।
দ্বিতীয়ত – الشَّرْكَةُ وَالشَّرِكَةُ । অর্থ হলো: দুই শরীকের সংমিশ্রণ।
তৃতীয়ত- الشرك । অর্থ হলো: অংশ, অংশীদার, অংশীদারত্ব। এর বহুবচন হলো أشراك এবং شركاء
শিরক কত প্রকার?
চার প্রকার। যথা:-
(১) ফিয যাত
(২) ফির রুবুবিয়্যাহ্
(৩) ফিল উলুহিয়্যাহ্
(৪) ফিল আসমা ওয়াস সিফাত
সমাজে প্রচলিত শিরক
সম্মানিত পাঠক আমাদের সমাজের কিছু শিরক প্রচলিত রয়েছে। যে কাজগুলো মহান আল্লাহতায়ালা শিরকের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। আমাদের গ্রামে ব্যাপকভাবে ও শহরে প্রচলিত হয়েছে অনেক শিরক বিদআত ও নানা কুসংস্কার কাজ। আমাদের সমাজের শহরের লোকজন এসব ধর্মীয় বিধি-বিধান মনে করেই পালন করে থাকে। নিম্নে আলোচনা করবো আমাদের সমাজের কিছু বিদআত বা শিরক কাজ সম্পর্কে।
*আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো গায়েবী ক্ষমতায় বিশ্বাস করা:
আমাদের সমাজে কিছু শিরকের একটি অন্যতম হচ্ছে আল্লাহর ক্ষমতা ব্যতীত গায়েবী ক্ষমতায় বিশ্বাস করা। আমাদের সমাজের অনেকেই আছে যারা কোন আধ্যাত্মিক শক্তি বা অলৌকিক শক্তির বিশ্বাসী। আল্লাহর শক্তি ছাড়া অন্য কারো শক্তিতে বিশ্বাস করা শিরক বিদআত। যে আল্লাহর শক্তি ছাড়া অন্য কোন শক্তিতে বিশ্বাস করে সে মুশরিক বলে গণ্য হবে।
*জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত:
জ্যোতির্বিদ্যা হলো সৌরজগতের বিভিন্ন অবস্থান সম্পর্কে পৃথিবীর ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কারণ বর্ণনা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন অমুক নক্ষত্রের অমক অবস্থানের সময় বিবাহ করবে না। এগুলো বলা হারাম এবং শিরক। তাছাড়া জ্যোতির্বিদরা হাতের রেখার উপর ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকে। এগুলো করা ও শিরক। এই কাজগুলো যারা করে তারা মুশরিক।
*যাদু-টোনা, বাণ মারা, বধ করা:
আমাদের সমাজেই অতীত কাল থেকে চলে আসছে যাদু টোনা বিষয়। অনেকে মনে করে জাদু টোনাতে কাজ হয়। যাদু টোনা বধ করা বানমারা ইত্যাদিতে অনেকেই বিশ্বাসী। তারা মনে করে এগুলো ধর্মীয় বিষয় বা ধর্মীয় জ্ঞান বা ইসলামী বিধান রয়েছে। কিন্তু এগুলো ভুল ধারণা এগুলোতে যারা বিশ্বাস করে যারা এগুলো পালন করে তারা শিরক করে এবং তারা মুশরিক। এগুলো কাজ করা বিদআত।
*রোগ নিরাময়ের জন্য অষ্টধাতুর আংটি পরিধান করা:
আমাদের দেশের রাজধানী সহ বিভিন্ন শহরে ফুটপাতে বড় বড় এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দোকান পাওয়া যায়। যারা অষ্ট ধাতুর আংটি বিক্রি করে থাকে। রোগ নিরাময়ের জন্য অনেকেই কষ্ট ধাতুর আংটি পরিধান করে থাকে। কিন্তু এগুলো ভুল ধারণা এগুলো শিরক। এগুলো তো বিশ্বাস করলে মুশরিক হয়ে যাবে। এক আল্লাহ তায়ালা তো বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ তাআলার শক্তি ছাড়া কারো পক্ষে রোগ নির্ণয় নিরাময় করা সম্ভব নয়। তাই মহান আল্লাহকে ছাড়া অন্য কিছুরের উপর ভরসা করা শিরকের কাজ।
*জিন বা কোন অপশক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য তাবিজ ব্যবহার করা:
আমাদের সমাজের একটি শীরকের অ্যাভেলেবল বা সাধারণ কাজ হল জিন বা কোন অপশক্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রকারের তাবিজ ব্যবহার করা। তাবিজ ব্যবহার করা হারাম। আমাদের সমাজে তাবিজ ব্যবহার করা প্রচলিত রয়েছে। যেকোনো ধরনের তাবিজ ব্যবহার করা বিদআতের কাজ।
কবর ধোয়া পানি :
আমাদের সমাজের একটি প্রচলিত কাজ হল মায়াতকে ধুমধামের সাথে গোসল করানো। অনেকেই আবার কবর ধোয়া পানি বদল করে নিয়ে যায়। এগুলো করা বিদআত।
*ওরশ :
আমাদের সমাজের একটি নিত্যনতুন কাজ হল ওরস। অনেকেই বিশ্বাস করে পীরের জন্ম বা মৃত্যু তারিখ নির্দিষ্ট করে ওরস হয়ে থাকে। অনেক মাজারে পীরের দরবারে ওরস শরীফ পড়ে থাকে। সেখানে অনেক জাকজমকপূর্ণভাবে প্যান্ডেল বা স্টেজ সাজানো হয়ে থাকে। সেখানে অবস্থান করে বেপর্দায় নারী পুরুষ। এগুলোতে ভন্ড পীর ফকিরেরা থাকে। এগুলো করা বিদআত। এগুলো সরাসরি শিরকের সাথে সম্পৃক্ত। তাই এগুলো করা যাবে না।
*খাজা বাবার ডেগ :
আমাদের সমাজে একদল বিশেষ যুবক রয়েছে যারা রজব মাসেলে বাজারে যেখানে সেখানে সুযোগ পেলে খাজা বাবার ডেক নিয়ে বসে। লালসালু কাপড় বিছিয়ে, বিজলি বাতি জ্বালিয়ে, বাঁশ দিয়ে, ছাউনি দিয়ে চকমকে কাগজ লাগিয়ে দেবী স্থাপন করে থাকে।
*প্রাণীর ছবি, চিত্র, প্রতিকৃতি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদির হুকুম :
কোন নেতা বা লিডার স্মরণীয় ব্যক্তিবর্গের ছবি চিত্র মূর্তি ভাস্কর্য ইত্যাদি তৈরি করা মাঠে-ঘাটে অফিস আদালতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা এগুলোকে সম্মান করা এবং এগুলোর উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা বিদআত।
*সমাধি, স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ মিনার :
আমাদের সমাজে একটি বিদআত কাজ হল সমাধিসদ স্মৃতিসৌধ শহীদ মিনার স্থাপন বা নির্মাণ করা এগুলোকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানো এগুলো সামনে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা।
*অগ্নিপূজা এবং শিখা চিরন্তন, শিখা অনির্বাণ :
‘অগ্নি শিখা’ অগ্নিপূজকের উপাস্য দেবতা। তারা প্রণাম ও ভক্তির মাধ্যমে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকে আগুনের পূজা করে থাকে। অগ্নি পূজার সম্পূর্ণ আল্লাহদ্রোহী কাজ।
এছাড়াও আমাদের সমাজে আরো কিছু শিরক কাজ রয়েছে। সেগুলো হলো: মঙ্গল প্রদীপ,তাছাওউফের শায়েখ বা পীরের কল্পনা,পীরকে দূর হ’তে ডাকা,পীরের জন্য ঘর সাজিয়ে রাখা,পীরের বাড়ির বা আস্তানার খাদেম, গরু, কুকুর, পীর, ওলী-আওলিয়াদের কবরের মাটি ও সেখানে জ্বালানো মোম বিভিন্ন রোগের জন্য উপকারী মনে করা,পীরের পায়ে সিজদা করা বা কদমবুসি করা,আল্লাহর সত্তার সাথে মিশে যাওয়া,দিলে দিলে ছালাত পড়ি,
শরী‘আতের ইত্তেবা সর্বাবস্থায় ফরয নয়,শিরকের গন্ধযুক্ত নাম বা সম্বোধন,সন্তানের নামকরণে নবী ও পীর-আওলিয়ার সাথে সম্পর্ক স্থাপন,বিপদে পড়লে জিন, ফেরেশতা, পীর, ওলী-আওলিয়াদের ডাকা,পীর, ওলী-আওলীয়াদের স্মৃতিচিহ্নের তা‘যীম করা এবং এদের কাছে গায়েবী সাহায্য চাওয়া,গ্রহ নক্ষত্রের তা‘ছীর (প্রভাব),চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের প্রভাব,আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পীর, ওলী বা বুযুর্গ ব্যক্তির অসীলা গ্রহণ,শুভ-অশুভ আলামত, ইত্যাদি।
শিরকের ভয়াবহ শাস্তি
মহান আল্লাহ তাআলার কাছে শিরক হচ্ছে সবচাইতে বড় পাপ। শিরক হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা করা। মহান আল্লাহতালা শিরকের পাপ কোনদিন ক্ষমা করেন না। মহান আল্লাহ তায়ালা কুরআনে শিরকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। শিরকের ভয়াবহ শাস্তির মধ্যে হল:-
১. শিরক হলো ক্ষমার অযোগ্য
শিরক হলো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। শিরকের অপরাধ মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করেন না। মহান আল্লাহ তায়ালা শিরকের পাপ ব্যতীত অন্য সকল পাপ ক্ষমা করেন।
এই মর্মে একটি হাদিস হলো:
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। এ ব্যতীত অন্য সব, যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, বস্ত্ততঃ সে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করল’ (আন্ নিসা : ৪৮)।
২. জাহান্নাম ওয়াজিব করে দেয়
শিরকের অপরাধের কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামকে ওয়াজিব করে দেন। জাহান্নামকে তার প্রাপ্য করে দেন।
এই মর্মে একটি হাদিস হল:
নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম। অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই’ (আল মায়িদাহ :৭২)।
৩. পূর্বের আমল নষ্ট করে দেয়
শিরক এমন একটি জঘন্যতম পাপ যা একজন ব্যক্তির পূর্বের যত আমল আছে সব আমলকে নষ্ট করে দেয়। শিরক করলে পূর্বের আমল আর থাকে না। আল্লাহর কাছে বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায় শিরককারী ব্যক্তি।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,"যদি তারা শিরক করে তবে তাদের আমল সমূহ নষ্ট হয়ে যাবে’ (আল্ আন‘আম:৮৮)।
৪. শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ
মহান আল্লাহ তায়ালা শিরককে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলেছেন। আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা করা শিরক করা সমান। তাই আল্লাহ তা'আলা চিরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন,
'আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সংবাদ দিব না? আমরা বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা এবং পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া’।
৫. শিরক জঘন্যতম পাপ
যেসব কাজ করলে আল্লাহর আনুগত্যের পরিবর্তে পাপ অর্জিত হয় শিরক তার অন্যতম। শিরককে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স:) জঘন্যতম পাপ বলে বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘যে আল্লাহর সাথে শিরক করল সে জঘন্য পাপ করল’ (আন্ নিসা :৪৮)।
আরো পড়ুনঃ গোপনে অশ্লীল ভিডিও দেখার চাইতেও দাড়ি কামানো ভয়ংকর পাপ
শিরক থেকে বেঁচে থাকার উপায়
সম্মানিত পাঠকগণ আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাস ছাড়া শিরক থেকে বেঁচে থাকার কোন উপায় নেই। শিরক থেকে বেঁচে থাকা ব্যতীত আল্লাহর জান্নাত হাসিল করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমাদেরকে আকিদার ক্ষেত্রে শিরক মুক্ত তাওহিদ বন্ধি ও আমলের ক্ষেত্রে বিদআত মুক্ত সুন্নত পন্থী হতে হবে।
একজন মুসলিম ব্যক্তি যখন জেনে বুঝে শিরক করে ফেলে তখন তার ঈমান ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায় শিরক। তাই আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে কোনোভাবেই আল্লাহ ও তার সাথে কাউকে শরীক করা হয় এমন কোন কাজ আমরা করব না। সেই বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকতে হবে।
শেষের কথা:শিরক কি? সমাজে প্রচলিত কিছু শিরক সম্পর্কে জানুন
সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই পর্বে আলোচনা করলাম শিরকের বিস্তারিত সম্পর্কে। আশা করি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পেরেছেন। সম্মানিত পাঠক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আপনার একটা শেয়ার হতে পারে বন্ধুদের না জানা বিষয়গুলো জানার কারণ। এক্ষেত্রে বন্ধুরা ও সচেতন হবে সবচেয়ে ভয়াবহ পাপ কাজ সম্পর্কে। সম্মানিত পাঠক অবশ্যই কোন উপদেশ থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন ধ
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url