পাসপোর্ট/ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

পাসপোর্ট/ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

সম্মানিত পাঠক বন্ধু আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। সম্মানিত পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে। তাছাড়াও পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলে। অনুরোধ করবো আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচীপত্র: পাসপোর্ট/ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

• ভূমিকা
• ই-পাসপোর্ট আবেদন কীভাবে করবেন
• ই- পাসপোর্ট আবেদন করার প্রথম ধাপ
• ই- পাসপোর্ট করার দ্বিতীয় ধাপ
• ই- পাসপোর্ট আবেদন করার তৃতীয় ধাপ
• ই- পাসপোর্ট আবেদন করার চতুর্থ ধাপ
• ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পঞ্চম এবং সর্বশেষ ধাপ
• মন্তব্য

ভূমিকা: পাসপোর্ট/ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

বাংলাদেশ বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স পাসপোর্ট এর যুগে প্রবেশ করেছে। ই পাসপোর্ট চালু করার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৯ তম দেশ। এখন যে কেউ ঘরে বসেই নিজে নিজেই কি পাসপোর্ট করতে পারবে। ঘরে বসে ই পাসপোর্ট এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে আবেদন করতে কি কি লাগবে বা লাগে কতদিনের মধ্যে পাওয়া যায় নিয়ম এবং খরচ এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সবকিছু ভালোভাবে না বুঝে নিয়ম না জেনে যদি ই- পাসপোর্ট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রবলেম হয় বা কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সংশোধন করার সুযোগ পাবেন না। একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে একবারই ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করা যায়।

ই-পাসপোর্ট আবেদন কীভাবে করবেন

আপনি ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ই- পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পত্র জমা দেওয়ার তারিখ অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাগজপত্র সত্যায়িত লাগবেনা। ই- পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে ই পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে শুরুতেই অ্যাপ্লাই অনলাইন ফর ই-পাসপোর্ট/রি-ইস্যু বাটনে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। আবেদন করার আগে আপনাকে দেখে নিতে হবে, ই-পাসপোর্ট আবেদনের পাঁচটি ধাপ।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হলে কি করবেন? ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার উপায়। 

ই- পাসপোর্ট আবেদন করার প্রথম ধাপ

ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথম ধাপের কিছু কাজ করতে হবে। পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপের কাজ হল জেলা ও শহরের নাম থানার নাম নির্বাচন করে ক্লিক করতে হবে।

ই- পাসপোর্ট করার দ্বিতীয় ধাপ

ই -পাসপোর্ট আবেদন করা দ্বিতীয় ধাপ হল ব্যক্তিগত তথ্য। ই- পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপে পাসপোর্ট এর মূল ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

ই- পাসপোর্ট আবেদন করার তৃতীয় ধাপ

ই -পাসপোর্ট আবেদন করা তৃতীয় ধাপ হচ্ছে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোন ব্যাংকের ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করা যায়। এছাড়াও ই- পাসপোর্ট অনুমোদিত পাঁচটি ব্যাংকের যেকোনো একটি তে টাকা জমা দিয়ে স্লিপ নাম্বার নেওয়ার সুযোগ আছে।

ই- পাসপোর্ট আবেদন করার চতুর্থ ধাপ

উপরোক্ত তিনটি ধাপ শেষ হলে ফাইনাল সাবমিট করতে হবে। ফাইনাল সাবমিট করার পর আপনার তথ্যগুলো পাসপোর্ট এর কার্যালয়ে সার্ভারে চলে যাবে।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার পঞ্চম এবং সর্বশেষ ধাপ

ই- পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে আবেদন করার পর অনলাইনে ফরম পূরণ করার পর পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করে ছবি তোলা এবং আঙুলের ছাপ দেয়ার তারিখ দেবে। এরপরে নির্ধারিত একটি তারিখে অনলাইনে আবেদন ফরমের কপি পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রিসিট যে বাসায় থাকেন সে ভাষায় বিদ্যুৎ বিলের কপি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও পুরান পাসপোর্টের কপি সহ পাসপোর্ট অফিসে যাবেন। এরপর ছবি ও আঙুলের ছাপের জন্য পাসপোর্ট অফিসে লাইনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। 

ছবি তোলা সব আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি গ্রহণ শেষে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহ একটি রশিদ দিবে। পাসপোর্ট গ্রহণের সময় ডেলিভারির রশিদ অবশ্য প্রয়োজনীয়। আপনার পাসপোর্ট কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনাকে মেসেজে জানাবে। এরপর ফাইনালে আপনি আপনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে নিয়ে আসবেন। এভাবে আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া এবং পূর্ণাঙ্গ পাসপোর্ট করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার উপায়/ ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে ভেরিফিকেশন করবেন??

মন্তব্য: পাসপোর্ট/ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৪, পাসপোর্ট করতে যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন

সম্মানিত পাঠক বন্ধু, আশা করি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ই- পাসপোর্ট করার আবেদন থেকে শুরু করে ই পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম গুলো ধাপে ধাপে বুঝতে পেরেছেন। মোট পাঁচটি ধাপে আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। যাতে করে আপনার বুঝতে সুবিধা হয়।

তো প্রিয় পাঠক বন্ধু আশা করি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন তো অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

শেষের কথা

সম্মানিত পাঠক আমরা এই আর্টিকেল আলোচনা করলাম ই পাসপোর্ট আবেদন পত্র পূরণ এবং কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিস্টেম গুলো সম্পর্কে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। তাই নিয়মিত আর্টিকেল পড়তে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।