পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন 

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। মোটিভেশন আইডির পক্ষ থেকে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করব পেয়ারা সম্পর্কে। পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা পিয়ারা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে, পোস্টটি আপনার জন্য। অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্র: পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন 

  • সূচনা
  • পেয়ারায় কি কি ভিটামিন রয়েছে
  • যাদের পেয়ারা কম খাওয়া উচিত
  • কখনও কি পরিমান পেয়ারা খাবেন
  • পেয়ারায় কি কি পাওয়া যায়
  • পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
  • মন্তব্য

পেয়ারায় কি কি ভিটামিন রয়েছে

ছবি

পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় রয়েছে ১০০ ক্যালোরি ও ২০ গ্রামের মতো শর্করা। এছাড়াও পেয়ারায় রয়েছে ফাইবার। একটি পেয়ারায় ৯ গ্রাম ফাইবার থাকে। পেয়ারা বেশ প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল । একটি পেয়ারায় প্রায় ৪-৫ গ্রাম আমিষ থাকে।

আরো পড়ুনঃ আলু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - আলু খাওয়ার নিয়ম

যাদের পেয়ারা কম খাওয়া উচিত

পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সে তারতম্য রয়েছে। শরীরের কিছু কিছু অবস্থান রয়েছে যে অবস্থাতে পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। যেমন, পেট ফাঁপার সমস্যা থাকলে পেয়ারা কম করে খাবেন। এতে ভিটামিন সি ও ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং অতিমাত্রায় পেয়ারা খেলে তাই পেট ফাঁপবে। আবার অনেকেই ফ্রুকটোজ ম্যাল-অ্যাবসরবশন সমস্যায় আক্রান্ত। তারাও পেয়ারায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি সহজে হজম করতে পারেন না। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলেও পেয়ারা খাবেন না।

যাদের আইবিএস তথা ইরিটেটেড বাওয়েল সিনড্রোম সমস্যা রয়েছে তাদেরও ঘন ঘন পিয়ারা খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত পরিমিত মাত্রায় পেয়ারা খেলে এর ফাইবার হজমে সাহায্য করে ঠিকই, তবে আইবিএস–এর সমস্যা থাকলে পেটের যন্ত্রণাটা আপনার বেড়ে যাবে।

পেয়ারা হল লোগ লাইসেমিক ইনডেক্স জাতীয় খাবার। কারণ পেয়ারাতে কম শর্করা রয়েছে। কিন্তু পেয়ারাতে ও চিনিও কম নেই। ১০০ গ্রাম পেয়ারার থাকে ৯ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি থাকে । তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের পেয়ারা খেতে হবে মেপে মেপে। বেশি খেলেই সুগার বেড়ে যাবে।

কখন ও কী পরিমাণ পেয়ারা খাবেন

পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু লিমিটেশন রয়েছে। পরিমাণ এবং সময় রয়েছে পেয়ারা খাওয়ার ক্ষেত্রে। একজন সুস্থ মানুষের জন্য দিনে একটি পেয়ারায় যথেষ্ট। তবে আপনার গ্লুকোজের মাত্রা বেঁচে থাকলে অর্ধেক খেতে পারেন। দুটো ভারী ধরনের খাবারের মাঝে সময়টাতে পেয়ারা খাবেন। আবার ব্যায়াম করার আগেও এবং পরেও পিয়ারা খেতে পারেন। রাতে পেয়ারা খাওয়া ঠিক নয়। এতে করে কাশি ও ঠান্ডার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

একসময়ের শুধু বর্ষাকালেই পেয়ারা পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে সারা বছরে পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাশাপাশি রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও চমৎকার উপাদান।

পেয়ারায় কি কি পাওয়া যায়

একটি মাঝারি সাইজের পেয়ারায় ১০০ ক্যালোরি ও ২০ গ্রামের মতো শর্করা থাকে। ফাইবার থাকে ৯ গ্রাম। চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে। এছাড়াও আমিষ থাকে প্রায় ৪-৫ গ্রাম।  

আরো পড়ুনঃ পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

ছবি

১.পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. পেয়ারাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

৩.শরীরের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেয়ারা খুবই কার্যকরী। পেয়ারা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। 

৪.পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল যা শরীরের ভেতর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান দূর করে শরীরটা সুস্থ রাখে।

৫.আঁশ সমৃদ্ধ পেয়ারা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গণ্ডগোল দূর হয়।

৬.পেয়ারাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

৬. পেয়ারা দাঁতের পক্ষেও ভালো কার্যকরী।পেয়ারা চিবিয়ে খেলে দাঁত ভালো থাকে।

৭. পেয়ারাই রয়েছে ভিটামিন এ। যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

৮. পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম ও পটাসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট ভালো রাখে।

৯.ত্বক ও চুলের যত্নে পেয়ারা কোন তুলনা নেই।

১০. পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন বি৩ এবং বি৬। মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।

মন্তব্য: পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন 

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আমরা এই পর্বে আলোচনা করলাম পিয়ারা সম্পর্কে। পেয়ারার উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করি পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে বুঝতে অসুবিধা হয়নি। সম্মানিত পাঠক পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস এন্ড ট্রিকস দিয়ে থাকি। তাই নিয়মিত টিপস এন্ড ট্রিকস জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url